দ্বিতীয় সিজন নিয়ে ফিরছে কোক স্টুডিও বাংলা
প্রথম সিজনের দুর্দান্ত সাফল্যের পর আসছে ১৪ ফেব্রুয়ারি দ্বিতীয় সিজন নিয়ে আসছে কোক স্টুডিও বাংলা। এই সিজনে সমগ্র বাংলাদেশ থেকে ২০জনের বেশি শিল্পী একত্রিত হয়ে শ্রোতাদের জন্য ১০টিরও বেশি হৃদয়ছোঁয়া গান উপহার দেবেন। গানগুলোতে থাকছে চমৎকার মিউজিক্যাল ফিউশন, বৈচিত্র্যময় পারফরম্যান্সসহ আরও অনেক কিছুর সমন্বয়।
আরও পড়ুন: ‘সাদা সাদা কালা কালা’ গানের গায়ক এবার কোক স্টুডিও বাংলায়
কোক স্টুডিও বাংলার দ্বিতীয় সিজনে বৈচিত্রময় ধরনের গানগুলোতে অংশ নেবেন বিভিন্ন ধারার শিল্পীরা। সম্পূর্ণ নতুন এবং নিজস্ব সংস্কৃতি মিশ্রিত সুরের সঙ্গে প্রতিভাবান উদীয়মান শিল্পীদের অনন্য ছাপ মিলে গানগুলো হয়ে উঠবে উপভোগ্য।
এবার প্রথম সিজনের পরিচিত কিছু মুখের পাশাপাশি বেশ কয়েকজন নতুন শিল্পী প্রথমবারের মতো কোক স্টুডিও বাংলাতে অংশ নিচ্ছেন। প্রথম সিজনের মতো দ্বিতীয় সিজনেও সংগীত প্রযোজক হিসেবে থাকছেন শায়ান চৌধুরী অর্ণব, তবে এবার তার সঙ্গে এই ভূমিকায় যোগ দিচ্ছেন প্রীতম হাসান, ফুয়াদ আলমুক্তাদির, ইমন চৌধুরী ও শুভর মতো বিখ্যাত শিল্পীরা।
আরও পড়ুন: কোক স্টুডিও কনসার্টে ১ মিনিট নীরবতা
দ্বিতীয় সিজন নিয়ে কোক স্টুডিও বাংলার সংগীত প্রযোজক শায়ান চৌধুরী অর্ণব বলেন, ‘নতুন সিজনের জন্য আমরা নতুন ধরনের গান ও শিল্পীদের নিয়ে কাজ করছি এবং নতুনত্ব আনার চেষ্টা করছি। এবার আমাদের সঙ্গে থাকছেন প্রবাসী বাংলাদেশি শিল্পীরাও। সারাবিশ্বের সংগীত নিয়ে কাজ করছি আমরা, কিন্তু আমাদের মূল ভাবনার জায়গাটি একই থাকছে। আশা করছি, আমাদের ভক্তরা হতাশ হবেন না। আমরা তাদের চমৎকার সব গান উপহার দিতে পারব।’
১৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ তারিখে প্রচারিত হতে যাচ্ছে দ্বিতীয় সিজনের প্রথম গান। এ উপলক্ষে সারাদেশের দর্শক-শ্রোতাদের জন্য বিশেষ প্রদর্শনীর ব্যবস্থা করা হবে। এ বিষয়ে বিস্তারিত তথ্য কোক স্টুডিও বাংলার অফিশিয়াল ফেসবুক পেজ থেকে যথা সময়ে জানিয়ে দেওয়া হবে।
আরও পড়ুন: দ্বিতীয় গানেই হতাশা, সমালোচনার মুখে কোক স্টুডিও বাংলা
বাংলাদেশসহ সারাবিশ্বের শ্রোতারা কোক স্টুডিও বাংলার গানগুলো শুনতে পাবেন কোক স্টুডিও বাংলার অফিশিয়াল মিউজিক স্ট্রিমিং পার্টনার স্পটিফাই এবং কোক স্টুডিও বাংলার অফিশিয়াল ইউটিউব চ্যানেলে।
কোকা-কোলা বাংলাদেশের ব্যবস্থাপনা পরিচালক তা জি তুং বলেন, ‘কোক স্টুডিও বাংলার প্রথম সিজন দারুণ সফল ছিল। ভক্তদের তুমুল সাড়া আমাদের অভিভূত করেছে। একই সঙ্গে দ্বিতীয় সিজনে আরও ভালো এবং বড় কিছু করার উৎসাহ জুগিয়েছে। দর্শক-শ্রোতারা নতুন সিজনের গানগুলোও পছন্দ করবেন বলে আমরা আশাবাদী। গানগুলো তারা লাইক ও শেয়ার করবেন। গানের সঙ্গে গলা মেলাবেন। গানের তালে নাচবেন, এটাই আমাদের চাওয়া।’
দেশের তরুণ ও ডিজিটালি সচেতন মানুষদের মানসম্পন্ন কন্টেন্ট উপহার দেওয়ার জন্য কোক স্টুডিও বাংলা সর্বপ্রথম ডিজিটাল প্ল্যাটফর্ম হিসেবে চালু করা হয়। প্রথম সিজনে কোক স্টুডিও বাংলার ভিউ ১৪.৭ কোটির বেশি এবং এর ইউটিউব চ্যানেলের সাবস্ক্রাইবার সংখ্যা ৯ লাখ ৭৭ হাজারের বেশি। বিশ্বের সামনে বাংলা সংগীতকে তুলে ধরে একটি দারুণ অভিজ্ঞতা প্রদান করছে কোক স্টুডিও বাংলা। এটি ডিজিটাল বাংলাদেশের সাফল্যেরও একটি অনন্য দৃষ্টান্ত।
কোকা-কোলা বিগত পাঁচ দশকের বেশি সময় ধরে পৃথিবীকে চাঙ্গা করা ও সমাজে পরিবর্তন আনার উদ্দেশ্য নিয়ে কাজ করছে কোকা-কোলা বাংলাদেশ। আমাদের ব্র্যান্ডগুলোর মধ্যে আছে কোকা-কোলা, ডায়েট কোক, স্প্রাইট, ফ্যান্টা, কিনলে ওয়াটার, কিনলে সোডা, কোকা-কোলা জিরো, স্প্রাইট জিরো ও ফ্যান্টা অ্যাপল।
কোম্পানি-মালিকানাধীন বটলিং প্রতিষ্ঠান কোকা-কোলা বাংলাদেশ বেভারেজেস লিমিটেড এবং দ্য কোকা-কোলা কোম্পানির স্বাধীন, অনুমোদিত ফ্র্যাঞ্চাইজি বটলার আবদুল মোনেম লিমিটেড নিয়ে কোকা-কোলা বাংলাদেশ সিস্টেম গঠিত।
এই সিস্টেম বর্তমানে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে যথাক্রমে ৮০০-এর বেশি ও ২১,০০০-এর বেশি মানুষের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করছে। সারাদেশের মানুষদের জন্য পানি, স্যানিটেশন, হাইজিন ও বৃষ্টির পানি সংরক্ষণের মাধ্যমে মানুষের জীবনে ইতিবাচক প্রভাব রাখা আমাদের লক্ষ্য। আমাদের ফ্ল্যাগশিপ প্রোগ্রাম ‘উইমেন বিজনেস সেন্টার’ এর লক্ষ্য নারীদের অর্থনৈতিক ক্ষমতায়ন।
এরই মধ্যে এই প্রকল্পের মাধ্যমে ২০২০ সালের মধ্যে ১ লাখ নারীর ক্ষমতায়ন করা হয়েছে। ‘ওয়ার্ল্ড উইদাউট ওয়েস্ট’ গড়ার বৈশ্বিক প্রতিজ্ঞার অংশ হিসেবে গত ১০ বছর ধরে বাংলাদেশে আন্তর্জাতিক কোস্টাল ক্লিনআপ প্রকল্পের গর্বিত অংশীদার কোকা-কোলা।
এছাড়া বারিন্দ অঞ্চলে পানির অপচয় রোধে আইডবি-উইটি প্রকল্পে মিলিতভাবে কাজ করছে দ্য কোকা-কোলা ফাউন্ডেশন (টিসিসিএফ)। টিসিসিএফ-এর সহায়তায় মহামারি চলাকালীন কমিউনিটিকে সাহায্য করছে কোম্পানিটি। যার মাধ্যমে এরই মধ্যে ৫০ লাখের বেশি মানুষের জীবনে ইতিবাচক প্রভাব রাখা সম্ভব হয়েছে।
এমএমএফ/জিকেএস