ধর্ষণের অভিযোগ করায় গায়িকার বিরুদ্ধে উল্টো মামলা

বিনোদন ডেস্ক
বিনোদন ডেস্ক বিনোদন ডেস্ক
প্রকাশিত: ০৮:৩৭ পিএম, ১৫ আগস্ট ২০২৪
মেলিসা শুম্যান, নিক কার্টার

ব্যাকস্ট্রিট বয়েজ ব্যান্ডের ভোকাল নিক কার্টারের বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ করেছিলেন কণ্ঠশিল্পী মেলিসা শুম্যান। উল্টো তার বিরুদ্ধে এবার মানহানির মামলা করেছেন নিক। পিপল ম্যাগাজিন জানিয়েছে, ধর্ষণের অভিযোগ অস্বীকার করে সম্প্রতি মেলিসার নামে ২৫ লাখ ডলারের মানহানির মামলা করেছেন নিক।

২০২৩ সালের এপ্রিল মাসে কার্টারের বিরুদ্ধে ধর্ষণের মামলা করেন মেয়েদের ব্যান্ড ড্রিমসের ভোকাল মেলিসা। অভিযোগে তিনি জানান, ২০০৩ সালে টেলিছবি ‘দ্য হোলো’ এর শুটিং চলাকালে কার্টার তাকে শান্তা মনিকার বাসায় ডেকে নিয়ে যান। সেখানে নেশাজাতীয় দ্রব্য খাইয়ে তাকে ধর্ষণ করেন। সেসময় নিকের বয়স ২২ এবং মেলিসার ১৮ বছর।

মেলিসার মামলার প্রায় ১ বছর পর তার বিরুদ্ধে উল্টো মানহানির মামলা করলেন নিক। তার অভিযোগ, ২০১৭ সালে মেলিসা তার ব্লগে প্রথম নিকের বিরুদ্ধে ধর্ষনের অভিযোগ করেন। তিনি তখনই বলেছিলেন যে, এসব মিথ্যে। পরে মেলিসা বিভিন্ন সাক্ষাৎকার ও অনুষ্ঠানে ওই অভিযোগের পুনরাবৃত্তি করতে থাকেন। এতে নিকের সুনাম নষ্ট হয়েছে। এসব তার আয়-রোজগারের ওপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলেছে এবং তিনি আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন। অভিযোগে নিক আরও উল্লেখ করেন, তাদের মধ্যে যা ঘটেছিল, তাতে দুপক্ষের সম্মতি ছিল। মেলিসার অভিযোগ হয়রানিমূলক ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত।

নিকের আইনজীবী জানান, মেলিসা উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে নিকের বিরুদ্ধে অভিযোগ করেছেন যা ভিত্তিহীন। তার আনা প্রতিটি অভিযোগ নিক অস্বীকার করেছেন। এ ছাড়া মেলিসার মামলার আইনগত কোনো ভিত্তিই নেই। এটা আরও আগে খারিজ হয়ে যাওয়া উচিত ছিল। অন্যদিকে মেলিসার আইনজীবী বলেন, নিকের পাল্টা মামলা ধর্ষণের অভিযোগ থেকে বাঁচার একটি কৌশল মাত্র। তিনি আগেও এ রকম করেছেন।

প্রসঙ্গত ২০২২ সালে নিকের বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ করেন বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন তরুণী শ্যানন রুথ। সেই মামলায় উল্লেখ করা হয়, ২০০১ সালে পর্যটকবাহী এক বাসে নিকের দ্বারা ধর্ষণের শিকার হন রুথ। সেসময় তার বয়স ছিল ১৭ বছর। ওই মামলার ক্ষেত্রেও নিক পাল্টা মামলা করেছিলেন।

জেএস/আরএমডি

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।