শীতে সিল্ক শাড়ি
সিল্ক শাড়িকে বলা হয় আভিজাত্যের প্রতীক। সেই আভিজাত্যকে কে না চান! ফ্যাশনপ্রেমী নারীরা কম-বেশি সারা বছরই সিল্ক শাড়ি পরেন। মূলত রেশমের তৈরি বলে সিল্ক শাড়ি শীতের সময়ে বেশি আরামদায়ক। দেখতে জমকালো, পরতে আরামদায়ক। তার ওপর আবার রয়েছে একধরনের মিষ্টি উষ্ণতা। একসঙ্গে এতগুলো প্রাপ্তি খুব কম পোশাকেই মেলে। তাই শীত এলে সিল্কের কদরও বেড়ে যায় কয়েকগুণ।
সিল্ক শাড়িতে আভিজাত্য ও রুচিশীলতার ছোঁয়া থাকায় পরা যায় অফিস কিংবা পার্টিতে। সিল্কের আছে নানা ধরন। যেমন- সিল্ক শিফন, টাঙ্গাইল সিল্ক, সিল্ক শার্টিন, মাইসোর সিল্ক, সাউথ ইন্ডিয়ান সিল্ক, বনসাই সিল্ক, কাশ্মীর সিল্ক, সপুরা সিল্ক, সিল্ক কোটা, অ্যান্ডি সিল্ক ও সফট সিল্ক। সাধারণত এগুলোতে শীতে একটু ভারী কাজ হয়ে থাকে। করা হয় ব্লক, স্ক্রিন প্রিন্ট, অ্যামব্রয়ডারি, কারচুপি, মিরর, জরি ও চুমকি।
বেছে নিতে পারেন মনের মতো রঙ- সবুজ, নেভি ব্লু, ম্যাজেন্টা, খয়েরি, লাল, বেগুনি, কালো, সোনালি। তবে দিনের বেলার যে কোনো পার্টিতে বেছে নিন একটু হাল্কা রঙের সিল্ক শাড়ি। পরতে পারেন গেরুয়া, সাদা, কলাপাতা রং, কমলা, নীল, গোলাপি, আকাশি ও কুসুম হলুদ রঙের পোশাক।
লক্ষ্য করুন
* সিল্কের শাড়ি ড্রাই ক্লিন করতে পারলেই ভালো হয়। বিশেষ করে পানিতে ক্লোরিনের মাত্রা বেশি হলেই সিল্কের রং হলুদ হয়ে যেতে পারে।
* সুতি বা মসলিনের নরম কাপড়ে জড়িয়ে সিল্কের শাড়ি অন্ধকার জায়গায় রাখুন। ড্যাম্প বা পোকামাকড় আছে এমন জায়গায় সিল্কের শাড়ি রাখবেন না।
* ভারী কাজ বা অ্যামব্রয়ডারি করা সিল্কের শাড়ি হ্যাঙ্গারে ঝুলিয়ে না রেখে সোজাভাবে ভাঁজ করে রাখুন।
* সিল্কের শাড়ির মধ্যে ন্যাপথলিন রাখবেন না। শাড়িতে দাগ পড়তে পারে। বরং নিমপাতা, দারুচিনি ও লবঙ্গ ব্যবহার করুন।