রণবীর কাপুরের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ

বিনোদন ডেস্ক
বিনোদন ডেস্ক বিনোদন ডেস্ক
প্রকাশিত: ১২:২৭ পিএম, ২৮ ডিসেম্বর ২০২৩

বলিউড তারকা রণবীর কাপুরের বিরুদ্ধে এবার থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। এর কারণ হিসেবে জানা গেছে, এবারের বড়দিনে পারিবারিক অনুষ্ঠানে ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত করেছেন তিনি। ফলে এ তারকার নামে থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন এক ব্যক্তি।

ভারতীয় গণমাধ্যম ‘এবিপি আনন্দ’র খবরে জানা গেছে, সম্প্রতি রণবীর কাপুর এবং তার পরিবারের অন্য সদস্যরা বড়দিন উদযাপন করেছেন। সেই ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হতেই রণবীর কাপুর বেকায়দায় পড়েছেন।

রণবীরের বিরুদ্ধে হিন্দু ভাবাবেগকে আঘাত করার অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে মুম্বাইয়ের ঘাটকোপার থানায়। কাপুর পরিবারের বিরুদ্ধে ভারতীয় আইনের আইপিসির ২৯৫, ৫০৯ এবং ৩৪ ধারায় এফআইআর এক ব্যক্তি অভিযোগ দায়েরের দাবি জানিয়েছেন।

আরও পড়ুন: রণবীর যে কারণে ‘অ্যানিম্যাল’র পারিশ্রমিক কম নিয়েছেন 

সঞ্জয় দীননাথ তিওয়ারি নামের এক ব্যক্তি এ অভিযোগ দায়ের করেছেন। অভিযোগে বলা হয়েছে, সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি ভিডিও ভাইরাল হয়েছে, যেখানে দেখা যাচ্ছে, কেকের উপর মাদক (মদ) ছিটিয়ে এবং আগুন জ্বালিয়ে ইচ্ছাকৃতভাবে হিন্দু দেব-দেবীদের আহ্বান জানানো হয়েছে। পাশাপাশি ‘জয় মাতা দি’-পাঠ করেছেন রণবীর।

jagonews24

এ অভিযোগে বলা হয়েছে, রণবীর কাপুর তার পুরো পরিবারের সঙ্গে বড়দিন পালন করেছেন। এ সময় তার পরিবারের বড়দের পাশাপাশি শিশুরাও উপস্থিত ছিল।

এ ভিডিওতে একটি কেকের ওপর মদ ঢেলে দেওয়া হয়। তারপর রণবীর কাপুর ‘জয় মাতা দি’ বলার পর তাতে আগুন ধরিয়ে দেন। রণবীর কাপুর ‘জয় মাতা দি’ বলার সঙ্গে সঙ্গে পরিবারের বাকি সদস্যরাও ‘জয় মাতা দি’ বলেন।

অভিযোগে বলা হয়েছে, হিন্দু ধর্মে সবাই অগ্নি প্রজ্বলনের পাশাপাশি হিন্দু দেব-দেবীর আরাধনা করে। আর এ ভিডিওতে তাদের অপমান করা হয়েছে।

হিন্দু ধর্মে কোনো দেব-দেবীকে আহ্বান করার আগে অবশ্যই অগ্নিদেবতাকে আহ্বান করা হয়। এ তথ্য রণবীর কাপুর ও তার পরিবারের অন্য সদস্যদেরও জানা ছিল। তা সত্ত্বেও রণবীর কাপুর ইচ্ছাকৃতভাবে মদ ব্যবহার করেছেন, আগুন জ্বালিয়েছেন।

শুধু তা-ই নয় দেবী-দেবতাদের আহ্বান করেছেন, এবং ‘জয় মাতা দি’ স্লোগান তুলেছেন, এমনই অভিযোগ আনা হয়েছে।

এমএমএফ/জিকেএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।