‘তার অনুপ্রেরণা সকল কিছুকে ছাড়িয়ে গেছে’

মইনুল ইসলাম
মইনুল ইসলাম মইনুল ইসলাম , বিনোদন প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০৯:৫৭ পিএম, ১৩ জুলাই ২০২৪

ক্লোজআপ ওয়ান তারকা কণ্ঠশিল্পী সাজিয়া সুলতানা পুতুলের আজ জন্মদিন। এই দিনে তিনি কৃতজ্ঞচিত্তে স্মরণ করলেন তার সংগীত জীবনের প্রেরণাকে। সেই সঙ্গে জাগো নিউজকে জানালেন সংগীত জীবন নিয়ে তার ভাবনার কথা।

শুভ জন্মদিন।
ধন্যবাদ।

কেমন আছেন?
খুব ভালো আছি।

জন্মদিনটা কীভাবে কাটালেন?
দুপুরে রেজার সঙ্গে লাঞ্চে গিয়েছিলাম। সন্ধ্যায় বাবা-মাসহ পরিবারের সবাইকে নিয়ে ছোট্ট একটা ঘরোয়া পার্টি। এই আর কি। প্রতিবার এভাবেই করি আর কি। এতেই আমি স্বস্তি বোধ করি। বয়স বাড়ছে, পরিণত হচ্ছি, তাই জন্মদিনটা এ রকম নিজেদের মতো উদযাপন করতেই পছন্দ করি।

সংগীতজীবনে আপনার পথপ্রদর্শক কে, যাকে আজ শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করবেন?
আমার শৈশব থেকে বিবাহিত জীবনের আগ পর্যন্ত একটা অধ্যায়, আর বিবাহিত জীবনের পর থেকে আরেকটা অধ্যায়। প্রথম অধ্যায়ে পরিবারের সবাই, বিশেষ করে প্রথম অনুপ্রেরণা আমার বড় ভাই সৌরভ। তার কাছে আমার গানে হাতেখড়ি। সংগীত ও সাহিত্যে তার একটা প্রভাব আছে। গত ৩ বছরে গানের অনুপ্রেরণার জায়গাটা একটু বদলে গেছে। এখন সবচেয়ে বড় জায়গাটায় রয়েছে রেজা। তার অনুপ্রেরণা এত বেশি যে, বিগত সকল কিছুকে সেটা ছাড়িয়ে গেছে।

সংগীত শিল্পীতার অনুপ্রেরণা সকল কিছুকে ছাড়িয়ে গেছে

গানে তো অনেকদিন, আকাঙ্ক্ষিত গানটা কি আজও গাইতে পেরেছেন?
পুতুলের নিজের একটা ধারা আছে। পতুল নিজেই সবকিছু করে। যে কাজটা আমাকে বাঁচিয়ে রাখবে, সেটাই মূলত আমি। অন্য কাজগুলো সবার সঙ্গে করি, শ্রোতাপ্রিয় হলে আমার বাড়তি আনন্দ হয়। কিন্তু ‘পুতুল-গান’-এ আমাকে যেভাবে আমি তুলে ধরতে পারি, সেটা মূলত পুতুলের শিল্পী সত্তা। আমি বিশ্বাস করি, ওই কাজগুলো আমাকে বাঁচাবে। খুব নিরীক্ষা করে এক একটা কাজ করি। যেমন গত মাসে আমার কন্যার জন্মদিন ছিল। তার দ্বিতীয় জন্মদিন উপলক্ষে ‘গীতলীনা’ শিরোনামে একটা গান ছেড়েছি, ১৭ মিনিটের কম্পোজিশন। এসব ব্যক্তিগত অনূভুতি আমার পুতুল-গানে থাকে। এ ধরনের কাজের তৃষ্ণা মিটতেই চায় না। কোনো শিল্পী বলতে পারবে না যে, আমার কাঙ্ক্ষিত গানটা আমি গেয়ে ফেলেছি। আমিও বলতে পারব না। আমি সংগীতের পথে হাঁটছি। নিজেকে এই পথের অনন্ত পথিক ধরি নিয়েছি। আর এই পথে হাঁটতে হাঁটতেই পরিণত বোধে পৌঁছাতে চাই।

এখনকার ঢাকার অডিও ইন্ডাস্ট্রি নিয়ে আপনার মত কী?
ধরণ বদলেছে। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে শ্রোতাদের মানসিকতায় পরিবর্তন এসেছে। শিল্পীদের গান প্রকাশের ধারায় পরিবর্তন এসেছে। সময়ের বিবর্তন বলা যায় একে। আমার মনে হয়, মৌলিক কাজ টিকে যায়। তাৎক্ষনিক ফলাফল না এলেও সময়ের সঙ্গে সঙ্গে টিকে যাবে। এজন্য সময় দিতে হবে। আর এই সময়ে কোন গান টিকবে, আর কোনটা টিকবে না সেটা বলা যায় না। সময়ই বলে দেবে।

সংগীত শিল্পীতার অনুপ্রেরণা সকল কিছুকে ছাড়িয়ে গেছে

সামনে কাজ কী আসছে?
অনেক কাজ। তৈরি আছে। ধীরে ধীরে জানাব।

ধন্যবাদ আপনাকে।
জন্মদিনে আমাকে স্মরণ করার জন্য আপনাকেও ধন্যবাদ।

আরএমডি/জেআইএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।