‘কী ছিলে আমার’ গানের জনপ্রিয় শিল্পী মনি কিশোরের মরদেহ উদ্ধার
নব্বই দশকের জনপ্রিয় কণ্ঠশিল্পী মনি কিশোরের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। রাজধানীর রামপুরার বাসা থেকে শনিবার পুলিশ তার মরদেহ উদ্ধার করেছে। চার-পাঁচদিন আগে তার মৃত্যু হয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করছে পুলিশ।
মনি কিশোরের মৃত্যুর কারণ এখনো নিশ্চিত ভাবে জানা যায়নি। তবে রামপুরা থানা পুলিশ জানিয়েছে, শিল্পী মনি কিশোরের অস্বাভাবিক মৃত্যু হয়েছে।
রামপুরা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ আতাউর রহমান আকন্দ জাগো নিউজকে জানান, শিল্পী মনি কিশোর বাসায় একাই থাকতেন। কয়েকদিন ধরে তিনি ঘর থেকে বের হননি। ধারণা করা হচ্ছে, ঘুমের মধ্যেই তার মৃত্যু হয়েছে। তার শরীরে কোনো আঘাতের চিহ্ন দেখা যায়নি। তার মরদেহ ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে নেওয়া হয়েছে। ময়নাতদন্তের পর তার মৃত্যুর কারণ জানা যাবে।
জানা গেছে, মনি কিশোরের ফ্ল্যাটের দরজা ভেতর থেকে বন্ধ ছিল। বেশ কদিন ওই বাসা থেকে কোনো সাড়াশব্দ পাননি প্রতিবেশীরা। এক সময় দুর্গন্ধ পেয়ে তারা জরুরি সেবা ৯৯৯ এ কল করেন। পরে পুলিশ এসে দরজা ভেঙে শিল্পীর মরদেহ উদ্ধার করে।
মনি কিশোর গেয়েছেন প্রায় পাঁচ শতাধিক গান। তিনি বাংলাদেশ বেতার ও বাংলাদেশ টেলিভিশনের তালিকাভুক্ত শিল্পী ছিলেন। কিন্তু এই মাধ্যমগুলোতে খুব কমই গান গেয়েছেন তিনি। মূলত নব্বই দশকের রমরমা অডিও বাজারের গুরুত্বপূর্ণ শিল্পী ছিলেন তিনি। তার জনপ্রিয় গানের মধ্যে ‘সেই দুটি চোখ কোথায় তোমার’, ‘তুমি শুধু আমারই জন্য’, ‘মুখে বলো ভালোবাসি’, ‘আমি মরে গেলে জানি তুমি’ উল্লেখযোগ্য।
মনি কিশোরের আসল নাম মনি মন্ডল। বিখ্যাত শিল্পী কিশোর কুমারের ভক্ত ছিলেন বলে নামের সঙ্গে তিনি ‘কিশোর’ জুড়ে নিয়েছিলেন। অডিও বাজারের জনপ্রিয় শিল্পী হলেও সিনেমায় তিনি খুব কম গান গেয়েছেন। মনি কিশোরের সবচেয়ে শ্রোতাপ্রিয় গান ‘কী ছিলে আমার/বলো না তুমি’। তার লেখা ও সুর করা এই গানটি ‘কে অপরাধী’ সিনেমায় ব্যবহার করা হয়েছিল। তিনি ২০টির মতো গান লিখেছেন ও সুর করেছেন।
টিটি/এমএমএফ/এমআইএইচএস