মৌসুমীর অভিনয়জীবনের ৩০ বছর, যা বললেন ওমর সানী
ঢাকাই সিনেমার অন্যতম সফল চিত্রনায়িকা আরিফা জামান মৌসুমী। এখনো তিনি নিয়মিত কাজ করছেন। ১৯৯৩ সালের ২৫ মার্চ দেশের প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পায় তার অভিনীত সিনেমা ‘কেয়ামত থেকে কেয়ামত’।
জনপ্রিয় নির্মাতা সোহানুর রহমান সোহানের এই সিনেমা দিয়ে চলচ্চিত্রপ্রেমীরা মৌসুমীর সঙ্গে পেয়েছিল আরেকটি নতুন মুখ। তিনি হলেন সালমান শাহ। শুরুর সিনেমায়ই দুজনে মাতিয়েছেন দেশ। জায়গা করে নেন মানুষের হৃদয়ের গভীরে।
আরও পড়ুন: ‘সোনার চর’ সিনেমা দিয়ে কাজে ফিরলেন মৌসুমী
শনিবার (২৫ মার্চ) মৌসুমীকে অভিনন্দন জানিয়ে ফেসবুক পোস্ট দিয়েছেন সানি। তিনি লিখেছেন, অভিনন্দন মৌসুমী তোমাকে, তোমার কর্মজীবনের ৩০ বছর উপলক্ষে শুভেচ্ছা। আজ তুমি সবার কাছে প্রিয়দর্শিনী। চলচ্চিত্রের কাছে প্রিয়দর্শিনী এবং আমার পরিবারের কাছে তুমি প্রিয়দর্শনী। অভিনন্দন।’
এদিকে নব্বই দশকে আনন্দবিচিত্রায় ফটোসুন্দরী নির্বাচিত হয়েছিলেন মৌসুমী। এরপর টেলিভিশনের বিভিন্ন অনুষ্ঠানে অংশ নেন তিনি। ১৯৯৩ সালে ‘কেয়ামত থেকে কেয়ামত’ সিনেমা দিয়ে চলচ্চিত্রে অভিষেক তার। প্রথম সিনেমায় সবার প্রশংসা লাভ করেন মৌসুমী।
মৌসুমীর তিন দশকের অভিনয়জীবনে দুই শতাধিক সিনেমায় অভিনয় করেছেন। অভিনয়ের পাশাপাশি ২০০৩ সালে ‘কখনো মেঘ কখনো বৃষ্টি’ এবং ২০০৬ সালে ‘মেহের নিগার’ চলচ্চিত্র দুটি পরিচালনাও করেছেন মৌসুমী।
আরও পড়ুন: সব ভুলে একসঙ্গে সানি-মৌসুমী, চাইলেন দোয়া
উল্লেখ্য, ওমর সানী ও মৌসুমী ১৯৯৫ সালের ২ আগস্ট বিয়ে করেন। এ জুটি বাংলাদেশের চলচ্চিত্রের আদর্শ তারকা দম্পতি বলে পরিচিত। তাদের সংসারে রয়েছে দুই সন্তান ফারদিন ও ফাইজাহ।
মৌসুমী-সানি বড়পর্দায় একসঙ্গে প্রথম দেখা দেন ‘দোলা’ সিনেমায়। এরপর তাদের ‘আত্ম-অহংকার’, ‘প্রথম প্রেম’, ‘মুক্তির সংগ্রাম’, ‘হারানো প্রেম’, ‘গরীবের রানী’, ‘প্রিয় তুমি’, ‘ঘাত প্রতিঘাত’, ‘সুখের স্বর্গ’, ‘মিথ্যা অহংকার’সহ অসংখ্য সিনেমায় জুটি বেঁধে অভিনয় করেছেন তারা।
এমআই/এমএমএফ/এমএস