যে দুই দলের হয়ে রাজনীতি করতেন শাফিন, হয়েছিলেন মেয়র প্রার্থীও
সংগীত তারকা শাফিন আহমেদ ৬৩ বছর বয়সে আজ (২৫ জুলাই) সকাল ৬টা ৫০ মিনিটে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেছেন। তার মৃত্যুতে শোকের ছায়া নেমেছে সংগীতাঙ্গনে। শাফিন আহমেদ গানের মানুষ হলেও সক্রিয় ছিলেন রাজনীতিতে। ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন (ডিএনসিসি) উপনির্বাচনে মেয়র পদে প্রার্থীও হতে চেয়েছিলেন। অনেকটা হুট করেই তিনি রাজনীতিতে এসেছিলেন। তিনি মৃত্যুর আগ পর্যন্ত জড়িয়ে ছিলেন জাতীয় পার্টির রাজনীতির সঙ্গে।
২০১৯ সালে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন (ডিএনসিসি) উপনির্বাচনে মেয়র পদে প্রার্থী হওয়ার জন্য মনোনয়নপত্রও জমা দিয়েছিলেন। কিন্তু অভিষেকটা ভালো হয়নি তার। শাফিন ঋণখেলাপি- এই অভিযোগে নির্বাচন কমিশন (ইসি) তার মনোনয়নপত্র বাতিল করেছিল।
২০১৮ সালে শাফিন আহমেদ জাতীয় পার্টিতে যোগ দিয়েছিলেন। বারিধারার প্রেসিডেন্ট পার্কে পার্টির চেয়ারম্যান এইচ এম এরশাদের হাতে ফুল দিয়ে তিনি যোগ দেন। এর আগে ২০১৭ সালের ফেব্রুয়ারিতে ববি হাজ্জাজের নেতৃত্বাধীন জাতীয়তাবাদী গণতান্ত্রিক আন্দোলনে (এনডিএম) যোগ দেন ব্যান্ড তারকা শাফিন আহমেদ। সেই দলের হয়ে গত সিটি নির্বাচনে ঢাকা উত্তরের মেয়র পদে নির্বাচনে প্রার্থীও হতে চেয়েছিলেন। তিনি ছিলেন দলটির উচ্চ পরিষদের সদস্য। শেষ পর্যন্ত ঢাকা উত্তরের মেয়র নির্বাচন স্থগিত হয়ে যাওয়াতে শাফিনকেও আর দেখা যায়নি।
তবে নিজেকে রাজনীতিবিদের চেয়ে গানের মানুষ হিসেবেই পরিচয় দিতে বেশি পছন্দ করতেন শাফিন। ২০১৮ সালে জাতীয় পার্টিতে যোগ দেয়ার পর এক বক্তব্যে ভক্তদের উদ্দেশ্যে বলেছিলেন, ‘আমার রাজনীতি নিয়ে ভক্তদের এত বেশি চিন্তিত হওয়ার কোনো কারণ নেই, আমি প্রথমত মিউজিশিয়ান। এরপর রাজনীতিবিদ।’
প্রসঙ্গত, শাফিন আহমেদ গানের দল মাইলসের হয়ে অনেক গানে কণ্ঠ দেন। এসব গানের মধ্যে আছে ‘চাঁদ-তারা’, ‘ধিকিধিকি’, ‘ফিরিয়ে দাও’, ‘জ্বালা জ্বালা’, ‘পিয়াসি মন’, ‘ভুলবো না তোমাকে’সহ মাইলসের অনেক জনপ্রিয় গানের সুর-সংগীত মানাম আহমেদের। মাইলসের বাইরেও শাফিন আহমেদ অনেক মিশ্র অ্যালবামের গানে কণ্ঠ দিয়েছেন। গেয়েছেন চলচ্চিত্রের গানও।
এলএ/জেআইএম