নব্বই দশকের গল্পে খায়রুল ও সাদিয়া
গ্রামের মেয়ে লাইলী বান্ধবীদের সঙ্গে স্কুলে যাওয়ার পথে একটি ছেলের সঙ্গে পরিচয়। ছেলেটা সেই রাস্তা দিয়ে গ্রামে টিউশন করাতে যেত। লাইলী বাবাকে বলে ঐ ছেলেটাকে তার গণিতের টিচার হিসেবে ঠিক করে নেয়।
আরও পড়ুন: ছেলেকে নিয়ে উচ্ছ্বসিত মাহি
একসময় দুজনের প্রেম হয়ে ওঠে। চিঠি আদান প্রদান হয়। কিন্তু তাদের এই সম্পর্কের কথা টের পেয়ে যায় লাইলীর বাবা। বাবা তখন লাইলীকে কিছু না জানিয়ে এক ঘটকের সঙ্গে বুদ্ধি করে লাইলী ও তার টিচারের চিঠি পাল্টে দিয়ে তাদের মধ্যকার সম্পর্ক নষ্ট করে দেয়।
আরও পড়ুন: যেসব প্রেক্ষাগৃহে দেখা যাচ্ছে ‘ফুলজান’
দুজন-দুজন থেকে দূরে সরে যায়। তাদের এই প্রেমের পরিণতি কি হবে তা দেখা যাবে ‘প্রিয় লাইলি’নাটকে। নব্বই দশকের এমন সরল প্রেমের গল্পে নির্মিত হয়েছে নাটক ‘প্রিয় লাইলি’।
নাটকটিতে জুটি বেঁধেছেন এ সময়ের জনপ্রিয় জুটি খায়রুল বাসার ও সাদিয়া আয়মান। অনুপম দাসের রচনায় ‘প্রিয় লাইলী’নাটকটির গল্প লিখেছেন অভিনেতা নিজেই। নাটকটি পরিচালনা করেছেন জামাল মল্লিক।
নাটকটি প্রসঙ্গে নির্মাতা জামাল মল্লিকের ভাষ্য, নাটকটির গল্প নব্বই দশকের। যেখানে সরল একটা প্রেমের গল্প। টিউশন মাস্টার এবং শিক্ষার্থীর মধ্যে প্রেম হয়। মেয়েটার বাবা খুব প্রভাবশালী।
তাদের প্রেমের চিঠি বাবার হাতে ধরা পড়ে। তখন মেয়েটার বাবা একটি নিরব গেম খেলে যেটি তাদের মধ্যে কেউই জানতে পারে না।
খায়রুল বাসার বলেন, নব্বই দশকের প্রেমের গল্পগুলো খুব পছন্দের। প্রিয় লাইলি নাটকে আমার চরিত্রটি একজন টিউশন শিক্ষক। যেখানে হঠাৎ করেই লাইলির সঙ্গে দেখা হয়, প্রেম হয়। তারপর প্রেম ভেঙে যাওয়ার পর সে পাগল হয়ে যায়। আমার পছন্দের একটা চরিত্র টিউশন মাস্টার। সবার গল্পটি ভালো লাগবে আশা করছি।
সাদিয়া আয়মান বলেন, নাটকটি লাইলি চরিত্রটি একজন শিক্ষার্থী। স্কুলে যাওয়া আসার পথে প্রেম হয়। যেহেতু নব্বই দশকে ফোন ছিল না চিঠি আদান প্রদানের মাধ্যমে তাদের প্রেম।
সেই প্রেম ভেঙ্গে যায়। নাটকের শুটিং হয় মানিকগঞ্জে। লোকেশন টা দারুণ ছিল। সবাই নাটকটি খুব পছন্দ করবে। জানা গেছে, আসছে ঈদুল আজহায় নাটকটি দীপ্ত টিভি ও এর ইউটিউব চ্যানেলে প্রচারিত হবে।
এমআই/এমএমএফ/জেআইএম