নেটপ্যাক এশিয়ান ফিল্ম ফেস্টিভ্যালে ‘আম-কাঁঠালের ছুটি’
আগামী ২৬ নভেম্বর থেকে ৩ ডিসেম্বর পর্যন্ত ইন্দোনেশিয়ার জাকার্তায় অনুষ্ঠিতব্য ‘জগজা নেটপ্যাক এশিয়ান ফিল্ম ফেস্টিভ্যাল’র ১৭তম আসরের এশিয়ান পারস্পেক্টিভ বিভাগে অফিসিয়াল সিলেকশন পেয়েছে বাংলাদেশি চলচ্চিত্র ‘আম-কাঁঠালের ছুটি’।
এশিয়ান সংস্কৃতিকে প্রতিনিধিত্ব করা চলচ্চিত্র নিয়ে আয়োজিত উৎসবে এ বছরের থিম ‘ক্লসম’ বা প্রস্ফুটন। এশিয়া মহাদেশের প্রতিষ্ঠিত এবং উদীয়মান চলচ্চিত্র নির্মাতাদের নির্মিত চলচ্চিত্র প্রদর্শিত হবে এই আয়োজন।
শরীফ উদ্দিন সবুজের ছোটগল্প অবলম্বনে শিশুতোষ ঘরানার আম-কাঁঠালের ছুটি চলচ্চিত্রটি নির্মাণ করেছেন মোহাম্মদ নূরুজ্জামান। গত শতাব্দীর সত্তর-আশি কিংবা মধ্য নব্বইয়ের দশকে যারা শৈশব-কৈশোর পার করেছেন তারা তাদের সেই বয়সের যাপিতজীবন নস্টালজিক আবহে তৈরি এই চলচ্চিত্রে দেখতে পাবেন। সেই সঙ্গে হারিয়ে যাওয়া কিংবা হারাতে বসা প্রাকৃতিক পরিবেশ আর আমাদের নিজস্ব লোকজ সংস্কৃতির সঙ্গে পরিচিত হবে নতুন প্রজন্মের শিশু-কিশোররা।
কারো সঙ্গে মিশতে না পারা আট বছর বয়সী একটি শহরে ছেলে গ্রীষ্মের ছুটিতে গ্রামে বেড়াতে এসে কীভাবে নতুন এক জগৎ আবিষ্কার করে এবং খুঁজে পায় তার এ সিনেমার গল্পে উঠে এসেছে। বন্ধুত্ব আর রোমাঞ্চের স্বাদ তারই আখ্যান এই পূর্ণদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্রটিতে।
সিনেমাকার প্রযোজিত এই চলচ্চিত্রটির পিছনে রয়েছে দীর্ঘ সাত বছরের পরিশ্রম আর অধ্যবসায়ের গল্প। খুব ছোট একটি কারিগরী ইউনিট আর আনকোরা একদল অপেশাদার অভিনয় শিল্পীদের নিয়ে গাজীপুরের হারবাইদ সংলগ্ন প্রায় পঁচিশ-ত্রিশ কিলোমিটারজুড়ে ছড়িয়ে থাকা লোকেশনে ধারণ করা এর প্রতিটি দৃশ্য। চলচ্চিত্রের সিনেমাটোগ্রাফি করেছেন নির্মাতা নিজেই। চলচ্চিত্রটির প্রধান সহকারী পরিচালক হিসেবে কাজ করেছেন যুবরাজ ও শামীমা।
আগামী ২৭ নভেম্বর ইন্দোনেশিয়ান সময় সন্ধ্যা সাতটায় আম-কাঁঠালের ছুটির ইন্দোনেশিয়ান প্রিমিয়ার অনুষ্ঠিত হবে। এছাড়া ২৯ নভেম্বর সন্ধ্যায় থাকবে সিনেমাটির আরও একটি প্রদর্শনী।
এমআই/এমএমএফ/এমএস