সাদিয়া আয়মানের লাইভ-কাণ্ড, বর্জনের ডাক, শাস্তি দাবি
প্রচারের প্রয়োজনে অনেককিছুই করতে হয় শিল্পী ও কলাকুশলীদের। তবে সেসবের মধ্যে থাকে যুক্তি। থাকে সামাজিক, পারিবারিক দায়বদ্ধতাও। নিজেদের কাজ সবার কাছে পৌঁছে দিতে নানা রকম আইডিয়া ফাঁদেন তারকারা। তবে মুক্তি প্রতিক্ষীত একটি ওয়েব ফিল্মের প্রচারণা করতে সে রকম এক ফাঁদ পেতে হাসির পাত্রে পরিণত হলেন ছোটপর্দার অভিনেত্রী সাদিয়া আয়মান। নেটিজেনদের নেতিবাচক মন্তব্য সইতে না পেরে ফেসবুক ডিয়্যাকটিভ করতেও বাধ্য হয়েছেন তিনি।
- আরও পড়ুন
- গাড়ি কিনলেন অভিনেত্রী সাদিয়া আয়মান
সম্প্রতি দীপ্ত প্লের একটি ওয়েব ফিল্মে কাজ করেছেন সাদিয়া। ঢাকার রহস্যজনক কিছু ঘটনাকে কেন্দ্র করে ফিল্মের কাহিনি। ফিল্মটির প্রচারণার কৌশল হিসেবেই সাদিয়ার সেই লাইভ। গতকাল (২১ অক্টোবর) সোমবার দিবাগত মধ্যরাতে ফেসবুক লাইভে আসেন সাদিয়া আয়মান। তিনি বলেন, ‘গত কয়েকদিন আগে আমি একটা শুট শেষ করে বাসায় ফিরছিলাম। রাস্তায় যাওয়ার পথে দেখি পা থেকে মাথা পর্যন্ত একজন কালো কেউ আমার গাড়ির সামনে চলে আসে। এরপর গাড়ি থামিয়ে নেমে দেখি সেখানে কেউ নেই।’
ঘটনার বর্ণনা দিতে গিয়ে সাদিয়া বলেন, ‘আমরা নিরাপদে সেখান থেকে বাসায় চলে আসি। তবে ফিরে আসার পরও বাসার বিপরীত দিকে আবারও সেই ব্যক্তিকে দেখতে পাই। কিছুক্ষণ আগেও বারান্দা থেকে দেখেছি, সেই ব্যক্তি আমার বাসার নিচে দাঁড়িয়ে আছে।’
লাইভেই বারান্দায় চলে যান অভিনেত্রী। সেখানে গিয়ে কালো পোশাকে দাঁড়িয়ে থাকা এক ব্যক্তিকে দেখান তিনি। এরপর তিনি কাঁদতে শুরু করেন। ভীত স্বরে তিনি বলেন, ‘দেখুন আপনারা, ওই ব্যক্তি নিচে দাঁড়িয়ে আছে। বাড়িতে আমি বাদে এখন কেউ নেই...’, বলেই কাঁদতে থাকেন অভিনেত্রী। লাইভটিও শেষ করে দেন।
ভয় পেয়ে সাদিয়া লাইভ শেষ করলে নেটিজেনরা আতঙ্কিত হয়ে পড়েন তার নিরাপত্তা নিয়ে। অনেকে তখন তাকে পুলিশ বা সেনাবাহিনীর সাহায্য নিতে বলেন। সবাই যখন অভিনেত্রীর সঙ্গে কী হচ্ছে ভেবে ভয় পাচ্ছিলেন, তখন তিনি ওই ওয়েব ফিল্মটির পোস্টার শেয়ার করেন। যা দেখে সবাই বুঝতে পারেন, মূলত এর প্রচারের জন্যই এমন ‘লাইভ নাটক’ করেছেন সাদিয়া। এতে বিরক্ত হয়েছেন তার অনুসারীদের অনেকে।
নেটিজেনদের অনেকে সাদিয়ার এই কাণ্ডের সমালোচনা করেছেন। কেউ কেউ তো শাস্তিরও দাবি করেছেন। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সমালোচনা করে সাদিয়া ইসলাম নামে একজন লিখেছেন, ‘আপনার কি কমনসেন্সের অভাব? আপনি যদি কাজের প্রমোশন করবেন, তাহলে লাইভ শেষে বলতে পারতেন সেটা। না বলে হুট করে কেটে দিলেন। মাঝরাতে জাতির ইমোশন নিয়ে খেলার কী দরকার ছিল।’
রবিউল ইসলাম নামে আরেকজন লিখেছেন, ‘মানুষ কাকে বিশ্বাস করবে? সাদিয়া আয়মানের মতো বড় অভিনেত্রী এত বড় প্রতারণা, ধোঁকা দিলো। আর আপনারা এত রাতে তার লাইভ দেখে আবার আতঙ্কে তার জন্য চিন্তিত হচ্ছিলেন? হায়রে মাইয়া মানুষ, এই আপনাদের অভিনেত্রী, একেই বলে সত্যিকারের অভিনেত্রী।’
আরেকজন প্রশ্ন ছুঁড়ে বলেন, ‘পিও সাদিয়া আয়মান, মধ্যরাতে এই নাটকটা না করলেও পারতেন। আজকাল প্রমোশন এত সস্তা হয়ে যাচ্ছে যে, মানুষের আবেগ নিয়ে খেলতে হবে?’ এক নেটিজেন মন্তব্যে লিখেছেন, ‘ওর (সাদিয়া আয়মান) বিচার হওয়া উচিত।’ কেউ লিখেছেন, ‘বয়কট সাদিয়া আয়মান।’ কারও কারও মতে সাদিয়ার মতো অভিনয়শিল্পীদের বর্জন করা উচিত।
এমন সব মন্তব্য দেখে ফেসবুক থেকে হাওয়া হয়ে গেছেন সাদিয়া আয়মান। নিজের আইডি ডিয়্যাকটিভ করে ফেলেছেন তিনি। ফোনে যোগাযোগ করা হলেও তার সাড়া পাওয়া যায়নি।
এলএ/জিকেএস/আরএমডি