পুরস্কার নতুন কিছু সৃষ্টিতে উৎসাহিত করে: রিপন নাথ
‘আমি আগেও চারবার জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পেয়েছি। এবারের পুরস্কার প্রাপ্তির খবরেও বরাবরের মতো ভীষণ আনন্দিত। কর্মক্ষেত্রে যথাযোগ্য সম্মান ও স্বীকৃতি পেলে কাজের গতি বাড়ে। নতুন করে কাজ করতে অনুপ্রেরণা পাই। এ অনুপ্রেরণার মাধ্যমে নতুন কিছু সৃষ্টি করার মানসিকতা তৈরি হয়।’ –এভাবে ‘জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার-২০২২’ প্রাপ্তির খবর জানার পরে জাগো নিউজের সঙ্গে অনুভূতি প্রকাশ করেন দুই বাংলার সুযোগ্য শব্দপ্রকৌশলী রিপন নাথ। তিনি ‘হাওয়া’ সিনেমার জন্য এ পুরস্কারে ভূষিত হয়েছেন। আজ এ পুরস্কারের তালিকা প্রকাশ করা হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, ‘হাওয়া’ সিনেমায় আমরা দুজন পুরস্কার পেয়েছি। কিন্তু আমি আরও বেশি আশা করেছিলাম। কারণ এটিতো তুমুল দর্শকপ্রিয়তা লাভ করেছে। বিশেষ করে এ সিনেমার সেরা পরিচালক হিসেবে এর নির্মাতার পুরস্কার পাওয়া প্রয়োজন ছিল, যা হোক আমাকে পুরস্কৃত করার জন্য সংশ্লিষ্ট সবার প্রতি কৃতজ্ঞতা জানাই। পুরস্কার ঘোষণা হওয়ার পর থেকে অনেকেই অভিনন্দন জানাচ্ছেন। এটি খুব ভালো লাগছে।
‘হাওয়া’ সিনেমার নির্মাতার সঙ্গে রিপন নাথ
রিপন নাথের কর্মজীবনের শুরু বিজ্ঞাপনী প্রতিষ্ঠান এশিয়াটিকের ধ্বনিচিত্রে। সেখানে ছিলেন প্রায় ১০ বছর। এতে তার প্রথম কাজ অমিতাভ রেজার একটি ডকুমেন্টারি ফিল্মে। তারপর রেদওয়ান রনির ‘চোরাবালি’ অমিতাভ রেজার ‘আয়নাবাজি’, আবু শাহেদ ইমনের ‘জালালের গল্প’, গিয়াসউদ্দিন সেলিমের ‘মনপুরা’ ও ‘স্বপ্নজাল’ সিনেমাতে প্রশংসিত হয়েছে রিপনের কাজ।
রিপন নাথ উল্লেখযোগ্য সিনেমার তালিকায় রয়েছে ‘প্রজাপতি’, ‘তারকাটা’, ‘সম্রাট’, ‘আইসক্রিম’, ‘অজ্ঞাতনামা’, ‘হালদা’, ‘চন্দ্রগ্রহণ’, ‘ঢাকা অ্যাটাক’, ‘বিজলি’ ও ‘বেঙ্গল বিউটি’। আছে আন্তর্জাতিক পুরস্কার পাওয়া স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্রও—‘দাগ’, ‘পেপার ফ্রগ’, ‘নট ইকুয়েল’ ও ‘আ পেয়ার অব স্যান্ডেল’। কাজ করেছেন ভারতীয় সিনেমাতেও—আশিষ রায়ের ‘সিতারা’।
এমআই/এমএমএফ/জেআইএম