নোবেলজয়ীর দুই সিনেমার কাহিনি জানেন
সাহিত্যে চলতি বছর নোবেল পুরস্কার জিতেছেন দক্ষিণ কোরিয়ার লেখক হান কাং। এই শাখায় নোবেলজয়ী ১৮তম নারী তিনি। পৃথিবীতে যখন কেপপ-এর জয় জয়কার, তখন সাহিত্যে নোবেল জয় করে উন্মাদনায় নতুন মাত্রা যোগ করলেন হান। কোরীয় সংগীত, সিনেমা, সিরিজের পর এখন থেকে দেশটির সাহিত্যপাঠ আরও বেড়ে যাবে। জেনে বিস্মিত হতে হয়, এরই মধ্যে মুক্তি পেয়েছে এই সাহিত্যিকের লেখা দুটি সিনেমা।
হান কাংয়ের দুটি উপন্যাস অবলম্বনে নির্মিত হয়েছে দুটি সিনেমা। ২০০৯ সালে ‘ভেজেটারিয়ান’ ও ২০১১ সালে ‘স্কারস’। সিনেমা দুটি পরিচালনা করেছেন কোরীয় নির্মাতা লিম উ-সিওং। ‘দ্য ভেজেটারিয়ান’ উপন্যাসটি ২০০৭ সালে প্রকাশিত হয়। ২০১৫ সালে উপন্যাসটি ইংরেজিতে অনুবাদ করেন ডেবোরাহ স্মিথ। ২০১৬ সালে উপন্যাসটির জন্য ম্যান বুকার পুরস্কার পেয়েছিলেন তিনি। এ উপন্যাসে হান কাং মানুষের নিষ্ঠুরতায় আতঙ্কিত এক তরুণীর বেঁচে থাকার লড়াইয়ের গল্প তুলে ধরেছেন।
‘স্কারস’ ছবির মূল চরিত্রটিও একজন তরুণ শিল্পীর। তার স্বামী যখন অর্কেস্ট্রার এক তরুণ বেহালাবাদকের সঙ্গে প্রেমে জড়িয়েছেন, তখন সান-হি নামের ওই শিল্পী একাকী কাজের পরিপূর্ণতা খুঁজে পেতে সংগ্রাম করছেন। সে দেখতে পায়, আশপাশের সবাই আঘাতে জর্জরিত। এমনকি যখন ক্ষতগুলি সেরে গেছে, সেখানে কিছু রয়ে গেছে। নোবেল কমিটি জানিয়েছে, হান কাংয়ের গদ্য তীক্ষ্ণ ও কাব্যময়। তাতে ইতিহাসের যন্ত্রণাবিদ্ধ বিষয়ের সঙ্গে মুখোমুখি হয়ে বোঝাপড়ার প্রচেষ্টা আছে, আছে মানবজীবনের ভঙ্গুরতার কথাও।
হান কাংয়ের জন্ম ১৯৭০ সালে দক্ষিণ কোরিয়ার গোয়াংজু শহরে। সাহিত্যনুরাগী একটি পরিবারে বেড়ে উঠেছেন তিনি। বাবা হান সুং-ওনও দক্ষিণ কোরিয়ায় সুপরিচিত একজন ঔপন্যাসিক। ৫৩ বছর বয়সী হান কাংয়ের লেখক হিসেবে আত্মপ্রকাশ ঘটেছিল দক্ষিণ কোরিয়ার একটি সাময়িকীতে একগুচ্ছ কবিতা প্রকাশের মাধ্যমে। ১৯৯৫ সালে তার একটি ছোটগল্প সংকলন বের হয়। আর সেটার মধ্য দিয়েই তার গদ্য পাঠকের সামনে আসে। পরে হান কাং দীর্ঘাকার গদ্য লিখতে শুরু করেন। দক্ষিণ কোরিয়ান প্রথম নারী হিসেবে তিনি সাহিত্যে নোবেল পুরস্কার পেলেন। একই সঙ্গে দক্ষিণ কোরিয়া থেকে দ্বিতীয়বারের মতো নোবেল পুরস্কার পাওয়া ব্যক্তি হান কাং। তার আগে প্রথম দক্ষিণ কোরিয়ান হিসেবে শান্তিতে নোবেল পুরস্কার পান দেশটির সাবেক প্রেসিডেন্ট কিম দায়ে-জুং।
আরএমডি/জেআইএম