সংগীত পরিচালক-সুরকার সুজেয় শ্যাম মারা গেছেন

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০৯:৩০ এএম, ১৮ অক্টোবর ২০২৪
সংগীতযোদ্ধা সুজেয় শ্যাম

স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রের অন্যতম সংগীতযোদ্ধা, সুরকার ও সংগীত পরিচালক সুজেয় শ্যাম মারা গেছেন। বৃহস্পতিবার দিনগত রাত ২টা ৫০ মিনিটের দিকে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান। তার বয়স হয়েছিল ৭৮ বছর।

বরেণ্য এই সংগীতশিল্পীর মৃত্যুর খবর জাগো নিউজকে নিশ্চিত করেছেন তার মেয়ে রুপা মঞ্জুরী শ্যাম (লিজা)।

রুপা মঞ্জুরী শ্যাম বলেন, ২০১৮ সাল থেকে বাবা ক্যানসারে ভুগছিলেন। চিকিৎসাও চলছিল। গত জুনে তার হৃদযন্ত্রে ‘পেসমেকার’ বসানো হয়। সব মিলিয়ে শরীর একেবারেই ভালো যাচ্ছিল না। গত ২৪ সেপ্টেম্বর  হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এবার আর বাবাকে ফেরানো গেল না। আমাদের সবাইকে তিনি ছেড়ে চলে গেলেন।

আরও পড়ুন

দীর্ঘদিন ধরে ক্যানসারসহ শারীরিক নানা জটিলতায় ভুগছিলেন সুজেয় শ্যাম। সম্প্রতি তার হৃদযন্ত্রে পেসমেকার বসানো হয়। পরে তার শরীরের ভেতর সংক্রমণ হলে এক পর্যায়ে তা রক্তে ছড়িয়ে পড়ে। এছাড়া অনিয়ন্ত্রিত ডায়াবেটিস ও কিডনির জটিলতাও ছিল।

প্রবীণ এ সংগীতশিল্পীর সুর করা গানগুলোর মধ্যে উল্লেখযোগ্য ‘রক্ত দিয়ে নাম লিখেছি’, ‘রক্ত চাই রক্ত চাই’, ‘আহা ধন্য আমার জন্মভূমি’, ‘আয় রে চাষি মজুর কুলি’, ‘মুক্তির একই পথ সংগ্রাম’, ‘শোন রে তোরা শোন’।

একাত্তরে স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রের শেষ গান এবং পাকিস্তান হানাদার বাহিনীর আত্মসমর্পণের পর প্রথম গানটির সুর করেছিলেন সুজেয় শ্যাম। ‘বিজয় নিশান উড়ছে ওই’ গানটির সুর ও সংগীত পরিচালনা করেছিলেন সুজেয় শ্যাম। গানটির গীতিকার ছিলেন শহীদুল আমিন। গানটির প্রধান কণ্ঠশিল্পী ছিলেন অজিত রায়।

১৯৪৬ সালের ১৪ মার্চ সিলেটে সুজেয় শ্যামের জন্ম। তার বাবা অমরেন্দ্র চন্দ্র শাহ ছিলেন ‘ইন্দ্রেশর-টি’ নামের একটি চা বাগানের মালিক। সিলেটেই কাটে তার শৈশব। দশ ভাইবোনের মধ্যে তিনি ছিলেন ষষ্ঠ।

আরও পড়ুন

দীর্ঘ সংগীত জীবনে বিভিন্ন পুরস্কারে ভূষিত হয়েছেন সুজেয় শ্যাম। সংগীতে অবদানের জন্য ২০১৮ সালে একুশে পদক এবং ২০১৫ সালে শিল্পকলা পদক পান তিনি। তার মৃত্যুতে দেশের সংগীতাঙ্গনে শোকের ছায়া নেমেছে।

এমকেআর/এমএমএফ/এমএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।