শিল্পী পাগল হাসানের মৃত্যু
সুনামগঞ্জের সাংস্কৃতিক অঙ্গনে শোকের ছায়া
সুনামগঞ্জের ছাতকে বাস-সিএনজির মুখোমুখি সংঘর্ষে নিহত হয়েছেন জনপ্রিয় সংগীতশিল্পী ও গীতিকার পাগল হাসান। আজ (১৮ এপ্রিল) সকালে এ দুর্ঘটনা ঘটে। এ সংগীতশিল্পীর মৃত্যুতে শোকের ছায়া নেমে এসেছে তার জন্মস্থান সুনামগঞ্জের সাংস্কৃতিক অঙ্গনে।
জানা যায়, ‘আসমানে যাইওনারে বন্ধু/ ধরতে পারব না তোমায়’, ‘জীবনখাতায় প্রেম কলঙ্ক’, ‘মন আমার মরা নদী’, ‘মাটির বালাখান’সহ এমন অসংখ্য জনপ্রিয় গান লিখে ও গেয়ে মানুষের হৃদয় জয় করেছেন।
আরও পড়ুন:
পাগল হাসানের লেখা প্রতিটি গানে উঠে এসেছে প্রেম, ভালোবাসা ও ভাটির জেলার অর্থনীতির বিভিন্ন দিক। তার এসব গান সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়। ফলে অল্প সময়ের মধ্যে দেশ-বিদেশে গীতিকার ও সুরকার হিসেবে পরিচিতি পান এ শিল্পী। এমনকি জনপ্রিয় ব্যান্ডদল লালনের জন্যও তিনটি গান লিখেছিলেন তিনি। ব্যান্ডটির ‘রুহানি’, ‘পাগলা ঘোরা’, আর ‘পাগল চিনে না’ গানের গীতিকার ও সুরকার পাগল হাসান।
লাশবাহী গাড়িতে তার লাশ নিয়ে আসা হয় সুনামগঞ্জ জেলা শিল্পকলা একাডেমি প্রাঙ্গণে। সেখানে প্রিয় শিল্পীকে দেখার জন্য ভিড় করেন ভক্ত ও সাংস্কৃতিককর্মীরা। সেই সঙ্গে জেলা প্রশাসন, পুলিশ প্রশাসনসহ সর্বস্তরের মানুষ তাকে ফুল দিয়ে শেষ শ্রদ্ধা জানান।
সুনামগঞ্জ জেলা শিল্পকলা একাডেমির কালচারাল অফিসার মঞ্জরুল হক চৌধুরী বলেন, পাগল হাসানের মৃত্যুতে সুনামগঞ্জ সাংস্কৃতিক অঙ্গনে শোকের ছায়া নেমে এসেছে। তবে তার গাওয়া এবং লিখে যাওয়া সব গান আমরা সংগ্রহ করে তরুণ প্রজন্মের কাছে তুলে ধরব।
মতিউর রহমান হাসান ওরফে পাগল হাসান ১৯৯১ সালের ১ জুন ছাতক উপজেলার শিমুলতলা গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন।
লিপসন আহমেদ/এমএমএফ/জেআইএম