প্রযোজনায় ফিরছেন ইলিয়াস কাঞ্চন


প্রকাশিত: ১১:৩৫ এএম, ২৪ এপ্রিল ২০১৬
ফটোগ্রাফার : মনজুরুল আলম

অভিনয় দিয়ে তিনি বাংলা ছবির দর্শকদের হৃদয়ে ঠাঁই করে নিয়েছেন অনন্য উচ্চতায়। চলচ্চিত্রে তার উপস্থিতি সব্সময়ই প্রাণবন্ত। তিনি উপহার দিয়েছেন ‘বেদের মেয়ে জোছনা’ নামের কালজয়ী এক চলচ্চিত্রও।

বলছি নন্দিত চলচ্চিত্রাভিনেতা ইলিয়াস কাঞ্চনের কথা। একসময় তিনি অভিনয়ের পাশাপাশি চলচ্চিত্র প্রযোজনাও করেছেন।তার প্রযোজনা সংস্থার নাম ‘জয় চলচ্চিত্র’। সর্বশেষ তিনি ২০০০ সালে ছবি প্রযোজনা করেছিলেন। এরপর থেকেই বন্ধ রয়েছে এই প্রতিষ্ঠানটির চলচ্চিত্র প্রযোজনা। তবে আবারো চলচ্চিত্র প্রযোজনায় ফিরতে চান বলে জানালেন আশির দশকের জনপ্রিয় অভিনেতা চিত্রনায়ক ইলিয়াস কাঞ্চন। গতকাল শনিবার, ২৩ এপ্রিল সন্ধ্যায় রাজধানীর একটি পাঁচ তারকা হোটেলে বিজলি ছবির মহরতে উপস্থিত থেকে ইলিয়াস কাঞ্চন এমনটাই জানালেন।

তিনি বলেন, ‘আমার প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান থেকে বেশ কিছু চলচ্চিত্র নির্মাণ করেছি। কিন্তু ২০০১ সালের পর থেকে আমি ছবিতে বিনিয়োগ বন্ধ করে দেই। কারণ অশ্লীলতা আর পাইরেসির প্রকট ছিল তখন।’

ইলিয়াস কাঞ্চন আরো বলেন, ‘এখন চলচ্চিত্র থেকে অশ্লীলতা কিছুটা সরে গেলেও পাইরেসি থেকে চলচ্চিত্র পুরোপুরি সরে আসেনি। তাছাড়া এখন নতুন সমস্যা হচ্ছে হল সংকট। শুধু তাই নয়, হলে ছবি নির্মাণের পর প্রদর্শন করতে বিভিন্ন যন্ত্রপাতি ভাড়া করে আনতে হয়। যার জন্য বাড়তি পয়সা খরচ হয়। একজন প্রযোজক হিসেবে এই যন্ত্রপাতি ভাড়া করার ব্যাপারটি আমার সম্মানে লাগে। সেজন্য আমি প্রযোজনা থেকে দূরে সরে গেছি।’

এক সময়ের জনপ্রিয় নায়ক আরো বলেন, ‘এখন ডিজিটাল ফরম্যাটে অনেক ভালো ছবি নির্মাণ হচ্ছে। সরকার যদি হল সংস্কারে এগিয়ে আসেন তবে আমি অবশ্যই আবারো খুব শিগগির ছবি প্রযোজনা শুরু করবো। আমি চলচ্চিত্রের মানুষ। এখানেই চিরদিন থাকতে চাই। আমার ছেলে মেয়েরাও বলে, এভাবে বসে না থেকে চলচ্চিত্র প্রযোজনা করতে। কিন্তু ওই যে বললাম, যন্ত্রপাতি ভাড়া করে হলে হলে নিয়ে গিয়ে আতি ছবি চালাতে পারব না। আমার নিজের দিক থেকে আমি পুরোপুরি প্রস্তুত। এখন দরকার শুধু সরকারি পৃষ্ঠোপোষোকতা। আমার মনে হয়, সরকার হলগুলোর সংস্কার করলে আমার মতো আরো অনেকেই চলচ্চিত্রে ফিরে আসবে। সেটা হোক প্রযোজনা দিয়ে কিংবা অভিনয়-পরিচালনা।’

এলএ/পিআর

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।