নায়িকার চুড়ি ‘নাড়াচাড়া’ করেছিলেন নির্মাতা, ১৫ বছর পর অভিযোগ
যৌন হয়রানির ১৫ বছর পর নির্মাতার বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ করলেন পশ্চিমবঙ্গের নায়িকা শ্রীলেখা মিত্র। ঘটনাটি ঘটেছে দক্ষিণ ভারতের কেরালা রাজ্যের সমুদ্রতীরবর্তী শহর কোজিকোডে। অভিযুক্ত নির্মাতার মালায়ালাম সিনেমায় তার আর অভিনয় করা হয়নি।
সংবাদ সংস্থা এএনআই সূত্রে জানা গেছে, গতকাল ২৬ আগস্ট সোমবার কোচি থানায় চলচ্চিত্রকার রঞ্জিত বালাকৃষ্ণর বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ করেছেন শ্রীলেখা। আইজিপি এবং পুলিশ কমিশনার এস. শ্যামসুন্দর জানান, ভারতীয় সংবিধানের ৩৫৪ ধারায় নারী নির্যাতনের এই অভিযোগের তদন্ত সাপেক্ষে পদক্ষেপ নেওয়া হবে।
সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে কলকাতার অভিনেত্রী শ্রীলেখা অভিযোগ করেন, অন্ধকার ঘরে তাকে বিশ্রিভাবে স্পর্শ করেছিলেন রঞ্জিত। এর আগে সংবাদমাধ্যমেও এ নিয়ে কথা বলেছিলেন তিনি। পরে কেরালা চলচ্চিত্র অ্যাকাডেমির চেয়ারম্যানের পদ থেকে পদত্যাগ করেন রঞ্জিত। এবার তার বিরুদ্ধে সরাসরি থানায় অভিযোগ করলেন শ্রীলেখা।
এর আগে শ্রীলেখা জানিয়েছিলেন, মামুতি অভিনীত ২০০৯ সালের ‘পালেরি মণিক্যম: ওরু পাথিরাকোলাপাথাকাথিনতে কথা’ সিনেমায় অভিনয় করার কথা ছিল তারও। এ জন্য অভিনেত্রীকে কোচিতে ডেকে নেওয়া হয়। সকালে সেটে গিয়ে ফটোশুট করেন শ্রীলেখা, কস্টিউম এবং অন্যান্য বিষয়ে আলোচনাও করেন। বিকেলে মিটিংয়ের জন্য তাকে ডাকা হয় পরিচালকের বাড়িতে।
আরও পড়ুন:
অভিনেত্রী জানান, তিনি যখন রঞ্জিতের বাড়িতে যান, পরিচালক তখন ফোনে কথা বলছিলেন। বসার ঘরে আরও অনেকেই ছিলেন। তার অভিযোগ, ইশারায় শ্রীলেখাকে অন্ধকার বেডরুমে ডাকেন রঞ্জিত। তিনি দাঁড়িয়ে ছিলেন ঘরের বারান্দায়। শ্রীলেখা সেখানে যেতেই তার হাতের চুড়ি নিয়ে ‘নাড়াচাড়া’ করতে থাকেন রঞ্জিত। অভিনেত্রী তখন সতর্ক হয়ে ওঠেন। যদিও তখনও পরিচালকের অভিসন্ধি বুঝে উঠতে পারেননি ৩৩ বছর বয়সী শ্রীলেখা। পরে রঞ্জিত যখন তার চুল আর কাঁধে হাত দেন, তখন তিনি বুঝতে পারেন, ঘটনা অন্য দিকে মোড় নিচ্ছে। সঙ্গে সঙ্গে সেখান থেকে চলে আসেন শ্রীলেখা।
শ্রীলেখা চেয়েছিলেন রঞ্জিত তার কাছে ক্ষমা চাইবেন। কিন্তু রঞ্জিত সেটা করেননি। ‘পালেরি মণিক্যম: ওরু পাথিরাকোলাপাথাকাথিনতে কথা’ সিনেমাটিতে গুরুত্বপূর্ণ দুই নারী চরিত্রে অভিনয় করেছিলেন স্বেতা মেনন ও মিথিলি। ছবিটি কেরালা রাজ্য চলচ্চিত্র পুরস্কার পেয়েছিল। সেরা অভিনেতার পুরস্কার পেয়েছিলেন মামুতি ও অভিনেত্রীর পুরস্কার পেয়েছিলেন স্বেতা মেনন।
আরএমডি/এমএস