সংসার ভাঙার দুদিন পর সুখবর দিলেন এ আর রহমান
উপমহাদেশের প্রখ্যাত সংগীতজ্ঞ এ আর রহমান বুধবার (২০ নভেম্বর) ডিভোর্সের ঘোষণা দিয়েছেন। এরপর থেকেই বিষয়টি নিয়ে বিভিন্ন ধরনের খবর ছড়িয়ে পড়ে সোশ্যাল মিডিয়ায়। একদিকে যেমন রহমান ও তার সাবেক স্ত্রী সায়রার সম্পর্ক নিয়ে নানান আলোচনা-সমালোচনার ঝড় বইছে। অন্যদিকে এ সংগীত ব্যক্তিত্বের সহশিল্পী মোহিনীর সঙ্গে পরকীয়া নিয়ে গুঞ্জন ছড়িয়ে পড়েছে।
শুধু তাই নয়, সমালোচকরা মনে করছে গিটার বাদক মোহিনীর কারণেই হয়তো সায়রার সঙ্গে বিচ্ছেদ ঘটেছে রহমানের। তবে এ নিয়ে মোহিনী বা রহমানের তরফ থেকে কোনো মন্তব্য পাওয়া যায়নি। এর মাঝেই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে নতুন পোস্ট দিয়েছেন এ আর রহমান। এতে রয়েছে তার অনুরাগীদের জন্য সুখবর।
View this post on Instagram
আজ (২২ নভেম্বর) রহমান তার সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি ভিডিও পোস্ট দিয়েছেন রহমান। এতে তিনি জানান, দক্ষিণী সিনেমা ‘দ্য গোট লাইফ’র আবহসংগীতের জন্য হলিউড মিউজিক অ্যাওয়ার্ডসে সেরার পুরস্কার পেয়েছেন তিনি। এ সিনেমার পুরো টিমকে এ ভিডিওর মাধ্যমে ধন্যবাদ জানিয়েছেন এ সংগীতজ্ঞ।
সোশ্যাল মিডিয়ায় এ আর রহমানের বিচ্ছেদ ঘোষণার কয়েক ঘণ্টা পরেই তার সহশিল্পী মোহিনীও স্বামী ম্যাকের সঙ্গে ডিভোর্সের ঘোষণা দেন। সোশ্যাল মিডিয়ায় এ দুই ঘটনার মধ্য়েই মিল খুঁজে পেয়েছেন নেটিজেনরা। এমনকী মোহিনীর সঙ্গে পরকীয়ার কারণেই রহমান এ ডিভোর্সের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন- এমনটাও বলছেন কেউ কেউ।
এ আর রহমান ও মোহিনীকে জড়িয়ে বিতর্ক শুরু হতেই মুখ খুলেছে রহমানের সবেক স্ত্রী সায়রা বানুর আইনজীবী বন্দনা শাহ। তিনি গণমাধ্যমকে জানালেন, ‘এসব বিতর্কের কোনো অর্থ নেই। মোহিনীর ডিভোর্সের সঙ্গে রহমানে ও সায়রার ডিভোর্সের কোনো সূত্র নেই। এটা তাদের একেবারে নিজস্ব সিদ্ধান্ত। তাই অযথা বিতর্ক না করাই ভালো’।
তিনি আরও বলেন, ‘প্রত্য়েকটি দীর্ঘ বিবাহিত জীবনই ভালো-মন্দের মধ্য়ে দিয়ে এগিয়ে যায়। আমি খুবই খুশি তারা খুব সচেতনভাবে এ সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। এ বিচ্ছেদ একেবারেই খারাপ বৈবাহিক জীবনের ফল নয়। সায়রা ও রহমান দুজনেই দুজনকে সম্মান করেন’।
- আরও পড়ুন
- বাবা-মায়ের ডিভোর্স নিয়ে যা বললেন এ আর রহমানের তিন সন্তান
- রহমান ও মোহিনীর বিচ্ছেদের যোগসূত্র কী
১৯৯৫ সালে রহমান ও সায়রা বানুর বিয়ে হয়েছিল। দেখাশোনা করেই নাকি এই বিয়ে দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু দীর্ঘ ২৯ বছর তারা একসঙ্গে কাটিয়েছেন। তাদের ঘরে তিন সন্তানের জন্ম হয়েছে।
এমএমএফ/জিকেএস