সংগীতের এক সত্যিকারের কিংবদন্তি রুনাজি: মিশা সওদাগর
‘উপমহাদেশের গানের জগতের স্বনামধন্য ও বরেণ্য সংগীতশিল্পী পরম শ্রদ্ধেয় রুনাজির (রুনা লায়লা) জন্মদিনে তাকে শুভেচ্ছা জানাচ্ছি। তার সংস্পর্শে যাওয়ার এবং তার স্নেহধন্য হওয়ার সৌভাগ্য হয়েছে আমার। বলতে দ্বিধা নেই, আমার শ্রদ্ধেয় শিক্ষক, মেন্টরও রুনাজি। তার গান শুনে আমাদের প্রজন্ম বড় হয়েছে। আমার সৌভাগ্য হয়েছিল তার জন্মদিনের অনুষ্ঠানে অতিথি হয়ে তার বাড়িতে উপস্থিত হওয়ার। সেই স্মৃতি এখনও চোখের সামনে ভাসে’ এভাবেই স্মৃতিচারণ করে জীবন্ত কিংবদন্তি সংগীতশিল্পী রুনা লায়লার ৭০তম জন্মদিন উপলক্ষে জাগো নিউজকে বলছিলেন ঢাকাই সিনেমার জনপ্রিয় অভিনেতা মিশা সওদাগর।
মিশা সওদাগর আরও বলেন, ‘তার সান্নিধ্য পাওয়া ও তার সঙ্গে কাটানোর আনন্দময় স্মৃতি আমি ভাষায় প্রকাশ করতে পারছি না। রুনাজি অসাধারণ একজন শিল্পী। এরকম লিজেন্ডারি এবং গুণী মানুষ আমাদের দেশে জন্মগ্রহণ করছেন তা ভাবলেই আমি গর্ব অনুভব করি। এই বয়সেও তার কণ্ঠ দ্যুতি ছড়াচ্ছে। জাদু ছড়াচ্ছে। তার মঞ্চে সংগীত পরিবেশনের আলাদা অপূর্ব স্টাইল আছে, স্টাইলটা আমার ভীষণ পছন্দ।’
রুনা লায়লা মঞ্চে মুগ্ধতা ছড়ানোর কথা বলতে গিয়ে মিশা বলেন, ‘তিনি যেভাবে মঞ্চে গান করেন, দেখতে খুবই চমৎকার লাগে। সংগীত জগতের একজন সত্যিকারের কিংবদন্তি, আমাদের গর্ব, আমাদের প্রিয় রুনাজি। সামনের দিনগুলোতে তিনি সংগীত ভুবনকে আরও সমৃদ্ধ করবেন। তার গানের সুরে প্রজন্ম থেকে প্রজন্মের মানুষ মুগ্ধ হবেন।’
উল্লেখ্য, বাংলা সংগীতের অন্যতম সেরা শিল্পী রুনা বাংলা ছড়াও পৃথিবীর অনেক ভাষার গানে কণ্ঠ দিয়েছেন। টানা পাঁচ দশকের বেশি সময় ধরে যিনি মাতিয়ে রেখেছেন সংগীতপিপাসুদের। তার কণ্ঠে বাংলা, উর্দু, হিন্দি, পাঞ্জাবি, গুজরাটি, বেলুচ, ফারসি, আরবি, স্প্যানিশ, ফরাসি, ইংরেজিসহ ১৮টিরও বেশি ভাষার গান গীত হয়েছে।
বর্ণাঢ্য সংগীত জীবনে রুনা লায়লা ১০ হাজারের বেশি গানে কণ্ঠ দিয়েছেন।
তার কণ্ঠের যেসব গান মানুষের মুখে মুখে ফেরে তা হচ্ছে- ‘আল্লাহ মেঘ দে পানি দে’, ‘বন্ধু তিন দিন তোর বাড়িত গেলাম দেখা পাইলাম না’, ‘একা একা কেন ভালো লাগে না’, ‘ইস্টিশনে রেলগাড়িটা’, ‘সাধের লাউ’সহ অনেক জনপ্রিয় গান।
১৯৫২ সালের ১৭ নভেম্বর সিলেটে জন্মগ্রহণ করেন তিনি। বাবা সৈয়দ মোহাম্মদ এমদাদ আলী ছিলেন সরকারি কর্মকর্তা এবং মা আনিতা সেন ওরফে আমেনা লায়লা সংগীতশিল্পী। তার মামা সুবীর সেন ভারতের বিখ্যাত সংগীতশিল্পী।
এমআই/এমএমএফ/এমএস