কলকাতা উত্তাল, বিচার চাইছেন তারকারাও

বিনোদন ডেস্ক
বিনোদন ডেস্ক বিনোদন ডেস্ক
প্রকাশিত: ০৮:১১ পিএম, ১০ আগস্ট ২০২৪

ফুঁসে উঠেছে ভারতের পশ্চিমবঙ্গ। কলকাতার আরজি কর হাসপাতালে তরুণ চিকিৎসককে ধর্ষণ করে খুনের ঘটনা মেনে নিতে পারেননি কেউ। এবারে এই ঘটনার বিচার চাইছেন সেখানকার তারকারাও। এমনকি প্রতিবাদ জানিয়ে পথে নেমেছেন বিনোদন অঙ্গনের বেশ কয়েকজন তারকাও।

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ঘটনার নিন্দা জানিয়ে প্রতিবাদ করেছেন অভিনেত্রী ঋতুপর্ণা সেনগুপ্ত, স্বস্তিকা মুখোপাধ্যায়, পরিচালক সৃজিত মুখোপাধ্যায়, অনিন্দিতা সর্বাধিকারীসহ আরও অনেকে। সৃজিত লিখেছেন, ‘আমার শহর কুণ্ঠিত বড়, ক্ষমা করো তুমি মেয়ে, পুরুষ বলেই গাইছি এ গান, শুধু মার্জনা চেয়ে।’ স্বস্তিকা লিখেছেন, ‘ভাষা নেই নিন্দের। এই দোষীদের অন্তত সাজা হোক। এবার আর মেয়েটার দোষ, সে ভুলভাবে ভুল সময়ে ভুল জায়গায় ছিল বলে তার দিকে আঙুল তুলব না।’ তিনি প্রশ্ন তুলেছেন, ‘একটা হাসপাতালেও মেয়েরা নিরাপদ নয়? যাব কোথায়?’

প্রতিবাদ জানিয়ে ঋতুপর্ণা লিখেছেন, ‘আর কত আঘাত পাবে পরিবারগুলো? কলেজ, হাসপাতাল কোথাও কি নিরাপত্তা নেই? এইভাবে মৃত্যু, কেন? কী এর ব্যাখ্যা? হতাশ আমরা... ক্ষুব্ধ... এত অন্যায় কেন?’ তিনি আরও লিখেছেন, ‘নিষ্পাপ মেয়েটি আর ফিরবে না। কী দোষ ছিল মেয়েটির? একজন চিকিৎসকে হারালাম... এত হিংস্রতা কেন?’ অভিনেত্রী রূপাঞ্জনা মিত্র বলেছেন, ‘আমরা আগেই হার মেনে নিই বলেই আমাদের লড়াই ছোট করে দেখা হয়! এখনই হার মানার সময় এসে গেছে? বিচার চাই! মানে, এবার বিচার চাই। অপরাধীদের কঠিন শাস্তি চাই, যা নজির হয়ে থাকবে।’ ‘আরজি কর মেডিক্যাল কলেজ, বিচার চাই’ লেখা একটি পোস্ট শেয়ার করে শিল্পী ইমন চক্রবর্তী লিখেছেন, ‘দয়া করে কেউ ফালতু জ্ঞান দিতে আসবেন না।’

গতকাল (৯ আগস্ট) শুক্রবার সকালে কলকাতার আরজি কর মেডিক্যাল কলেজের চার তলার সেমিনার হল থেকে কর্তব্যরত এক নারী চিকিৎসকের মরদেহ উদ্ধার করা হয়। ময়নাতদন্তের প্রাথমিক প্রতিবেদনে জানা গেছে, ওই তরুণীকে ধর্ষণ ও পরে খুন করা হয়েছে। তার শরীরের বিভিন্ন স্থানে ক্ষতচিহ্ন পাওয়া গেছে। দুই চোখ থেকে রক্ত পড়তেও দেখা গেছে। খুন এবং ধর্ষণের অভিযোগে একটি মামলা করা হয়েছে। ঘটনার তদন্তে বিশেষ কমিটি গঠন করা হয়েছে।

আরএমডি

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।