দেখুন বাংলা ছবির সেরা পাঁচটি রোমান্টিক গান


প্রকাশিত: ১০:১৪ এএম, ২৬ এপ্রিল ২০১৬

নব্বই দশকের অমর নায়ক সালমান শাহকে আজও তার ভক্তরা মনে রেখেছেন মন ভরানো রোমান্টিক অভিনয়ের জন্য। বলা হয়ে থাকে, সালমানের পর তার মতো নিখুত অভিনয় ও স্টাইলিশ হিরো আর ইন্ডাস্ট্রিতে আসেনি।

সালমানের ছবি মানেই ছিলো শাশ্বত প্রেম আর রোমান্সের মুন্সিয়ানা। তার প্রতিটি ছবিতেই থাকতো হৃদয় ছুঁয়ে যাওয়া রোমান্টিক গান। সেগুলো ঘুরে ফিরে বাজতো মানুষের মুখে মুখে। আজো সেইসব গান মুগ্ধতা দিয়ে যায়।

একইভাবে সালমান পরবর্তীতে আরো বেশ ক`জন নায়ক রোমান্টিকতার প্রতীক হয়ে আবির্ভূত হয়েছেন। তাদের মধ্যে সবার আগে থাকবে রিয়াজের নামটি। রিয়াজের প্রায় প্রতিটি ছবিই রোমান্টিক গানের জন্য আলাদা করে গ্রহণযোগ্যতা পেত দর্শকদের কাছে।

তার পরবর্তীতে আরো অনেকেই রোমান্সের নায়ক বা অভিনেতা হিসেবে পর্দায় হাজির হয়েছেন। তাদের অভিনয়ে জনপ্রিয়তা পেয়েছে বহু প্রেমের গান। সেইসব গানের মধ্যে অন্যতম জনপ্রিয় পাঁচটি গানের লিংক নিচে দেয়া হলো-

আমি তোমার প্রেমে পাগল (দেনমোহর)
১৯৯৫ সালের রোজা ঈদে মুক্তি পায় শফী বিক্রমপুরী পরিচালিত ‘দেনমোহর’ ছবিটি। এতে অভিনয় করেছিলেন এক সময়ের তুমুল জনপ্রিয় জুটি সালমান শাহ ও মৌসুমী। ছবিতে ‘আমি তোমার প্রেমে পাগল তাই তো করি পাগলামি’ শিরোনামের গানটি দারুণ জনপ্রিয়তা পেয়েছিলো। আজও সালমান-মৌসুমী জুটির ভক্তরা এই গানে খুঁজে ফিরেন নিজেদের যৌবনের ফেলে আসা রোমান্টিকতা।



ভালো আছি ভালো থেকো ( তোমাকে চাই)
মৌসুমীর সঙ্গে অভিমান শুরু হলে শাবনূরকে নিয়ে জুটি গড়ে তোলেন সালমান শাহ। সেই ধারাবাহিকতায় ১৯৯৩ সালে মুক্তি পায় ‘তোমাকে চাই’ ছবিটি। মতিন রহমান পরিচালিত এই ছবিতে সালমান-শাবনূরের অভিনয় মুগ্ধ করেছিলো চলচ্চিত্রপ্রেমীদের। তবে সবকিছু ছাপিয়ে গিয়েছিলো ছবিতে প্রয়াত কবি রুদ্র মুহম্মদ শহিদুল্লাহর কথা ও সুরে ‘ভালো আছি ভালো থেকো’ শিরোনামের বিখ্যাত গানটি। এন্ড্রু কিশোর ও কনক চাপার কণ্ঠে গানটির নতুন সংগীতায়োজন করেছিলেন কিংবদন্তি গীতিকবি ও সংগীত পরিচালক আহমেদ ইমতিয়াজ বুলবুল। আর এই গানে সালমান-শাবনূরের অভিনয় ছিলো অনবদ্য। বিশেষ করে শাবনূরের চিঠি পাওয়ার পর আবেগে সালমানের চোখের জল মুছার দৃশ্য আজো প্রেমিক হৃদয়ে ঝড় তুলে।



পড়েনা চোখের পলক ( প্রাণের চেয়ে প্রিয়)
চিত্রপরিচালক মুহাম্মদ হান্নান ১৯৯৭ সালে মুক্তি দেন ‘প্রাণের চেয়ে প্রিয়’ ছবিটি। কে জানত এই ছবি দিয়ে উত্থান হবে রিয়াজ নামে নায়কের? যিনি সালমান পরবর্তী ঢাকাই ছবিতে রোমান্টিকতার সাম্রাজ্য শাসন করবেন! এই ছবিতে রিয়াজের বিপরীতে অভিনয় করে প্রশংসিত হয়েছিলেন ভারতের নায়িকা রাভিনা। তবে ছবিটির জনপ্রিয়তার কারণ হিসেবে মনে করা হয় ‘পড়েনা চোখের পলক’ শিরোনামের গানটি। এন্ড্রু কিশোরের গাওয়া এই গানটি দেশজুড়ে দারুণ জনপ্রিয়তা পেয়েছিলো। প্রায় সবখানেই বাজতে শোনা যেত গানটি। গানটি দিয়ে রাতারাতি তারকা বনে যান রিয়াজ। ইন্ডাস্ট্রিও যেন সালমানের শোক কাটিয়ে নড়ে চড়ে বসলো এই সুন্দর মুখের নায়ককে পেয়ে। শুধু তাই নয়, এই গানের জনপ্রিয়তা থেকে অনুপ্রাণীত হয়ে শাকিব খান ও অপু বিশ্বাস জুটিকে নিয়ে ‘পড়ে না চোখের পলক’ নাম দিয়ে একটি চলচ্চিত্রও নির্মাণ করা হয়েছিলো।



নিথুয়া পাথারে (মনপুরা)
গিয়াসউদ্দিন সেলিম পরিচালিত ২০০৯ সালে মুক্তি পায় ‘মনপুরা’ চলচ্চিত্র। এই ছবির গান ‘নিথুয়া পাথারে’ রোমান্টিক গান হিসেবে দর্শক-শ্রোতাদের মন জয় করে নিয়েছিলো। সংগৃহীত কথার গানটিতে কণ্ঠ দিয়েছিলেনৈ অভিনেতা ফজলুর রহমান বাবু। আর এই গানের দৃশ্যায়নে অংশ নিয়েছিলেন ছবির প্রধান দুই চরিত্রে অভিনয় করা চঞ্চল চৌধুরী ও ফারহানা মিলি।



কি জাদু করেছো বলো না ( আমার প্রাণের প্রিয়া)
যখন চলচ্চিত্রে ভালো গল্পের খরা, গানের খরা ঠিক তখনই জনপ্রিয় নির্মাতা জাকির হোসেন রাজু হাজির হলেন ‘আমার প্রাণের প্রিয়া’ নামের ছবিটি নিয়ে। প্রেমের মন ভরানো এক গল্প পেয়ে ছবিটি লুফে নিয়েছিলো দর্শক। পাশাপাশি সুপারহিট হয়েছিলো ছবিতে ‘কি জাদু করেছ বলো না’ শিরোনামের গানটি। গানটিতে কণ্ঠ দিয়েছিলেন কনক চাপা ও এন্ড্রু কিশোর। ঠোঁট মিলিয়েছিলেন শাকিব খান ও বিদ্যা সিনহা মিম।



এলএ

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।