শুরু হচ্ছে গঙ্গা-যমুনা সাংস্কৃতিক উৎসব
আগামীকাল শুক্রবার (৬ অক্টোবর) থেকে শুরু হচ্ছে গঙ্গা-যমুনা সাংস্কৃতিক উৎসব। রাজধানীর শিল্পকলা একাডেমিতে সন্ধ্যা ৬টায় জাতীয় নাট্যশালা মিলনায়তনে উৎসব উদ্বোধন করবেন নাট্যজন রামেন্দু মজুমদার।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি থাকবেন সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ। উদ্বোধনী পর্বে থাকবে জাতীয় সংগীত ও নৃত্য পরিবেশনা ও প্রদীপ প্রজ্বালন।
আরও পড়ুন: শিল্পকলায় চলছে পালাগান উৎসব
বন্ধন দৃঢ় করার লক্ষ্যে অনুষ্ঠিতব্য উৎসবটি অংশ নেবে বাংলাদেশ ও ভারতের ১১২টি সাংস্কৃতিক দল। সেই সুবাদে শিল্পের বিভিন্ন শাখার প্রায় চার হাজার শিল্পীর সম্মিলন ঘটবে গঙ্গা-যমুনা সাংস্কৃতিক উৎসবে।
শুক্রবার থেকে শুরু হবে ১২ দিনের এ বৃহৎ উৎসব। সাংস্কৃতিক জাগরণের মাধ্যমে সাম্প্রদায়িকতার বিরুদ্ধে সম্প্রীতির আহ্বানে দ্বাদশবারের মতো এ উৎসবের আয়োজন করছে গঙ্গা-যমুনা সাংস্কৃতিক উৎসব পর্ষদ।
সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য রাখেন উৎসব উদযাপন পর্ষদের আহ্বায়ক গোলাম কুদ্দুছ। লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন পর্ষদের সদস্য সচিব আকতারুজ্জামান। উপস্থিত ছিলেন পর্ষদের সদস্য মানজার চৌধুরী সুইট, আহম্মেদ গিয়াস প্রমুখ। দ্বাদশতম উৎসবের বিশেষত্ব তুলে ধরে জানানো হয়, বড়দের পাশাপাশি এবার শিশুদের জন্য থাকছে পৃথক পরিবেশনা। সোনামনিদের হৃদয় রাঙাতে ১৩ অক্টোবর বিকেল ও সন্ধ্যায় নাট্যশালার মূল মিলনায়তনে উপস্থাপিত হবে ভারতের ডলস থিয়েটারের বিখ্যাত পাপেট শো। প্রতিবন্ধীদের অনুপ্রাণিত করতে মঞ্চস্থ হবে কারিশমা সাংস্কৃতিক দলের প্রযোজনা ‘বাল্মিকী প্রতিভা’।
আরও পড়ুন: আনকাট সেন্সর ছাড়পত্র পেল ‘ছায়াবৃক্ষ’
এছাড়া ১৭ অক্টোবর পর্যন্ত চলমান উৎসবের প্রতিদিন সন্ধ্যায় নাট্যশালার তিন মিলনায়তন ও মহিলা সমিতির মিলনায়তনে মঞ্চস্থ হবে বাংলাদেশ ও ভারতের ৪৫টি নাট্যদলের নাটক। এর মধ্যে থাকবে ভারতের ছয়টি দলের প্রযোজনা। একাডেমির সংগীত ও নৃত্যকলা মিলনায়তনে প্রতিদিন সন্ধ্যায় পরিবেশিত হবে নৃত্যনাট্য, গীতি আলেখ্য ও আবৃত্তি প্রযোজনা। প্রতিদিন বিকেলে গান, কবিতা ও নৃত্যের আয়োজন থাকবে একাডেমির মুক্ত মঞ্চে।
সংবাদ সম্মেলনে কুড়িগ্রামের লোককবি রাধাপদ রায়ের ওপর হামলার নিন্দা জানিয়ে উৎসব আহ্বায়ক গোলাম কুদ্দুছ বলেন, ন্যক্কারজনক ওই হামলায় জড়িত অপরাধীদের গ্রেপ্তার করতে হবে। লিখিত বক্তব্যে আকতারুজ্জামান বলেন, বাংলাদেশ ও ভারত এই দুদেশের অভিন্ন সংস্কৃতির অভিজ্ঞতা বিনিময় এবং জনগণের মৈত্রীর বন্ধন দৃঢ়তর করার লক্ষ্যে ১১ বছর ধরে অনুষ্ঠিত হচ্ছে গঙ্গা-যমুনা সাংস্কৃতিক উৎসব।
সাম্প্রদায়িকতা প্রতিরোধের প্রত্যয় জানিয়ে তিনি বলেন, মৌলবাদের উত্থান ঠেকাতে, যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের কাঠগড়ায় দায় করাতে, অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ গড়তে বীরযোদ্ধার মতো বরাবরই সম্মুখযোদ্ধা এদেশের সংস্কৃতিকর্মীরা।
এবার অনলাইনে মঞ্চনাটকের অগ্রিম টিকিট পাওয়া যাবে। এছাড়া প্রতিদিন বিকেল ৪টা থেকে হল কাউন্টারে টিকেট পাওয়া যাবে। উৎসবের প্রাথমিক বাজেট ৩৬ লাখ টাকা, যার মধ্যে সংস্কৃতি মন্ত্রণালয় দিচ্ছে ২০ লাখ টাকা ও সাউথইস্ট ব্যাংক দিচ্ছে ৫ লাখ টাকা।
এমআই/এমএমএফ/এমএস