প্রতিবাদ করে ট্রলের শিকার, দুঃখ পেয়েছেন নচিকেতা

বিনোদন ডেস্ক
বিনোদন ডেস্ক বিনোদন ডেস্ক
প্রকাশিত: ০২:৩৫ পিএম, ৩১ আগস্ট ২০২৪

প্রতিবাদ আর কণ্ঠশিল্পী নচিকেতা চক্রবর্তী যেন মুদ্রারই এপিঠ ওপিঠ। নব্বই দশকের শুরুর দিকে গানে গানে নানা বিষয় নিয়ে প্রতিবাদ করাটাকে তিনি শিল্পে রুপ দিয়েছেন। স্বভাবতই সমাজ সচেতন একজন গায়ক হিসেবে দুই বাংলাতেই তিনি সমাদৃত।

সেই নচিকেতাকে ট্রলের মুখে পড়তে হলো প্রতিবাদ নিয়েই। আরজি কর কাণ্ডে প্রতিবাদে সরব পশ্চিমবঙ্গ। বিশেষ করে কলকাতার শোবিজ তারকারা তো প্রতিদিন বিচার দাবি করে রাস্তায় নামছেন। তবে অনেক তারকা প্রতিবাদ করেও হচ্ছেন কটাক্ষের শিকার! তেমনি একজন সংগীতশিল্পী নচিকেতা চক্রবর্তী।

প্রতিবাদে নেমেও তিনি ট্রলের শিকার হচ্ছেন। বিষয়টি নিয়ে মর্মাহত বহু কালজয়ী গানের এই শিল্পী। ভারতীয় বাংলা গণমাধ্যমে আক্ষেপ করে নচিকেতা বলেছেন, ‘৩১ বছর যে বাঙালির জন্য নিজেকে সঁপে দিলাম, সেই বাঙালিই আজ আমাকে ট্রল করছে! আমি সত্যিই দুঃখ পেয়েছি।’

১৪ আগস্ট আরজি করের ঘটনার প্রতিবাদে সমাজমাধ্যমে নিজের লেখা একটি কবিতা পাঠ করেন নচিকেতা। ‘মা তুমি এসো না’ শীর্ষক সেই কবিতা ছড়িয়ে পড়তেই শিল্পীকে নিয়ে শুরু হয় ট্রল।

বিষয়টি নিয়ে হতাশার কথাই বলেছেন নচিকেতা। কলকাতার সংবাদমাধ্যমে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে নচিকেতা বললেন, ‘প্রথম প্রতিবাদ তো আমিই করেছিলাম। কিন্তু এখন দেখছি, কারও পক্ষ নিয়ে প্রতিবাদ না করলে ট্রোলিং শুরু হবে!’

তার মতে, প্রতিবাদ কী ভাবে করা উচিত, সেটা একান্তই ব্যক্তির নিজের উপর নির্ভর করে। তার কথায়, ‘সেখানে আমাকে শুনতে হচ্ছে, আমি কেন রাস্তায় নেমে প্রতিবাদ করছি না! বাঙালির এই চেহারা আমার দেখা ছিল না।’

প্রতিবাদে মিছিলে হেঁটেছেন, এমন ব্যক্তিত্বদের নিয়েও ট্রোল হয়েছে বলে মনে করিয়ে দিলেন নচিকেতা। উদাহরণ হিসেবে তিনি অপর্ণা সেনের নাম উল্লেখ করলেন। নচিকেতার যুক্তি, ‘আসলে ওরা সমাজ থেকে শিক্ষিত মানুষকে সরিয়ে দিতে চাইছে!’

এলএ/এমএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।