ভিসা জটিলতার ভেতরেও ভারত গেলেন তারা

বিনোদন প্রতিবেদক
বিনোদন প্রতিবেদক বিনোদন প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০৪:৩৬ পিএম, ২৩ নভেম্বর ২০২৪

ভিসা জটিলতার ভেতরেও ভারতে গেলেন বাংলাদেশের একদল নৃত্যশিল্পী। জানা গেছে, ভারতের উড়িষ্যা রাজ্যে এক উৎসবে যোগ দিয়ে বাংলাদেশের ঐতিহ্যবাহী নৃত্য পরিবেশন করেছেন তারা।

গত ১৫ থেকে ২১ নভেম্বর ভারতের উড়িষ্যায় ছিল ‘বালি যাত্রা ফেস্টিভ্যাল ২০২৪’। সেখানে বাংলাদেশের প্রতিনিধিত্ব করেছেন ঢাকার নাচের স্কুল কল্পতরুর শিল্পীরা। গত ১৯ নভেম্বর উড়িষ্যার উদ্দেশে ঢাকা ছাড়েন কল্পতরুর নয় সদস্যের দলটি। পরদিন ২০ নভেম্বর বালি যাত্রা উৎসবে ছিল তাদের পরিবেশনা। জানা গেছে, বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ও বাংলাদেশের জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের কালজয়ী কয়েকটি গানের সঙ্গে নৃত্য পরিবেশন করেছে নাচের দলটি। ঐতিহ্যবাহী ও সমসাময়িক নৃত্যের অনুসঙ্গে তারা তুলে ধরেন লাঠিখেলা ও রাইবেশে, যা বাংলাদেশের সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের অবিচ্ছেদ্য অংশ।

ভিসা জটিলতার ভেতরেও ভারত গেলেন তারা

এশিয়ার সর্ববৃহৎ উন্মুক্ত বাণিজ্য মেলার অংশ হিসেবে বালি যাত্রা উৎসবে বাংলাদেশের অংশগ্রহণ দেশটির সঙ্গে ভারতের দীর্ঘদিনের সাংস্কৃতিক বিনিময়ের প্রতীক। উৎসবে সেই অটুট বন্ধনকেও তুলে ধরা হয়, যা দুটি জাতিকে ইতিহাস, শিল্প ও ঐতিহ্য ভাগাভাগির মাধ্যমে বেঁধে রেখেছে। কল্পতরুর অধ্যক্ষ লুবনা মারিয়াম জাগো নিউজকে বলেন, ‘বাংলাদেশ ও ভারতের সম্পর্ক গভীর এবং বহুমুখী। আমাদের দ্বৈধতা থাকতে পারে, কিন্তু সাংস্কৃতিক বিনিময়ের ক্ষেত্রে সেটা কোনো প্রভাব রাখে না।’

ভিসা জটিলতার ভেতরেও ভারত গেলেন তারা

লুবনা মারিয়াম জানান, বাংলাদেশের লোক-ঐতিহ্যের সৌন্দর্য ও বৈচিত্র্য, বিশেষ করে প্রজন্মের পর প্রজন্ম ধরে সংরক্ষিত মার্শাল আর্ট নৃত্যের বৈচিত্র্য তুলে ধরে কল্পতরু প্রশংসা কুড়িয়েছে। এ ধরনের মর্যাদাপূর্ণ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণের মাধ্যমে কল্পতরু আন্তর্জাতিক সাংস্কৃতিক বিনিময় বৃদ্ধি এবং বাংলাদেশের সমৃদ্ধ ঐতিহ্যকে বৈশ্বিক প্ল্যাটফর্মে তুলে ধরার প্রতিশ্রুতি অব্যাহত রেখেছে।

ভিসা জটিলতার ভেতরেও ভারত গেলেন তারা

ভিসা জটিলতার ভেতরে শিল্পীদের ভারত যেতে কোনো ভোগান্তিতে পড়তে হয়েছিল কি না জানতে চাইলে লুবনা মারিয়াম বলেন, ‘শুরুতে অসুবিধা হয়েছিল। কিন্তু আমাদের সংস্কৃতি মন্ত্রণালয় ভিসা পেতে বেশ সহযোগিতা করেছে।’ 

দক্ষিণ এশিয়া এবং দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশগুলির মধ্যকার সমৃদ্ধ সাংস্কৃতিক বন্ধন উদযাপনে উড়িষ্যা রাজ্য সরকারের ‘উড়িয়া ভাষা ও সাহিত্য বিভাগের’ অধীনে উৎসবটির আয়োজন করেছিল দেশটির সংস্কৃতি অধিদপ্তর।

আরএমডি/জেআইএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।