বেরিয়ে যাওয়া দর্শক ঘরে ফেরানো কঠিন : ফজলুর রহমান বাবু


প্রকাশিত: ০৯:৫৪ এএম, ২০ এপ্রিল ২০১৬
ছবি : মাহবুব আলম

জনপ্রিয় অভিনেতা ফজলুর রহমান বাবু। ছোটপর্দার অসংখ্য দর্শকনন্দিত নাটক তার ঝুলিতে। শুধু নাটক নয়, একাধিক চলচ্চিত্রে কাজ করেও প্রশংসিত হয়েছেন তিনি। সেইসাথে তার গাওয়া বেশ কিছু গানও শ্রোতাপ্রিয়তা পেয়েছে।

সব্যসাচী এই শিল্পী বর্তমানে কাজ করছেন প্রসুন রহমানের দ্বিতীয় চলচ্চিত্র ‌‘ঢাকা ড্রিম’-এ। এখানে আয়নাল ফকিরের চরিত্রে দেখা যাবে বাবুকে। এরইমধ্যে চরিত্রটি বেশ আলোচনায় এসেছে। নতুন চলচ্চিত্রে নতুন চরিত্র আর বর্তমান ব্যস্ততা নিয়ে জাগো নিউজের মুখোমুখি হলেন তিনি। গতকাল মঙ্গলবার বিকেলে তার নিজ বাসায় এক ঘরোয়া আড্ডায় জানালেন নাটক-চলচ্চিত্র নিয়ে তার সাম্প্রতিক ভাবনার কথাও-

জাগো নিউজ : ভালো আছেন তো?
বাবু : আছি, খুব ভালোই আছি। সেজন্য উপরওয়ালার কাছে লাখ-কোটি শুকরিয়া। শতকিছুর পরও তিনি ভালো রেখেছেন।

জাগো নিউজ : ঈদ সামনে। নিশ্চয়ই অনেক ব্যস্ততা যাচ্ছে শুটিংয়ের?
বাবু : তাতো থাকবেই। ব্যস্ততা আসলে সবসময়ই থাকে। বিশেষ উৎসবগুলোতে খানিকটা বাড়ে। ঈদ উপলক্ষে এরইমধ্যে প্রায় হাফ ডজন নাটকের কাজ করা হয়ে গেছে। গতকাল (সোমবার) রাতে ঢাকার বাইরে থেকে একটি নাটকের শুটিং করে ফিরলাম। দুই একটা দিন বিশ্রাম নিয়ে আবারো ক্যামেরার সামনে দাঁড়াবো। ব্যস্ততাটাই আসলে এখন উপভোগের।

জাগো নিউজ : তা আপনার নতুন চলচ্চিত্রটির কী খবর?
বাবু : প্রথম লটের শুটিং হয়েছে। আপাতত গ্যাপ যাচ্ছে। শিগগিরই হয়তো পরিচালক আবার ডাকবেন।

জাগো নিউজ : ছবিটির গল্প সম্পর্কে কিছু বলুন....
বাবু : ঢাকা ‍শহরকে নিয়ে চলচ্চিত্র। পরিচালক প্রসূন রহমান নিজেই এর গল্প ও চিত্রনাট্য লিখেছেন। আমার খুবই ভালো লেগেছে। দেশের বিভিন্ন প্রত্যন্ত অঞ্চল থেকে উন্নত জীবন ও জীবিকার সন্ধানে ঢাকায় আসা আট-দশটি পরিবারের গল্প দেখা যাবে ‘ঢাকা ড্রিম’ ছবিতে। দেখানো হবে ভাগ্যের চাকা বদলানোর আশায় জীবনে প্রথমবারের মতো ঢাকার উদ্দেশ্যে যাত্রা করা কিছু মানুষের ঢাকায় আসবার পেছনের কারণ ও যাত্রার দিনের অন্যরকম এক ভ্রমণ অভিজ্ঞতার গল্প, যা একই সাথে পৃথক এবং সম্মিলিত। দেখা যাবে কেউ পেটের দায়ে আসছে, কেউ লেখাপড়া করার জন্য আবার কেউ চাকরি করার জন্য। কেউবা নদীভাঙ্গনে ভিটেমাটি হারিয়ে আসছে একটু ঠাঁই মিলবে এই আশা নিয়ে।

Babu Bhai 1
জাগো নিউজ : ছবিতে আপনার চরিত্র আয়নাল ফকিরকে কীভাবে দেখবে দর্শক?

বাবু : আমার চরিত্রটিকে ঘিরেই ছবির কাহিনি এগিয়ে যাবে। আমি আয়নাল ফকির অন্ধ; ভিক্ষুক না। দেখা যাবে একজন অন্ধ লোক তার দৃষ্টি দিয়ে দেখছে ও অনুধাবণ করছে ঝাঁকে ঝাঁকে মানুষ শহরে আসছে। আমিও এসেছি। কিন্তু কেন এই আসা তার সঠিক কোনো ব্যাখ্যা নেই। মূলত অন্ধ লোকটির দৃষ্টি দিয়েই সব দেখানো হচ্ছে। এখানে আরো অনেক কিছু আছে। আরো অনেক চরিত্র আছে। প্রতিটিই গুরুত্বপূর্ণ। প্রসূন রহমান দারুন একটি চিত্রনাট্য করেছেন। দর্শকদের ভালো লাগবে বলেই আমার বিশ্বাস।

জাগো নিউজ : এর বাইরে আর কোনো চলচ্চিত্রে কাজ করছেন?
বাবু : হ্যাঁ। আমি ‘ঢাকা ড্রিম’ ছাড়াও আরো তিনটি ছবিতে কাজ করছি। সেগুলো হলো তৌকির আহমেদের ‘অজ্ঞাতনামা’, গিয়াস উদ্দিন সেলিমের ‘স্বপ্নজাল’, মিজানুর রহমান লাবুর ‘নুরু মিয়া এবং তার বিউটি ড্রাইভার’। ভালো লাগার বিষয় হলো যে প্রতিটি ছবিই একটি থেকে অন্যটির গল্প ও আবহ একদমই আলাদা। আমার চরিত্রগুলোও ভিন্ন। তারমধ্যে ‘অজ্ঞাতনামা’র কাহিনি গড়ে উঠেছে প্রবাসে যাওয়ার আকাঙ্খা এবং মানবপাচারকে ঘিরে। মন ও মানবিকতাকে নাড়া দিয়ে যাওয়ার মতো একটি গল্প। আবার ‘স্বপ্নজাল’ সম্পূর্ণ ভিন্ন স্বাদের। এখানে আমার চরিত্রটি নেতিবাচক। আর ‘নুরু মিয়া এবং তার বিউটি ড্রাইভার’ ছবিতে আমি মূল চরিত্র নুরু মিয়া হিসেবে অভিনয় করেছি। এ ছবিতে আমাকে একজন ভিক্ষুক হিসেবে দেখানো হয়েছে। চাইলে আমি অন্য যেকোনো কাজই করতে পারতাম; কিন্তু ভিক্ষাবৃত্তিকে পেশা হিসেবে বেছে নিই। এরপর এক সময় আমার সঙ্গে পরিচয় হয় বিউটি নামের একটি মেয়ের। সে জড়িত পতিতাবৃত্তিতে। ঘটনাক্রমে আমাদের বিয়ে হয়। তারপর থেকেই গল্প মোড় নেয় নতুন পথে। এই ছবিটির ডাবিং শেষ করেছি কিছুদিন আগে। হয়তো সামনে কোনো ভালো উৎসব-পার্বনে মুক্তি পাবে ছবিটি।

জাগো নিউজ : তবে তো নাটক ও চলচ্চিত্র- দুই পাড়াতেই তুমুল ব্যস্ত আপনি?
বাবু : ওই চলছে। আসলে আমি অভিনেতা। অভিনয়টাই আমার কাছে মুখ্য। সেটি নাটক হোক কিংবা চলচ্চিত্র। সবসময় চেষ্টা করি যে চরিত্রের জন্য পরিচালক আমার উপর আস্থা রেখেছেন সেটি যেন ঠিকমতো ফুটিয়ে তুলতে পারি। আমার কাছে চরিত্রের ছোট বড় বা মূল চরিত্র বলে কিছু প্রাধান্য পায় না। গল্প ও চরিত্র পছন্দ হলে সেটি আমি করি। এবং অনেক ছোট চরিত্র দিয়েও আমি দর্শকদের ভালোবাসা পেয়েছি। আমি মনে করি অভিনেতা হিসেবে এটিই আমার স্বার্থকতা। তবে চরিত্রগুলো বড় হলে দায়িত্বটা বেড়ে যায়। যেমন ‘ঢাকা ড্রিম’ ও ‘নুরু মিয়া এবং তার বিউটি ড্রাইভার’ ছবি দুটোতে আমাকে অনেক দায়িত্ব নিয়ে কাজ করতে হয়েছে। দিনশেষে যদি ছবিগুলো এবং চরিত্ররা দর্শকদের কাছে সমাদৃত হয় সেটিই হবে আমার সাফল্য।

জাগো নিউজ : নাটক নাকি চলচ্চিত্র? কোন মাধ্যমটি বেশি ভালো লাগে?
বাবু : আমার আসলে চলচ্চিত্রেই নিয়মিত কাজ করা উচিত বলে মনে করি। সেখানেই নিয়মিত হতে বেশি ইচ্ছে করে। কেননা, অভিনয়ের যথার্থ স্থান হচ্ছে চলচ্চিত্র। এটি শিল্পের সবচেয়ে বড় মাধ্যম। একজন অভিনেতার চাওয়া থাকে দুই প্রকার। প্রথমত সে মঞ্চে কাজ করবে। দ্বিতীয়ত সে চলচ্চিত্রে কাজ করবে। আর নাটকে কাজ করাটা হচ্ছে চলচ্চিত্রে অভিনয়ের রিহার্সালের মতো। নিজেকে অভিনয়ে সমৃদ্ধ করা যায় নাটকে। আর সেটার আসল বিকাশ কিন্তু চলচ্চিত্রেই হয়। তাই আমিও বড় পরিসরে অভিনয় করতে চাই। কিন্তু যেসব চরিত্র আমাকে মানবে না, আমার সঙ্গে খাপ খাবে না সেগুলোতে অভিনয় করে কী লাভ। অতো জনপ্রিয়তার বাবা আমার প্রয়োজন নেই। আমি কিছু ভালো কাজ করে যেতে চাই। আমার অভিনীত ছবি ১৬ কোটি মানুষ দেখবে সেই দুঃসাহস আমি করি না। ১০ লক্ষ মানুষ দেখলেই আমি খুশি। ছবিও ব্যবসা সফল হবে, আমিও অনুপ্রাণীত হবো। কারো পক্ষেই সব শ্রেণির দর্শকের জন্য কাজ করা সম্ভব না। তবে আজকাল অনেকেই ভালো চলচ্চিত্র নির্মাণ করছেন। বিশেষ করে নাটক বা বিজ্ঞাপন নির্মাণ থেকে যারা চলচ্চিত্র নির্মাণ করতে আসছেন তারা খুব মেধাবী। তাদের ভাবনা, চিন্তা-চেতনায় মৌলিকত্ব আছে, নিজস্বতা আছে। জীবনবোধও আছে। তাদের গল্পগুলোতে চরিত্ররাও বেশ জীবন্ত হয়। এমন চরিত্র পেলে অবশ্যই চলচ্চিত্রে নিয়মিত কাজ করবো।

Babu Bhai 2
জাগো নিউজ : আপনি তো অসংখ্য চরিত্রে অভিনয় করেছেন। কাজ করা হয়নি এমন কোনো পছন্দের চরিত্র আছে?

বাবু : এমন অসংখ চরিত্র আছে। কোনটা রেখে কোনটা বলি! মানুষের কথা বলে, মানবতার কথা বলে, গভীর জীবনবোধের কথা বলে এমন শত শত চরিত্ররা উড়ে বেড়াচ্ছে আশপাশে। আমি চাইলেই তো আর হবে না। কারণ আমি তো আর চরিত্র তৈরি করিনা। আমার কাজ হচ্ছে রূপ দেওয়া। চরিত্র তৈরি করেন স্ক্রিপ্ট রাইটাররা। এরপর পরিচালকের নির্দেশনায় সেটাকে একজন অভিনেতা বাস্তবের মত ফুটিয়ে তোলেন।

জাগো নিউজ : এবার ছোট পর্দা নিয়ে কথা বলি। আপনি সমানতালে ধারাবাহিক এবং খণ্ড নাটকে কাজ করছেন। এ দু’টোর মধ্যে নিজের ভালো লাগা কিংবা স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করেন কোনটিতে?
বাবু : ভালো তো লাগে দু’টোই! তবে নিজের স্যাটিসফেকশন বলে একটা কথা থেকে যায়। আর দু`টোর কিন্তু আলাদা আলাদা টেস্ট। সেদিক থেকে প্যাকেজ নাটকগুলোতে কাজে বেশি স্বাচ্ছন্দ্য পাই। কারণ গল্পটা দ্রুত শেষ হয়। মেসেজটা স্পষ্ট করে পৌঁছানো যায়। দর্শকদের কাছেও এর গ্রহণযোগ্যতাটা বেশি। কিন্ত ধারাবাহিকে কাজ করলে অনেক সময় গল্পের কোনো লাগাম থাকেনা। মনে করো, বছরব্যাপী একটি ধারাবাহিক নাটক প্রচার হচ্ছে। এখন আমি প্রথমদিকে কেমন চরিত্রে অভিনয় করেছি সেটার স্ক্রিপ্ট পড়ি, মনে রাখি, তারপর কাহিনি লম্বা হতে হতে গল্প কোন দিকে যায় সেটা আমি অনেক সময় বুঝেই উঠতে পারিনা। তাই মানটা বজায় রাখা কঠিন হয়ে পড়ে। তবে একসময় কিন্তু দারুণ দারুণ সব ধারাবাহিক নির্মাণ হতো। এখন সবাই ব্যবসাটাকেই আগে দেখে। শিল্পবোধ পরে। আবার ধারাবাহিকে কাজ করলে আবার একটু মজাও আছে। যেমন- চরিত্র নিয়ে চিন্তা একটু কম করলেও চলে। লোডটা কম পড়ে। পাশাপাশি লম্বা সময় ধরে একটা ইনকামেরও ব্যবস্থা থাকে।

জাগো নিউজ : ইদানীং নাটক নিয়ে অনেক অভিযোগ। গল্পের কোনো আগামাথা নেই, লজিক নেই, কমেডি নাটকগুলোতে জোর করে দর্শকদের হাসানো হচ্ছে, অপ্রয়োজনীয় সিক্যুয়েল নির্মাণ, নাটকের বাজেটের সমস্যা, চ্যানেলে বিজ্ঞাপনের আধিক্য, দর্শকদের ভিনদেশি চ্যানেলের প্রতি ঝোঁক ইত্যাদি। সবমিলিয়ে নাটক নিয়ে আপনার মূল্যয়ণ কী?
বাবু : আমি সারাদিন শুটিং নিয়েই ব্যস্ত থাকি। সেজন্য নাটক দেখার সময় একদমই পাইনা। আর যেটা দেখিনা সেটা নিয়ে কিছু বলতেও চাইনা। তবে নিজে চেষ্টা করি ন্যুনতম একটা মান বজায় রেখে গল্প নির্বাচন করে কাজ করার। তবে অস্বীকার করবো না নাটক নিয়ে অনেক সমস্যা রয়েছে আমাদের। নানা কারণে দর্শকরা নাটক থেকে মুখ ফিরিয়ে নিয়েছে। অথচ আমাদের একটা তৈরি দর্শক ছিল। বিটিভি সেই দর্শক তৈরি করেছিলো। আবার সেটাকে আমরাই গলা ধাক্কা দিয়ে বের করে দিয়েছি মানহীন গল্প, নির্মাণের দুর্বলতা, অভিনয়ের ‌‘অ’ না জেনেও তারকা বনে যাওয়া শিল্পীদের অভিনয়, বিজ্ঞাপনের আধিক্য ইত্যাদি সমস্যা সৃষ্টি করার মধ্য দিয়ে। সেজন্যই তারা এখন বিদেশি চ্যানেল দেখছেন। তাদের আবার ফিরিয়ে আনা এত সহজ বলে আমি মনে করি না। আর নাটকে কাজ করতে গিয়ে বুঝতে পারি আসলে বাজেট একটা ভাল কাজ নির্মাণের অন্তরায়। কারণ পাঁচ বছর আগে একটা নাটকের বাজেট যা ছিল এখনো তাই আছে। অথচ সবকিছুর দাম বেড়েছে আগের তুলনায়। কিন্তু নাটকের বাজেট বাড়েনি। সেজন্য নির্মাতাদের বাধ্য হয়ে অনেক সময় শর্ট-কাটে অনেক কিছু করতে হয়। সুতরাং নাটক টিকিয়ে রাখতে হলে এর বাজেটের দিকেও নজর দিতে হবে। ভালো বাজেটে ভালো গল্প নিয়ে কাজ করলে দর্শক আবারো ঘরে ফিরে আসবে।

Babu Bhai 3
জাগো নিউজ : তা বর্তমানের কি কি নাটকে কাজ করছেন?

বাবু : কাজ করছি কয়েকটিতে। এরমধ্যে অলসপুর, জীবনের অলিগলি, ঝামেলা আনলিমিটেড নামের ধারাবাহিকগুলোতে নিয়মিত কাজ করতে হয়। আরো নতুন কয়েকটিতে কাজ করছি। শিগগিরই সেগুলো প্রচারে যাবে। আর ঈদের ব্যস্ততা তো শুরু হলোই।

জাগো নিউজ : আপনি তো মঞ্চ নাটকে কাজ করতেন। তো আগের মত মঞ্চে অভিনয় করেন?
বাবু : সত্যি কথা বলতে একদমই সময় পাইনা। মনটা খুব খারাপ হয় মঞ্চের জন্য। যেখানে শিকড় সেখানে ফিরতে সবসময় মন ব্যাকুল হয়ে থাকে। দেখি, সময় করে এবার মঞ্চে একটি কাজ করবো। সেটি হবে শুধুই নিজের শান্তির জন্য।
 
জাগো নিউজ : আর গান? অনেকদিন তো গান করছেন না। সময়ের অভাবে?
বাবু : এই কথাটা আমাকে অনেকেই বলে থাকেন। কিন্তু আমি যে গানগুলো গেয়েছি সেগুলো শখের বশে। মানুষের আবদারে। গান নিয়ে আমার কোনো চিন্তাই ছিল না আর পরিকল্পনাও নেই আগামীতে। তবে যদি আবারো ভালো কোনো গানের কথা পাই হয়তো গাইবো। আমার মূল পরিচয় একজন অভিনেতা, কণ্ঠশিল্পী নয়। আমি সবসময় অভিনেতা হয়ে থাকতে চেয়েছি।

জাগো নিউজ : আপনার পরিবার সম্পর্কে জানতে চাই...
বাবু : স্ত্রী এবং আমার দুই মেয়েকে নিয়ে আমার সুখের সংসার। বাসায় থাকলে মেয়েরা মাতিয়ে রাখে। স্ত্রী কন্যাদের সাথে যখন থাকি ভাবি, জীবন সত্যিই অনেক সুন্দর!

এলএ

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।