সংস্কার নিয়ে কথা বলার আমি কেউ না

মইনুল ইসলাম
মইনুল ইসলাম মইনুল ইসলাম , বিনোদন প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ১০:০০ এএম, ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৪
মামনুন হাসান ইমন। ছবি: ফেসবুক থেকে নেওয়া

আজ সোমবার ওটিটি প্ল্যাটফর্ম বিঞ্জে মুক্তি পাচ্ছে ইমন-সারিকা জুটির ওয়েব ফিল্ম ‘মায়া’। এই ওয়েব ছবিটি পরিচালনা করেছেন রায়হান রাফি। এই ছবির মাধ্যমে ওটিটিতে অভিষেক হতে যাচ্ছে মামনুন হাসান ইমনের। ফিল্ম ও অন্যান্য বিষয় নিয়ে তিনি কথা বললেন জাগো নিউজের সঙ্গে। সাক্ষাৎকার নিয়েছেন মইনুল ইসলাম।

জাগো নিউজ: কেমন আছেন?
ইমন: খুব ভালো আছি। কাল কিন্তু মায়া’র প্রিমিয়ার। আপনাকে কিন্তু আসতেই হবে। কোনো অজুহাত শুনতে চাই না। এখানে নতুন এক ইমনকে দেখবেন, একেবারে ‘চোখ ধাঁধনো’ ইমন (হাসি)।

সংস্কার নিয়ে কথা বলার আমি কেউ না

জাগো নিউজ: রায়হান রাফি মানেই তো সত্য ঘটনা অবলম্বনে সিনেমা। ‘মায়া’র ট্রেলার দেখেও সে রকম মনে হচ্ছে। আপনি কি ঘুমের গুমের শিকার কারও ভূমিকায় অভিনয় করছেন?
ইমন: একদম সত্য। রাফি মানেই সত্য ঘটনাকে অবলম্বন করে কাজ। আবার মৌলিক গল্পও কিন্তু সত্য ঘটনার সঙ্গে অনেকাংশে মিলে যায়। তবে আমার শুটিং করার সময়ই মনে হয়েছে, বাস্তবে কারও জীবনে ঘটে যাওয়া ঘটনাই হয়তো ‘মায়া’।

সংস্কার নিয়ে কথা বলার আমি কেউ না

জাগো নিউজ: অনেক দিন পর সারিকা সাবরিনের সঙ্গে আপনাকে দেখা যাবে। এক সময় তো আপনারা নিয়মিত কাজ করতেন। দীর্ঘদিন পর তার সঙ্গে কাজ করে কেমন লাগলো?
ইমন: পাঁচ বছর পর দেখা হয়েছে। আগে অনেক কাজ করেছি ওর সঙ্গে। পরে সে তার পরিবার নিয়ে ব্যস্ত হয়ে পড়েছে, আমি আমার জায়গায় ব্যস্ত হয়ে পড়েছি। অনেক দিন দেখা বা কথা হতো না। একসময় ভেবেছিলাম সারিকা কাজ বন্ধ করে দেবে, যেহেতু পরিবারকে সময় দিচ্ছে। তার স্বামী খুব ভালো মানুষ, বাচ্চা আছে। সবকিছু মিলে ভেবেছিলাম ও আর কাজ করবে না। এই ছবির গল্প শোনার সময় রাফিকে জিজ্ঞেস করেছিলাম, নায়িকা কে? সে জানিয়েছিল, চমক আছে। সেই চমক যে আমাকে হতবাক করে দেবে, তা বুঝতে পারিনি। পাঁচ বছর পর সারিকার সঙ্গে এই ছবির শুটিংস্পটে দেখা। মাঝে পাঁচ বছর আমার সঙ্গে তার কোনো রকম যোগাযোগ ছিল না। পুরোনো দিনের ইমন-সারিকাকে নিশ্চয়ই মানুষের মনে আছে। তারা নতুন দিনের ইমন-সারিকাকে দেখতে পাবেন ‘মায়া’য়।

jagonews24

জাগো নিউজ: দেশের সর্বত্র সংস্কার চলছে। আপনি বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্প সমিতির সঙ্গে আছেন। আপনার সমিতিতে কী কী সংস্কার করতে হবে বলে মনে করেন?
ইমন: এই প্রশ্নটা আমার জন্য অনেক ভারী। সংস্কার যদি পজিটিভ ওয়েতে হয়, সেটা ভালো। যদি নেগেটিভ ওয়েতে হয় তাহলে সেটা ভালো না। সমিতির সংস্কারকে যদি কেউ ভালো মনে করে তাহলে কেউ একজন উদ্যোগ নিক। যদি বর্তমান কমিটির ওপর সবার আস্থা থাকে, তাহলে যেভাবে চলছে চলুক। আসলে সংস্কার নিয়ে কথা বলার আমি কেউ না। এখনো অনেক সিনিয়র শিল্পী বেঁচে আছেন। তারা সিদ্ধান্ত নিক।

জাগো নিউজ: এখন থেকে কি ওটিটিতে আপনাকে নিয়মিত পাওয়া যাবে?
ইমন: ইচ্ছা তো আছে। তবে আমি গড়পড়তা কাজ করতে চাই না, ভালো কাজ করতে চাই। সেটার জন্য ছয় মাস অপেক্ষা করতে রাজি আছি। আগে, মানে ক্যারিয়ারের শুরুর দিকে হাতে অনেক ছবি থাকতো, সেটাই ভালো লাগতো, এখন লাগে না। এখন আমার মনে কেবল ভালো কাজের ক্ষুধা। আমাদের দেশের ওটিটি প্ল্যাটফর্মগুলো সিনেমার মানুষদের নিয়ে কাজ করতে চায় কম। ছোটপর্দার পাশাপাশি বড়পর্দার তারকাদের নিয়ে কাজ করতে হবে নিয়মিত। তাহলে দর্শকের কাছে গ্রহণযোগ্যতাও বাড়বে।

এমআই/আরএমডি/জিকেএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।