পণ্ডিত বিজয়কুমার কিচলু আর নেই

বিনোদন ডেস্ক
বিনোদন ডেস্ক বিনোদন ডেস্ক
প্রকাশিত: ০১:৩৩ পিএম, ১৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৩

ভারতের আগরা ঘরানার গানের শিল্পী পণ্ডিত বিজয়কুমার কিচলু আর নেই। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৯৩ বছর। তিনি দীর্ঘদিন ধরেই বার্ধক্যজনিত সমস্যায় ভুগছিলেন। কিডনির সমস্যাসহ বিভিন্ন ধরনের জটিল রোগে ভুগছিলেন এ প্রবীণ শিল্পী।

আরও পড়ুন: ‘পদ্মভূষণ’ প্রাপ্ত শিল্পী বাণী জয়রামের রহস্যজনক মৃত্যু

বিজ্ঞাপন

পণ্ডিত কিচলু দক্ষিণ কলকাতার একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন। শুক্রবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যা ৬টায় শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি।

সংগীতে অসামান্য অবদান রাখার জন্য পদ্মশ্রী ছাড়াও সংগীত নাটক একাডেমির স্বীকৃতিসহ অনেক উপাধি ও সম্মানে ভূষিত হয়েছেন পণ্ডিত কিচলু। ভারতের সংগীত রিসার্চ অ্যাকাডেমি তৈরিতে তার অবদান অনস্বীকার্য।

বিজ্ঞাপন

বিজ্ঞাপন

আরও পড়ুন: গুরু দত্তের বোন চিত্রশিল্পী ললিতা লাজমি আর নেই

আগামীকাল (১৯ ফেব্রুয়ারি) বেলা ১২টায় রবীন্দ্র সদনে পণ্ডিত কিচলুর মরদেহ রাখা হবে। সেখানেই শেষ শ্রদ্ধা জানাতে পারবেন তার ভক্ত-অনুরাগীরা। তারপর শেষকৃত্য অনুষ্ঠিত হবে।

বিজ্ঞাপন

বিজ্ঞাপন

উল্লেখ্য, ১৯৩০ সালের ১৬ সেপ্টেম্বর ভারতের আলমোড়ায় জন্মগ্রহণ করেন সংগীতশিল্পী পণ্ডিত বিজয়কুমার কিচলু। তিনি ইলাহাবাদ বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা করেছেন। ইতিহাসে স্নাতকোত্তরের ছাত্র থাকাকালীন শাস্ত্রীয় সংগীতের আগরা ঘরানার গায়ক হিসেবে সুখ্যাতি অর্জন করেন তিনি। তারপর ১৯৫৫ সালে ব্রিটিশ শিপিং কোম্পানিতে উচ্চপদে কর্মকর্তা হয়ে কলকাতায় আসেন। অল্প সময়েই পণ্ডিত এ কানন, কুমারপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়, জ্ঞানপ্রকাশ ঘোষের মতো শিল্পীদের সঙ্গে হৃদ্যতা গড়ে ওঠে তার।

পণ্ডিত কিচলুর মৃত্যুতে শোকপ্রকাশ করেছেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি এক শোকবার্তায় লিখেছেন, ‘বিশিষ্ট সংগীতশিল্পী পণ্ডিত বিজয় কিচলুর প্রয়াণে আমি গভীর শোক প্রকাশ করছি। আগরা ঘরানার শিল্পী বিজয় কিচলু ছিলেন আইটিসি সংগীত রিসার্চ একাডেমির কর্ণধার। অগণিত নবীন শিল্পী তার প্রশিক্ষণে আজ লব্ধপ্রতিষ্ঠ। তার প্রয়াণে সংগীত জগতের অপূরণীয় ক্ষতি হলো। আমি বিজয় কিচলুর পরিবার-পরিজন ও অনুরাগীদের আন্তরিক সমবেদনা জানাচ্ছি।’

এমএমএফ/এএসএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন jagofeature@gmail.com ঠিকানায়।