অস্কারজয়ী ভারতীয় গীতিকার সম্পর্কে জেনে নিন
৯৫তম অস্কারের আসরে রাজামৌলির ‘আরআরআর’সিনেমার হিট গান ‘নাটু নাটু’ পুরস্কার পেয়েছে। বিশ্বের বড় বড় শিল্পীদের গানকে পেছনে ফেলে ‘নাটু নাটু’ পুরস্কার লাভ করেছে। অস্কারে সেরা গানের জন্য পুরস্কার পেলেন দুই শিল্পী- এমএম কিরাবানি এবং চন্দ্রবোস।
ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিও শুভেচ্ছা জানালেন তার দেশের অস্কারজয়ীদের। মোদি টুইটারে লেখেন, ব্যতিক্রমী! ‘নাটু নাটু’র জনপ্রিয়তা বিশ্বব্যাপী। এটি এমন একটি গান, যা সামনের অনেক বছর মনে থাকবে। অভিনন্দন সংশ্লিষ্ট সবাইকে, মর্যাদাপূর্ণ সম্মানের জন্য। ভারত উচ্ছ্বসিত ও গর্বিত।’
ভারতে এম এম কিরাবানি বেশ পরিচিত। তবে সে অর্থে জনপ্রিয় নন চন্দ্রবোস, খুব বেশি তথ্যও পাওয়া যায় না। ঠিক এ কারণেই তার সম্পর্কে জানতে আগ্রহী ভারতের অসংখ্য মানুষ।
ভারতীয় গণমাধ্যম ‘হিন্দুস্থান টাইমস’-এর প্রকাশিত এক সংবাদে বেশ কিছু তথ্য জানা গেছে-
‘নাটু নাটু’ গানের গীতিকার চন্দ্রবোস মূলত গায়ক হিসেবে নিজের ক্যারিয়ার শুরু করেন। তিনি তেলেগু সিনেমাতে কাজ করেছেন। ১৯৯৫ সালে ‘তাজমহল’ সিনেমা দিয়ে যাত্রা শুরু করেন। তখন থেকেই নিয়মিত কাজ করে আসছেন। চন্দ্রবোস প্রায় ৮৫০টি সিনেমায় কাজ করেছেন। তবে তিনি জনপ্রিয়তা লাভ কতে পারেননি। কিন্তু এবার বিশ্বজুড়ে তার পরিচিতি ছড়িয়ে পড়েছে। জানা গেছে, তিনি অস্কারের আগে গোল্ডেন গ্লোবও লাভ করেছেন।
চন্দ্রবোস মধ্যবিত্ত পরিবারের সন্তান। তার বাবা ছিলেন স্কুলশিক্ষক। স্কুলশিক্ষা শেষ করার পর ইঞ্জিনিয়ারিং পড়তে যান। তিনি হায়দারাবাদের জওহরলাল নেহরু টেকনোলজি ইউনিভার্সিটি থেকে তিনি ইঞ্জিনিয়ারিং পাশ করেন।
কিন্তু চন্দ্রবোসের অনেক আগে থেকেই গানবাজনার প্রতি আগ্রহ ছিল। ফলে ইঞ্জিনিয়ারিং পড়া শেষ করে তিনি ঢুকে পড়েন শোবিজ ভুবনে। তার সেই সিদ্ধান্ত যে ভুল ছিল না, তা আবারও প্রমাণিত হলো অস্কারের মঞ্চে। তিনি এবার বিশ্বজুড়ে খ্যাতি পেয়েছেন।
এদিকে পিটিআই শেয়ার করা এক টুইটার ভিডিওতে দেখা যায়, ঘরে বসে অস্কার অনুষ্ঠান দেখছিলেন গীতিকার চন্দ্রবোসের স্ত্রী সুচিত্রা চন্দ্রবোস। অস্কারের মঞ্চে চন্দ্রবোস ও টিম আরআরআর ওঠে, তখন সোফা থেকে দাঁড়িয়ে যান তিনি। হাততালি দিতে থাকেন, চোখ ভিজে যায় কান্নায়। এ যেন চরম সুখের কান্না। এ কান্নার জন্য কেউ কেউ হয়তো কয়েক যুগ ধরে অপেক্ষা করে।
এমআই/এমএমএফ/এএসএম