তিন শিল্পী গাইলেন ‘দুর্গম গিরি কান্তার মরু’
জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের গান-কবিতায় বিদ্রোহ বা বিপ্লব এসেছে চিরকালীন মুক্তির বার্তা নিয়ে। তার সেইসব সৃষ্টি কালকে জয় করে আজও প্রেরণা দেয়, সাহস দেয়। বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনেও কবির বহু গান-কবিতার পঙতি মিছিল আর স্লোগানে বারুদ হয়ে জ্বলেছিল। বিশেষ করে ‘কারার ঐ লৌহ কপাট’ ও ‘দুর্গম গিরি, কান্তার-মরু, দুস্তর পারাবার হে’ গান দুটি ছিল আলোচনায়।
এবার কবির ‘দুর্গম গিরি, কান্তার-মরু, দুস্তর পারাবার হে’ গানটি কণ্ঠে তুলে নিলেন দেশের জনপ্রিয় কণ্ঠশিল্পী পান্থ কানাই, অনিমেষ রায় ও সৈয়দ কামরুজ্জামান সুজন।
গতকাল ১২ ভাদ্র ছিল জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের ৪৯ তম প্রয়াণ দিবস। এদিন গানটি প্রকাশ পেয়েছে আরটিভি মিউজিকের ব্যানারে।
গনটি নিয়ে বেশ আশাবাদী পান্থ কানাই বলেন, ‘কাজী নজরুল ইসলামের মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে গানটি করার পরিকল্পনা করেন হীরা ভাই। সে সময় শিক্ষার্থীদের আন্দোলন শুরু হয়। আমাদের সবার কাছে এই গান খুব প্রাসঙ্গিক মনে হলো। নজরুল ইসলামের গান সব সময় আন্দোলনের জন্য প্রাসঙ্গিক। গানটি লেখার দীর্ঘ সময় পরও এটিকে প্রতিবাদের ভাষা হিসেবে বেছে নেন বিপ্লবীরা। অন্যরকম একটা আগুন জ্বালায় এ গান বুকের ভেতরে। নতুন সংগীতায়োজনে গানটি গেয়ে ভালো লাগছে। আমার বিশ্বাস স্রোতারা গানটি উপভোগ করবেন।’
কোক স্টুডিওর পর আবারও পান্থ কানাইয়ের সঙ্গে গান করলেন অনিমেষ। এ প্রসঙ্গে অনিমেষ বলেন, ‘পান্থ কানাই আমার প্রিয় শিল্পী। তার সঙ্গে আবারও গানের সুযোগ পেয়ে ভালো লাগলো। বেশি ভালো লাগছে একটি বিদ্রোহ ও বিপ্লবের গানে আমরা একসঙ্গে কণ্ঠ দিতে পারলাম।’
গানটির মিউজিক ভিডিও নির্মাণ করেছেন নুর হোসেন হীরা। তিনি মনে করেন জুলাই বিপ্লবের পর বর্তমানে দেশে বন্যার যে পরিস্থিতি তার মোকাবিলা করতে গিয়েও কবি নজরুলের এই গানটি সবাইকে প্রেরণা যুগাবে।
এলএ/এএসএম