শনিবার বিকেল মুক্তি পাবে কবে?
হলি আর্টিজানের নির্মম ঘটনার ছায়া অবলম্বনে মোস্তফা সরয়ার ফারুকী নির্মাণ করেছেন ‘শনিবার বিকেল’ সিনেমা। প্রায় পাঁচ বছর ধরে সিনেমাটি দেশের সেন্সর বোর্ডে আটকে আছে। একাধিকবার প্রস্তুতি নিয়েও দেশের প্রেক্ষাগৃহে সিনেমাটি মুক্তি দিতে চেষ্টা করেও ব্যর্থ হয়েছেন পরিচালক।
নির্মাণের পর ২০১৮ সালের ডিসেম্বরে সেন্সরে ‘শনিবার বিকেল’ জমা দেন ফারুকী। দীর্ঘদিন আটকে থাকার পর নানা টালবাহানা শেষে গেল বছরের ২১ জানুয়ারি ছবিটি মুক্তির অনুমতি দেয় সেন্সর বোর্ডের আপিল কমিটি। তবে অল্প কয়দিন পর ফেব্রুয়ারিতে ছবিটির মুক্তির অনুমতি আবারও বাতিল করা হয়। সেসময় দেশে এটি মুক্তির সব প্রস্তুতি নিয়েও পিছু হটেন ফারুকী।
কেন বারবার ছবিটিকে আটকে দেয়া হয়েছে- এমন প্রশ্নে উঠে এসেছে আওয়ামী সরকারের অনাগ্রহই। নানা ইস্যুতে সরকারের সমালোচনা করে বিরাগভাজন হয়েছেন তিনি। সেসবের প্রতিক্রিয়ায় সরকারি আক্রোশের শিকার হয়েই তার ‘শনিবার বিকেল’ আটকে ছিল বলে মনে করতেন অনেকে। ইশারা ইঙ্গিতে মোস্তফ সরয়ার ফারুকীও সেদিকেই আঙুল তুলেছেন বারবার। এ ছবির শিল্প-কুশলীসহ শোবিজের অনেকেই ছবিটি মুক্তির জন্য মুখ খুলেছেন। কিন্তু লাভের লাভ হয়নি।
ছাত্র-জনতার ঐতিহাসিক আন্দোলনের মুখে আওয়ামী সরকারের পতন ঘটেছে। এবার কি ‘শনিবার বিকেল’ মুক্তির মুখ দেখবে? মোস্তফা সরয়ার ফারুকী বর্তমানে রয়েছেন অস্ট্রেলিয়ায়। এ প্রতিবেদন লেখার সময় তার সঙ্গে যোগাযোগ করা যায়নি। তবে তার বেশ কজন ঘনিষ্টজন দাবি করছেন, গুণি চলচ্চিত্র নির্মাতা মোস্তফা সরয়ার ফারুকী পরিচালিত ‘শনিবার বিকেল’ সিনেমাটির মুক্তি পাওয়া উচিত। তিনি প্রতিবাদী হয়ে বিগত সরকারের রোষের শিকার হয়েছেন। এটি কাম্য নয়। বৈষম্যবিরোধী শিক্ষার্থী আন্দোলনের সমর্থনে শুরু থেকেই সরব ছিলেন তিনি। রাজপথেও ছিলেন। পরিবর্তনের যে স্রোত সে ধারায় সব নেতিবাচকতা মুছে যাবে প্রত্যাশা সবার। যে সরকারই আসুক তারা যেন মুক্তচিন্তার চর্চাকে বেগবান করে। ‘শনিবার বিকেল’ যেন দ্রুতই মুক্তির অনুমতি পায়।
গেল বছরের মার্চে আমেরিকা ও কানাডায় মুক্তি পেয়েছিল মোস্তফা সরয়ার ফারুকী পরিচালিত সিনেমা ‘শনিবার বিকেল’। পেয়েছে আন্তর্জাতিক অনেক পুরস্কারও। এরপর সিনেমাটি মুক্তি পায় ভারতীয় প্লাটফর্ম সনি লাইভে।
‘শনিবার বিকেল’ সিনেমায় অভিনয় করেছেন জাহিদ হাসান, পরমব্রত চট্টোপাধ্যায়, নুসরাত ইমরোজ তিশা, ইন্তেখাব দিনার এবং ফিলিস্তিনি অভিনেতা ইয়াদ হুরানি প্রমুখ।
এলএ/জেআইএম