‘মুজিব: একটি জাতির রূপকার’ দেখা যাবে আজ

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক
জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০৮:৫২ এএম, ১৩ অক্টোবর ২০২৩

একযোগে বাংলাদেশের ২০০ এর বেশি সিনেমা হলে মুক্তি পাচ্ছে ‘মুজিব: একটি জাতির রূপকার’। আজ শুক্রবার থেকে ছবিটি বিভিন্ন সিনেমা হলে দেখানো হবে।

বাংলাদেশ-ভারত যৌথ উদ্যোগে নির্মিত ‘মুজিব-মেকিং অব নেশন’ বায়োপিকটি ২৭ অক্টোবর ভারতে মুক্তি পাবে। এরই মধ্যে দুটি দেশেই ছবিটি সেন্সর বোর্ড থেকে সার্টিফিকেট পেয়েছে। ২০২২ সালের ১৯ মে ফ্রান্সে ৭৫তম কান চলচ্চিত্র উৎসবকালে ছবিটির প্রাথমিক ট্রেলার মুক্তি পায়।

ছবির শুটিং ভারতের মুম্বাইতে ২০২১ সালের জানুয়ারিতে শুরু হয়। শেষ হয় একই বছরের ডিসেম্বর।

বাংলাদেশের তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ ১ অক্টোবর মুজিব বায়োপিকের চূড়ান্ত ট্রেলার আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধন করেন। এছাড়া ১৪ সেপ্টেম্বর কানাডায় ৪৮তম টরন্টো ইন্টারন্যাশনাল ফিল্ম ফেস্টিভালে চলচ্চিত্রটির প্রথম প্রদর্শনী হয়।

বায়োপিকে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের চরিত্রে অভিনয় করেছেন বাংলাদেশের শিল্পী আরিফিন শুভ এবং বঙ্গবন্ধু পত্নী শেখ ফজিলাতুন নেছা মুজিবের চরিত্রে অভিনয় করেছেন নুসরাত ইমরোজ তিশা। আর শেখ হাসিনার চরিত্রে অভিনয় করেছেন অভিনেত্রী নুসরাত ফারিয়া।

জনপ্রিয় অভিনেতা তৌকীর আহমেদ, চঞ্চল চৌধুরী, প্রার্থনা দীঘি ও অন্যরা বিভিন্ন চরিত্রে অভিনয় করেছেন।

ছবিটির সঙ্গীত পরিচালনা করেছেন প্রখ্যাত ভারতীয় সঙ্গীত পরিচালক শান্তনু মৈত্র এবং বাংলাদেশ থেকে বাংলা সংলাপ লিখেছেন সাধনা আহমেদ, গিয়াস উদ্দিন সেলিম, শিহাব শাহীন ও আনাম বিশ্বাস।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টেলিভিশন, ফিল্ম অ্যান্ড ফটোগ্রাফি (টিএফপি) বিভাগের চেয়ার হাবিবা রহমান বলেন, স্বাধীন বাংলাদেশের স্থপতির জীবন ও কর্মের চিত্রায়নে তরুণ চলচ্চিত্র তারকাদের অভিনীত ছবিটি নতুন প্রজন্মকে ঐতিহাসিক আখ্যানের সঙ্গে গভীরভাবে সংযুক্ত করবে।

তিনি বলেন, চলচ্চিত্র একটি শক্তিশালী মাধ্যম। তরুণ-তরুণীরা চলচ্চিত্র দেখার সময় ইতিহাসকে কল্পনা করার সুযোগ পাবে।

কপিরাইটার এবং মুম্বাই বিশ্ববিদ্যালয়ের ফিল্ম, টিভি এবং নিউ মিডিয়া প্রোডাকশনের বাংলাদেশি ছাত্র দুর্জয় চক্রবর্তী বলেন, বঙ্গবন্ধুর মতো একজন অসাধারণ ব্যক্তিত্বকে ছবিতে সম্পূর্ণরূপে তুলে ধরা খুবই কঠিন কাজ। শ্যাম বেনেগাল পরিচালনা এবং বঙ্গবন্ধুর বড় সন্তান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার তত্ত্বাবধানে নির্মিত চলচ্চিত্রটি নিয়ে আমরা খুব আশাবাদী।

দুর্জয় বলেন, বহু সংখ্যক প্রখ্যাত বাংলাদেশি ও ভারতীয় শিল্পী দীর্ঘদিন ধরে এ চলচ্চিত্রে অবদান রেখেছেন। অন্য কোনো চলচ্চিত্রে এত বেশি সংখ্যক তারকাকে একটি সিনেমায় দেখা যায়নি।

তিনি আরও বলেন, তাই আমি প্রথম দিনেই ছবিটি দেখতে খুবই আগ্রহী।

ফিল্ম অ্যাক্টিভিস্ট ও চলচ্চিত্র বিষয়ক বাংলাদেশি টিভি অনুষ্ঠানের উপস্থাপক সামি আল মেহেদী বলেন, ফিল্মটি নিয়ে আমাদের প্রত্যাশা পাহাড়ের চেয়েও বড়। চলচ্চিত্রটি একটি রাজনৈতিক আইকনকে চিত্রিত করেছে। যার ব্যক্তিত্ব, দর্শন ও সত্তা আমাদের জাতীয় আশা এবং আকাঙ্ক্ষার সঙ্গে জড়িত। আশা করি, প্রতিভাবান চলচ্চিত্র নির্মাতা শ্যাম বেনেগাল শিল্পীদের কাছ থেকে সেরা কাজটি পেয়েছেন।

একজন বিখ্যাত রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বকে নিয়ে চলচ্চিত্র নির্মাণ করা খুবই কঠিন। কেননা এতে একজন চলচ্চিত্র নির্মাতাকে অবশ্যই ভিন্ন মাত্রা ও দৃষ্টিভঙ্গি নিয়ে ভাবতে হয়। তিনি আরও বলেন, চলচ্চিত্রের সব বিষয়বস্তু সব মহলে গ্রহণযোগ্য করার জন্য একটি পুঙ্খানুপুঙ্খ গবেষণা এবং প্রকৃত সময়, ইতিহাস ও সংলাপ চিত্রিত করাও খুব গুরুত্বপূর্ণ।

তিনি আরও বলেন, চলচ্চিত্রটির প্রাথমিক ট্রেলার ২০২২ সালের মে মাসে প্রকাশ হয়। এটিকে আরও নির্ভুল ও নিখুঁত করতে চূড়ান্ত স্পর্শ দেওয়ার আগে অনেক সংশোধন করা হয়েছে। তাই, ছবিটি নিয়ে আমরা অনেক আশাবাদী।

ঢাকা ইউনিভার্সিটি কালচারাল সোসাইটির সাধারণ সম্পাদক অনিক ধর বলেন, বাংলাদেশে মুক্তিযুদ্ধের ওপর অনেক চলচ্চিত্র নির্মিত হলেও বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে কোনো চলচ্চিত্র নির্মিত হয়নি।

বাংলাদেশ ফিল্ম আর্কাইভে বায়োপিকটির প্রিমিয়ার শো অনুষ্ঠিত হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গতকাল আগারগাঁওয়ে এটি দেখেছেন। প্রিমিয়ার শো দেখার আগে শেখ হাসিনা বলেছেন, বহু প্রতীক্ষিত এ বায়োপিকটির মাধ্যমে জাতি অনেক অজানা তথ্য ও ইতিহাসের নতুন অধ্যায় সম্পর্কে জানবে।

তিনি বলেন, ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট জাতির পিতাকে হত্যার পর তার নাম মুছে ফেলার বহু চেষ্টা করা হয়েছিল। মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসকে বিকৃত করার অনেক চেষ্টা করা হয়েছিল। কিন্তু, এটা প্রমাণিত যে, ইতিহাস কখনো মুছে ফেলা যায় না।

এসইউজে/জেডএইচ/জেআইএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।