জন্মদিনের ১৫ দিন পর মাকে হারালেন ঋতুপর্ণা
জন্মদিনের ১৫ দিন পর মাকে হারালেন অভিনেত্রী ঋতুপর্ণা সেনগুপ্ত। আজ (২৩ নভেম্বর) শনিবার বিকেল ৩টায় তার মা নন্দিতা সেনগুপ্ত শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। তার বয়স হয়েছিল ৭৭ বছর। তিনি কিডনির রোগে আক্রান্ত হয়ে বেশ কিছুদিন ধরে অসুস্থ ছিলেন।
ভারতের পশ্চিমবঙ্গের দক্ষিণ কলকাতার একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন ঋতুপর্ণার মা নন্দিতা। গত ১৫ দিন তিনি ছিলেন ভেন্টিলেশনে। মায়ের অসুস্থতা নিয়ে বেশ উদ্বিগ্ন ছিলেন অভিনেত্রী। হাসপাতালে মায়ের সঙ্গেই কাটছিল তার বেশিরভাগ সময়। মায়ের মৃত্যুতে ভীষণ ভেঙে পড়েছেন এই অভিনেত্রী।
গত ৭ নভেম্বর ছিল ঋতুপর্ণা সেনগুপ্তর জন্মদিন। সেদিন ঋতুপর্ণা জানিয়েছিলেন, এই জন্মদিনে তার মন ভালো নেই। কারণ তার মা অসুস্থ। এরপরই গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়েন ঋতুপর্ণা সেনগুপ্তর মা নন্দিতা সেনগুপ্ত। দ্রুত তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। তারপরই ভেন্টিলেশনে নেওয়া হয় নন্দিতা সেনগুপ্তকে। শুধু কিডনি নয়, বয়সজনিত নানা শারীরিক জটিলতায় ভুগছিলেন নন্দিতা সেনগুপ্ত। নিয়মিত তার ডায়ালাইসিস করাতে হতো। শ্বাসকষ্টেও ভুগছিলেন তিনি।
ঋতুপর্ণা সেনগুপ্তর ব্যক্তিগত সহকারী শর্মিষ্ঠা মুখেপাধ্যায় সংবাদমাধ্যমকে জানান, মায়ের মৃত্যুতে মানসিকভাবে ভেঙে পড়েছেন ঋতুপর্ণা। দুঃসংবাদ পেয়ে হাসপাতালে পৌঁছেছেন ঋতুর কাছের মানুষেরা। মায়ের ওপর মানসিকভাবে ভীষণ নির্ভরশীল ছিলেন এই অভিনেত্রী। তাই মায়ের মৃত্যুতে বাকরুদ্ধ হয়ে পড়েছেন তিনি। শাশুড়ির মৃত্যুর খবর পেয়ে যুক্তরাষ্ট্র থেকে দেশে ফিরছেন ঋতুপর্ণার স্বামী সঞ্জয় চক্রবর্তী ও মেয়ে ঋষণা চক্রবর্তী। ঋতুপর্ণার ছেলে অঙ্কন বস্টনে পড়াশোনা করছেন। শেষবার ভিডিও কলে দাদির সঙ্গে কথা বলেছিলেন তিনি।
সামাজিক মাধ্যমে ঋতুপর্ণা মায়ের মৃত্যুর দুঃসংবাদ জানিয়ে লেখেন, ‘আমার মা নন্দিতা সেনগুপ্ত আজ দুপুরে চলে গেলেন। আমাদের পরিবারের বন্ধু, আত্মীয়দের অনুরোধ করছি, তারা সবাই যেন রাত ৮টা নাগাদ ৫বি, রবিনসন স্ট্রিট, কাঞ্চনজঙ্ঘায় চলে আসেন। আপনাদের অনুরোধ, এ সময় আপনাদের সহমর্মিতা ও সহযোগিতাই আমার একমাত্র কাম্য। জানা গেছে, কেওড়াতলা মহাশ্মশানে নন্দিতার শেষকৃত্য সম্পন্ন হবে।
আরএমডি/এএসএম