পাঁচ শতাধিক বানভাসীর কাছে ত্রাণ পৌঁছে দিলেন চিকন আলী

বিনোদন প্রতিবেদক
বিনোদন প্রতিবেদক বিনোদন প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০২:১১ পিএম, ২৮ আগস্ট ২০২৪

চলচ্চিত্রের কৌতুক অভিনেতা চিকন আলী দাঁড়ালেন বন্যার্তদের পাশে। গত দুদিন নোয়াখালীর সোনাইমুড়িতে পাঁচ শতাধিক মানুষের হাতে ত্রাণ তুলে দিয়েছেন। ফান্ড গঠন করে চিড়া, গুড়, চিপস, চাল, মুড়ি বিশুদ্ধ পানি নিয়ে নিজে গিয়ে বন্যার্তদের হাতে ত্রাণ তুলে দিয়েছেন। আবারও যাওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছেন বলে জানান চিকন আলী।

সাম্প্রতিক সময়ে ভয়াবহ বন্যায় ফেনী, নোয়াখালীসহ ১০টির মতো জেলায় লাখ লাখ মানুষ পানিবন্দি। ঠিকমতো খাবার পাচ্ছেন না তারা। সীমাহীন কষ্টে দিন কাটানো এসব বানভাসী মানুষের পাশে দাঁড়ানোর তাগিদ অনুভব করেন দেশীয় চলচ্চিত্রের এই পরিচিত মুখ। এরপর সামাজিক মাধ্যমে ঘোষণা দেন বন্যার্তদের পাশে ছুটে যাবেন বলে। নিজের উদ্যোগে এবং আরও অনেকের কাছ থেকে পাওয়া সহায়তা নিয়ে বানভাসীদের জন্য সহযোগিতা নিয়ে ছুটে যান তিনি।

ঢাকায় ত্রাণ সামগ্রীর মূল্য বেশি হওয়ায় টাঙ্গাইল থেকে অনেককিছু কিনেছেন আলোচিত এই অভিনেতা। চিকন আলী বলেন, ‘আমি মানুষের পাশে থাকতে চেয়েছি। সেটা পেরেছি, এতেই শান্তি। তারা সেখানে আমাকে দেখে অনেক খুশিও হয়েছেন। কিন্তু বন্যার পানিতে তারা অনেক কষ্টে আছেন। এসব কষ্ট বর্ণনা করার মতো নয়।’

বন্যায় ত্রাণ দিতে গিয়েও ভোগান্তিতে পড়তে হয়েছে তাকে, এমনটা জানিয়ে বলেন, ‘আমি যেখানে গিয়েছি, সেখানে পানি আর পানি। বুক পর্যন্ত পানিতে নেমে ত্রাণ দিয়েছি। বন্যার পানিতে নানা ধরণের জীবানু থাকে। আমার শরীর চুলকাচ্ছে, তাহলে চিন্তা করেন এই পানির মধ্যে যারা বসবাস করছেন, যাদের দিনরাত কাটাতে হচ্ছে, তাদের কতটা কষ্ট হচ্ছে। মানুষ কোনোভাবে বেঁচে রয়েছে। একটা বড় অভিজ্ঞতা হচ্ছে, ওই এলাকায় মানুষের টাকার অভাব নাই। আমাদের চেয়েও অনেক বেশি টাকার মালিক তারা। কিন্তু সময়ের কাছে সবই মিথ্যে। প্রতিকূল সময়ে ধন সম্পদ আসলে কোনো কাজে আসে না। তাদেরও সব ধন-সম্পদ পানিতে তলিয়ে গেছে। কিছুই করতে পারছেন না চেয়ে চেয়ে দেখা ছাড়া। এই উপলব্দিটা আমার মধ্যে চিরকাল থাকবে।’

ত্রাণ কার্যক্রম ভেতরের দিকে চলছে না জানিযে তিনি আরও বলেন, ‘যারা ত্রাণ দিচ্ছেন তারা এলাকাগুলোতে ঢুকেই দিয়ে দিচ্ছেন। এতে করে অনেক ভেতরে যারা আটকে আছেন তাদের কাছে ত্রাণ যাচ্ছে না। বন্যা দুর্গত এলাকার প্রতিটি মানুষের ত্রাণ দরকার। অধিকাংশরাই শহরে অগ্রভাগে ত্রাণ দিয়ে চলে যাচ্ছেন। আমি স্থানীয় কিছু তরুণদের সাহায্য নিয়ে একেবারে প্রত্যন্ত গ্রাম পর্যন্ত গিয়েছি। দেখেছি নারী, শিশু এবং বয়স্করা অসহায় হয়ে কাতরাচ্ছেন। এসব দেখে আমার মধ্যে একটা ট্রমা কাজ করছে। আসলে ঢাকায় বসে আমরা ফেসবুক বা নিউজে যা দেখেছি বাস্তবে আরও সেখানে আরও ভয়ঙ্কর অবস্থা।’

সবাইকে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে বন্যা মোকাবিলায় কাজ করে যাওয়ার আহ্বান জানান চিকন আলী।

এমআই/এলএ/এমএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।