চড়কাণ্ডে ক্ষমা চেয়েও থানায় গেলেন সোহম
কলকাতার নিউ টাউনের এক রেস্তোরাঁর মালিককে গতকাল চড় মারার ঘটনায় ক্ষমা চেয়েছেন টালিউড অভিনেতা ও তৃণমূল বিধায়ক সোহম চক্রবর্তী। পাশাপাশি তিনি আরও বলেন, ‘ওই ঘটনার সঙ্গে তৃণমূলের কোনো সম্পর্ক নেই বলে।’ সিসিটিভির ফুটেজের বেশিরভাগটাই ডিলিট করা দেওয়ার অভিযোগও করলেন তিনি। তবে ক্ষমা চেয়েও একটি কাজ করলেন সোহম চক্রবর্তী।
গতকাল সন্ধ্যার নিউ টাউন থানায় যান সোহম চক্রবর্তী। সেখানেই তিনি রেস্তোরাঁর ম্যানেজার ও মালিকের বিরুদ্ধে পাল্টা অভিযোগ দায়ের করেন। এদিন সন্ধ্যা টেকনো সিটি থানায় আসেন ওই রেস্তোরাঁর মালিকও।
আরও পড়ুন:
এদিন ওই রেস্তোরাঁয় যায় টেকনো সিটি থানার পুলিশ। সেখানে গিয়ে রেস্তোরাঁর কর্মীদের বায়ান রেকর্ড করে পুলিশ। সেই বক্তব্যই অভিযোগ হিসেবে গ্রহণ করা হয়। সেই বক্তব্য অনুযায়ী সোহম ও তার কয়েকজন সঙ্গীর বিরুদ্ধে অভিযোগ নথিভুক্ত করেছে পুলিশ। অন্যদিকে সন্ধ্যায় এসে ওই রেস্তোরাঁর মালিক ও ম্যানেজারের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেন সোহম চক্রবর্তী।
সোহমের অভিযোগ, মারধরের সিসিটিভি ফুটেজ বাইরে আনা হয়েছে। কিন্তু তার আগের ঘটনার ভিডিও প্রকাশ্যে আনা হয়নি। সেই ছবি প্রকাশ করা হোক। কারণ সেইসময় তার নিরাপত্তারক্ষীদের কটূক্তি কার হচ্ছিল, তাদের ধাক্কাধাক্কিও করা হয়। এ নিয়েই হাতাহাতি শুরু হয়। ওই ভিডিও প্রকাশ্যে আনলেই বিষয়টি পরিষ্কার হয়ে যাবে।
থানা থেকে বেরিয়ে সোহম বলেন, ওইদিন যা ঘটেছিল সেটাই পুলিশকে বলেছি। রেস্তোরাঁর মালিক ও ম্যানেজারের নামে অভিযোগ করেছি। যা বারবার দেখানো হচ্ছে তা ভেতরের ঘটনা। তার আগেরটা অনুসন্ধান করুন। সবকিছু স্পষ্ট হয়ে যাবে।
কলকাতার নিউ টাউনের সাপুর্জির এলাকার একটি রেস্তোরাঁয় শুটিং চলছিল অভিনেতা তথা বিধায়ক সোহম চক্রবর্তীর। সেখানেই গাড়ি পার্কিং করা নিয়ে রেস্তোরাঁ মালিকের সঙ্গে কথা কাটাকাটি।
তারপরই বেধড়ক মারধরের অভিযোগ ওঠে সোহমের বিরুদ্ধে। অভিযোগ, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের নাম করে তাকে লাথি মারা হয়েছে। এমনকি রেস্তোরাঁর অন্য কর্মচারীদের ধরেও মারধর করা হয়েছে। জানা গিয়েছে, রেস্তোরাঁর সামনে সোহমের গাড়িটি রাখা ছিল।
রেস্তোরাঁ মালিক এসে গাড়িটি সরাতে বলে, সেই নিয়ে বিধায়ক-অভিনেতার নিরাপত্তারক্ষীদের সঙ্গে মালিকের কথা কাটাকাটি শুরু হয়। চিৎকার চেঁচামেচি শুনে সোহম শুটিং ছেড়ে নিচে নেমে আসে। অভিযোগ তারপরই রেস্তোরাঁ মালিককে মারধর করেন সোহম।
যদিও সোহমের দাবি, ‘অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের নামে গালাগালি করছিলেন রেস্তোরাঁ মালিক। সেই কারণে আমিও মেরেছি।’ এই ঘটনার পর টেকনোসিটি থানার পুলিশ এসে ওই রেস্তোরাঁ মালিক ও ম্যানেজারকে আটক করে থানায় নিয়ে যায়। কিছুক্ষণ পর তাদেরকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে বলে জানা যায়।
এমএমএফ/এমএস