অমিতাভের কাছে টাকা ধার চেয়েছিলেন রতন টাটা

বিনোদন ডেস্ক
বিনোদন ডেস্ক বিনোদন ডেস্ক
প্রকাশিত: ০৪:৪৫ পিএম, ২৯ অক্টোবর ২০২৪
রতন টাটা ও অমিতাভ বচ্চন। ছবি: সংগৃহীত

ভারতের অন্যতম শীর্ষ ধনী রতন টাটা পৃথিবী থেকে বিদায় নিয়েছেন একমাস হয়েছে। কিন্তু তার জীবন ও কর্ম নিয়ে এখনো আলোচনা হচ্ছে। প্রয়াত এ মানুষটিকে নিয়ে একের পর এক অজানা তথ্য সামনে আনছেন তার প্রিয়জনরা। এবার সেই তালিকায় নাম লেখালেন বলিউড শাহেন শাহ অমিতাভ বচ্চন। ‘কৌন বনেগা ক্রোড়পতি’ অনুষ্ঠানে রতন টাটাকে নিয়ে নিজের অভিজ্ঞতার কথা জানালেন অমিতাভ। এ কথা শুনে অনেকেই বিস্মিত হয়েছেন।

‘কৌন বনেগা ক্রোড়পতি’ অনুষ্ঠানে ফারহা খান এবং বোমান ইরানির সঙ্গে আলাপচারিতার মেতে ওঠেন অমিতাভ। এক পর্যায়ে রতন টাটার কথা চলে আসে। এ প্রসঙ্গ আসতেই আবেগ তাড়িত হন অমিতাভ বচ্চন। রতন টাটার সঙ্গে জীবনের কিছু মুহূর্তের অভিজ্ঞতা যা আজও তার মনে জীবন্ত হয়ে আছে, তা সবাইকে শোনান অমিতাভ। প্রয়াত শিল্পপতির প্রতি নিজের শ্রদ্ধাও নিবেদন করেন এ অভিনেতা।

ফারহা এবং বোমানের সঙ্গে আলাপের ফাঁকে অমিতাভ বচ্চন বলেন, ‘তিনি কেমন মানুষ ছিলেন, তা বলে বোঝাতে পারব না। এমন সহজ-সরল একজন মানুষ, যা এ সময়ে বিরল’। তিনি আরও বলেন, ‘একবার আমরা একই বিমানে চড়ে লন্ডন যাচ্ছিলাম। হিথ্রো বিমাবন্দরে অবতরণ করি। যারা তাকে নিতে এসেছিলেন, তারা খুঁজে পাচ্ছিলেন না। তাই ফোন বুথে ঢোকেন যোগাযোগ করার জন্য’।

সেই ঘটনার বর্ণনা দিয়ে গিয়ে অমিতাভ বলেন, ‘আমি বাইরে দাঁড়িয়ে ছিলাম। কিছুক্ষণ পর রতন টাটা এলেন। এসে যা বললেন, তা আজও বিশ্বাস করতে পারছি না। তিনি বলেন, অমিতাভ, তোমার থেকে কিছু টাকা ধার পেতে পারি? ফোন করার মতো টাকা নেই আমার কাছে’।

অমিতাভ আরও একটি ঘটনার কথা উল্লেখ করে বলেন, “আমি এবং কিছু বন্ধু একটি অনুষ্ঠানে গিয়েছিলাম। অনুষ্ঠান শেষ হওয়ার পর আমার এক বন্ধুর কাছে এগিয়ে আসেন রতন টাটা বলেন, ‘আমাকে বাড়ির কাছে নামিয়ে দেবেন দয়া করে। আপনার বাড়ির ঠিক পিছনেই থাকি আমি’। বিশ্বাস করতে পারেন যে, রতন টাটার গাড়ি ছিল না?”

রতন টাটার সঙ্গে অমিতাভের প্রথম সাক্ষাৎ হয়েছিল বিমানে বসে। প্রথম দেখাতে যদিও অমিতাভকে চিনতে পারেননি রতন টাটা। গত ৯ অক্টোবর মারা যান রতন টাটা। সেদিনও সোশ্যাল মিডিয়ায় শোক জানিয়ে অমিতাভ একটি পোস্টও দিয়েছিলেন।

এমএমএফ/এএসএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।