আফগানিস্তানের কিংবদন্তি সংগীতশিল্পী কামার গুলা মারা গেছেন

বিনোদন প্রতিবেদক
বিনোদন প্রতিবেদক বিনোদন প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০৫:১০ পিএম, ১১ ডিসেম্বর ২০২২

আফগানিস্তানের কিংবদন্তি সংগীতশিল্পী কামার গুলা আর নেই। তিনি ১০ ডিসেম্বর ৭২ বছর বয়সে কানাডার টরেন্টার একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। আন্তর্জাতিক গণমাধ্যম বিবিসি, পাকিস্তানের ডন পত্রিকাসহ বেশ কয়েকটি গণমাধ্যম তার মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছে।

‘মেলোডি কুইন’ খ্যাত এ কণ্ঠশিল্পী পাঁচ দশকেরও বেশি সময় ধরে সংগীতচর্চা করেছেন। পশতু ভাষার সংগীতে অসামান্য অবদানের জন্য তিনি আফগানিস্তান এবং পাকিস্তান উভয় দেশেই মর্যাদাপূর্ণ পুরস্কার লাভ করেছিলেন।

প্রবীণ পাকিস্তানি টিভি অভিনেতা জামাল শাহ টুইটারে গুলাকে গভীর শ্রদ্ধা জানিয়েছেন। তিনি তার টুইটে লেখেন, শান্তিতে থাকুন মরমান কামার গুলা। আপনি কয়েক দশক ধরে পশতু সংগীতের পরিসর, গভীরতা এবং সৌন্দর্য সংগীতপিপাসুদের মাঝে তুলে ধরেছেন, যা চিরকাল আমাদের মনে থাকবে।

১৯৫২ সালে আফগানিস্তানের নাংরাহার প্রদেশে জন্মগ্রহণকারী কামার গুলা সাত বছর বয়সে গানের ক্যারিয়ার শুরু করেছিলেন। এর ১৫ বছর পরে রেডিও এবং টেলিভিশনে প্রথম তার পশতু লোকগান সম্প্রচার হয়েছিল। এর পরপরই তিনি তুমুল জনপ্রিয় শিল্পী হয়ে যাান।

কামার গুলা পশতু লোকসংগীতে অবদানের জন্য ২০০টিরও বেশি পুরস্কার এবং প্রশংসাপত্র লাভ করেছিলেন। সত্তরের দশকে তিনি খ্যাতির শীর্ষে পৌঁছান। আফগানিস্তানে তিনি ছিলেন দ্বিতীয় নারী সংগীতশিল্পী, যাকে রেডিও-টেলিভিশনে গান গাইতে দেখা যেত। আফগান গৃহযুদ্ধের সময় তিনি দেশ ছেড়ে পরিবার নিয়ে কানাডায় পাড়ি জমান। ভক্তরা তাকে আফগানিস্তানের সোনালি কণ্ঠ এবং আফগান রেডিওর রানি বলে বর্ণনা করেন।

jagonews24

জানা গেছে, তিনি তার সংগীত ক্যারিয়ারে ২ হাজার ৫০০’র বেশি অ্যালবামে গান করেছেন। তার সর্বাধিক জনপ্রিয় গানগুলোর মধ্যে রয়েছে ‘চে মে মীনা খুদাই, রাজা চে উয়েওয়া জুরা’ এবং ‘পা মা মায়েনা’।

কামার গুলা সংগীত পরিচালক ওস্তাদ মোহাম্মদিন জাখেলকে বিয়ে করার পরে গানের প্রতি তিনি আরও ঝুঁকে পড়েন। তার স্বামী তাকে লোকগান, গজল থেকে আফগান সিম্ফনিও প্রশিক্ষণ দিয়েছিলেন। কামার গুলার বাবাও একজন সংগীতশিল্পী ছিলেন।

এমআই/এমএমএফ/জিকেএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।