যে কারণে অস্কারের মঞ্চে নগ্ন হয়ে এলেন জন সিনা!

বিনোদন ডেস্ক
বিনোদন ডেস্ক বিনোদন ডেস্ক
প্রকাশিত: ০১:৩১ পিএম, ১১ মার্চ ২০২৪

‘অস্কার’ পুরস্কার, এটি বিশ্ব চলচ্চিত্রের অন্যতম সেরা সম্মাননা। আলো ঝলমলে এ মঞ্চের একদিক যেমন সম্মানের, তেমনি এর উল্টোদিকে সবসময় যেন বিতর্ক লেগেই থাকে।

২০২৩ সালে অস্কারের মঞ্চে বিতর্কের শিরোনামে উঠে এসেছিল চড়কাণ্ড। আর এবার, অস্কারের মঞ্চে বিতর্ক সৃষ্টি করল পেশাদার কুস্তিগীর জন সিনা। এ বছর অস্কারের মঞ্চে সামগ্রীক অনুষ্ঠান সঞ্চালনার ভূমিকায় ছিলেন জিমি কিনেল। আর জনকে মঞ্চে ডেকে নেওয়া হয়েছিল সেরা কস্টিউম ডিজাইনারের পুরস্কার ঘোষণা করার জন্য।

যিনি কস্টিউম ডিজাইনারের পুরস্কার ঘোষণা করবেন, দর্শকের যে নজর থাকবে তার পোশাকের দিকেও, সেটাই তো স্বাভাবিক। তবে মঞ্চে এসে এক্কেবারে তাক লাগিয়ে দেন জন সিনা। গায়ে পোশাক তো দূরের কথা- পেশাদার কুস্তিগীরের গায়ে নেই একটি সুতোও!

 
 
 
View this post on Instagram

A post shared by Hollywood Reporter (@hollywoodreporter)

কেবল নিম্নাঙ্গ ঢাকা রয়েছে একটি কার্ডে। যে কার্ডে বিজেতার নাম লেখা রয়েছে, সেই কার্ডই নিজের নিম্নাঙ্গ ঢাকার জন্য ব্যবহার করেছেন জন। মঞ্চে তাকে এমনভাবে আসতে দেখে বিস্মিত সবাই। অনেকে রীতিমতো অস্বস্তিতে পড়ে যান।

আরও পড়ুন

তবে খোলসা করেন জন নিজেই। কস্টিউম ডিজাইনারের সম্মান জানাতে গিয়ে তিনি আসলে বোঝাতে চেয়েছিলেন, পোশাকের গুরুত্ব। গোটা বিষয়টা ঘটে কয়েক মিনিটের মধ্যেই। গোটা মঞ্চে অবশ্য মোটেই নগ্ন হয়ে ছিলেন না জন।

তিনি মঞ্চে এসে কেবল বলেন, ‘পোশাক গুরুত্বপূর্ণ। সম্ভবত সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ জিনিস।’ এরপরেই মৃদু হয়ে আসে মঞ্চের আলো। সঙ্গে সঙ্গে তাকে সহকারীরা এসে একটি সুন্দর গাউন পরিয়ে দেন জনকে। সেই গাউনেই বাকিটা সঞ্চালনা করেন জন। সেরা কস্টিউম ডিজাইনারের পুরস্কার পান মার্টিন স্করসেসি।

এর আগে ১৯৭৪ রবার্ট ওপেল নামে পরিচিত একজন ‘স্ট্রিকার’ শান্তির চিহ্নের ওপর গুরুত্ব দেওয়ার জন্য নগ্ন হয়ে দৌড়েছিলেন। সেই ঘটনারই পুনরাবৃত্তি ঘটল ২০২৪ সালে।

তবে জন সিনার এ পদক্ষেপ যেন অভিনব বলে প্রশংসিত হয়েছে, তেমনই আবার জন্ম দিয়েছে বিতর্কও। অস্কারের মঞ্চে এ ধরনের নগ্নতা আদৌ অশ্লীল কি না। তা নিয়ে প্রশ্ন তোলা হচ্ছে।

এমআই/এমএমএফ/জিকেএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।