নীরবতার কারণ জানালেন ফারিণ

বিনোদন ডেস্ক
বিনোদন ডেস্ক বিনোদন ডেস্ক
প্রকাশিত: ০৭:৩৬ পিএম, ০৪ আগস্ট ২০২৪
তাসনিয়া ফারিণ। ছবি: সংগৃহীত

কোটা সংস্কার আন্দোলন নিয়ে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে সংহতি জানিয়েছেন দেশের শিল্পীসমাজ। তারা এরই মধ্যে নানান রকম কর্মসূচিতে অংশ নিয়েছেন। কথা বলছেন। প্রতিবাদ জানাচ্ছেন। এরই ধারাবাহিকতায় সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে পোস্ট দিয়ে আন্দোলনকারীদের কাছে ক্ষমা চেয়েছেন অভিনেত্রী তাসনিয়া ফারিণ।

ফারিণ ফেসবুকে লিখেছেন, ‘এতগুলো দিন পার হয়ে যাওয়ার পর আমার কিছু বলা বা না বলাতে কিছু আসা যায় না। তবু মনে হচ্ছে, আমার চুপ থাকাটাকে নিজের কাছে নিজের সহ্য হচ্ছে না।’

নীরব থাকা প্রসঙ্গে ফারিণ লিখেছেন, ‘আমি আমার নিজের নিরাপত্তার কথা চিন্তা করে নীরব ছিলাম।

আরও পড়ুন:

সাহসের অভাবে নীরব ছিলাম। নিজের স্বার্থের চেয়ে দেশের স্বার্থকে বড় করে দেখতে পারিনি। এ ব্যর্থতার দায় সম্পূর্ণ আমার। গা বাঁচিয়ে একটা দায়সারা বক্তব্য প্রদান করার চেয়ে আমার নীরব থাকাকে শ্রেয় মনে হয়েছে।

আজকে যখন হাজার হাজার মানুষ নিজের নিরাপত্তার কথা চিন্তা না করে শহীদ মিনারে জড়ো হলো ভবিষ্যতের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার তাগিদে, তখন নিজের বাসায় বসে নিজের নিরাপত্তার কথা ভাবাটাই হাস্যকর।’

নীরবতার কারণ জানালেন ফারিণ

নিজেকে স্বার্থপর মানুষ উল্লেখ করে ফারিণ লিখেছেন, ‘কারো কোনো সাহায্য-সহযোগীতা ছাড়া আপনারা সাধারণ মানুষ যারা এত সুন্দর করে দেশ সংস্কারের কাজ করে যাচ্ছেন, তারাই আসল সেলিব্রিটি। আমার মতো স্বার্থপর মানুষদের অনেক কিছু শেখার আছে আপনাদের থেকে। হয়তো একদিন আপনাদের মতো আমারও সাহস হবে, কোনো কিছু লিখতে-বলতে গিয়ে দশবার ভাবতে হবে না। এখনো অনেক কথা লিখতে গিয়ে বারবার মুছে ফেলছি।

আপনাদের মনে কষ্ট দিয়েছি। আমি ক্ষমাপ্রার্থী। বাংলাদেশের নাগরিক হিসেবে চাই গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠিত হোক। কেউ পারলে আপনারাই পারবেন।’

এদিকে কোটা সংস্কার ঘিরে আন্দোলনকারীদের সরকার পতনের এক দফা দাবি ঘোষণার পর গতকাল শনিবার সারা দেশে সংঘর্ষ হয়েছে। আজ (৪ আগস্ট) রবিবারও আন্দোলনকারী ও সরকারদলীয় নেতাকর্মীদের পাল্টাপাল্টি কর্মসূচি রয়েছে দেশজুড়ে। এরই মধ্যে অসহযোগ আন্দোলনের ডাক দিয়েছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন।

এমআই/এমএমএফ/এএসএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।