গানের সুরে রশিদ খানের পথচলা
সংগীত অন্তপ্রাণ মানুষ রশিদ খান। চার বছর ধরে সংগীত চর্চা করছেন তিনি। গানের সুরই যেন তার ধ্যান-জ্ঞান। এক জীবনে গান ছাড়া যেন কিছুই ভাবতে পারেন না রশিদ। তাই গানকে জীবনের সঙ্গী করে নিয়েছেন তিনি।
তবে গান নিয়ে আনুষ্ঠানিক কোনো শিক্ষা ছিল না তার। শাহ আবদুল করিমের গান অনুপ্রেরণা হিসেবে নিয়েছিলেন রশিদ খান। মূলত শাহ আবদুল করিমের গান শুনেই গান গাওয়ার উৎসাহ পেয়েছেন। এখন তিনি সংগীত ভূবনের বাসিন্দা।
মধ্যবিত্ত পরিবারের অনেক বাধা বিপত্তি পেরিয়ে নিজের লক্ষ্যে অটুট থেকেছেন। এমনকি গানের জন্য নিজের পারিবারিক ব্যবসাও ছেড়ে দিয়েছেন।
রশিদ খান বাউল, আধুনিক, লোক, দেশাত্মবোধক গানে কণ্ঠ দিয়েছেন। পাশাপাশি হাসি-আনন্দ, প্রেম-বিরহ, সুখ-দুঃখসহ সব অনুভূতির গানে তিনি বাংলাদেশের সংগীত জগতে এক নতুন মাত্রা যোগ করতে চান।
তার সব গান বিভিন্ন বয়সের মানুষ শুনবে এটাই তার প্রত্যাশা। তিনি মনে করেন, শিল্পীকে দর্শক খুঁজে নেবে তার নিজস্ব স্টাইলে।
রশিদ খানের শিল্পী হওয়ার যুদ্ধে প্রথম সাহায্যকারী এমএসটি পান্না। তারপর একে একে সহযোগিতার হাত বাড়িয়েছেন সংগীতশিল্পী সালমা আক্তার, লিটন খন্দকার, হাসান মতিউর রহমান। তাদের অনুপ্রেরণায় তার পথ চলা। রশিদ খানের প্রথম গান ‘ও বিয়াইন ভাবছো নি’ ঈগল মিউজিক ব্যানারে প্রকাশিত হয়েছে। এই গানের সুর করেছেন এইচ টি তূর্য।
আরেকটি গান ‘বন্ধু আমার কেমন কেমন করে’। গানটির সুর করেছেন এইচ টি তূর্য। এটি সংগীতা মিউজিকের ব্যানারে প্রকাশ হবে। শিল্পীর প্রত্যাশা, গানটি মিউজিক ভিডিওতে শ্রোতা-দর্শকের ভালো লাগবে।
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতি ভালবাসা ও শ্রদ্ধা থেকেই বঙ্গবন্ধুর ছবি নিয়ে তিনি একটি গান রচনা করছেন। সেটাও খুব শিগগির বাজারে আসবে। রশিদ খান চান ভালো গানে কণ্ঠ দিতে। একজন গায়ক হিসেবেই নিজেকে প্রতিষ্ঠিত হতে চান। জীবনের শেষ দিন পর্যন্ত রশিদ খান গানের সঙ্গে থাকতে চান।
এমআই/এমএমএফ/কেএসআর