নায়ক ফারুক বলেছিলেন সুস্থ হয়ে দ্রুতই বাড়ি ফিরবো

উপজেলা প্রতিনিধি উপজেলা প্রতিনিধি কালীগঞ্জ (গাজীপুর)
প্রকাশিত: ০৭:৫৯ পিএম, ১৬ মে ২০২৩

‘মৃত্যুর দুদিন আগে সিঙ্গাপুর থেকে ফারুকের সঙ্গে আমার কথা হয়েছিল। বলেছিল, ভাই ইনশাআল্লাহ সুস্থ হয়ে দ্রুতই বাড়ি ফিরবো। বাড়ি ফিরলো ঠিকই, কিন্তু জীবিত নয়, লাশ হয়ে।’ মঙ্গলবার (১৬ মে) দুপুরে চিত্রনায়ক ফারুক সম্পর্কে স্মৃতিচারণ করতে গিয়ে ফুফাত ভাই বীর মুক্তিযোদ্ধা রেজাউল করিম হুমায়ুন এ কথা বলেন।

তিনি আরও বলেন, আমার মামা (ফারুকের বাবা) আজগর হোসেন পাঠান একজন চিকিৎসক ছিলেন। মামার চাকরির সুবাদে ফারুকের জন্ম মানিকগঞ্জের ঘিওরে। মায়ের কাছে শুনেছি, আমার বয়স তখন ৬ মাস। আমার মা ফারুককে দেখতে আমাকে কোলে নিয়ে ঘিওরে গিয়ে ছিলেন। ফারুক বয়সে আমার ৬ মাসের ছোট হলেও বাড়ি এলে আমাকে সব সময় কাছে ডাকতো। আমার সাথে তার সম্পর্ক ছিল একেবারে বন্ধুর মতো। শৈশব থেকেই সে খুব নাটকপ্রিয় ছিল। ঢাকায় কোনো কাজকর্ম না থাকলে গ্রামে চলে আসতো। নাটক করতে এবং গ্রামে বিভিন্ন চরিত্রে সে অভিনয় করে স্থানীয়দের মন জয় করে নিত।

বীর মুক্তিযোদ্ধা রেজাউল করিম হুমায়ুন আরও বলেন, গ্রামীণ পটভূমিতে সে খুব মানানসই ছিল। রূপালি পর্দায় সে গ্রামীণ চরিত্রে খুব সাবলীল ছিল। মিয়া ভাই, লাঠিয়াল, শিমুল-পারুল ও সুজন সখী সিনেমাসহ বেশ কিছু সিনেমায় তার গ্রামীণ চরিত্রগুলোই এর প্রমাণ। ফারুক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার খুব কাছের মানুষ ছিল। বঙ্গবন্ধু কন্যাকে বুবু হিসেবে ডাকতো। যখনই স্থানীয়ভাবে কারও জন্য নৌকার ভোট চাইতো বলতো, ‘আমি আমনেগো পোলা, আমনেগো কাছে নৌকার ভোট চাইতে আইছি।

চিত্রনায়ক ফারুক সোমবার (১৫ মে) সিঙ্গাপুরের মাউন্ট এলিজাবেথ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যুবরণ করেন। তার বয়স হয়েছিল ৭৫ বছর। তিনি স্ত্রী ফারজানা পাঠান, কন্যা ফারিহা তাবাসসুম পাঠান ও পুত্র রওশন হোসেন শরৎ পাঠান, আত্মীয়-স্বজন, বন্ধু-বান্ধবসহ অসংখ্য ভক্ত-অনুরাগী রেখে গেছেন।

আব্দুর রহমান আরমান/এমএমএফ/এএসএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।