শক্তিমান অভিনেতা রাজীবের চলে যাওয়ার ১৮ বছর
ঢাকাই ছবির এক সময়ের শক্তিমান অভিনেতা ওয়াসীমুল বারী রাজীব। আজ এ অভিনেতার ১৮তম মৃত্যুবার্ষিকী। রুপালি পর্দার দাপুটে এ অভিনেতা তার অসংখ্য ভক্তকে কাঁদিয়ে ২০০৪ সালের ১৪ নভেম্বর ক্যানসারে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুবরণ করেন। চলচ্চিত্রপ্রেমীদের কাছে তিনি ‘রাজীব’ নামেই বেশি পরিচিত। প্রায় দুই শতাধিক চলচ্চিত্রে অভিনয় করেছেন প্রয়াত এ খলনায়ক।
এ প্রজন্মের অভিনয়শিল্পীদের কাছে এখনো স্বপ্নের মানুষ হয়ে আছেন তিনি। নানা চরিত্রে অভিনয় করে অনন্য দৃষ্টান্ত স্থাপন করে গেছেন। অভিনয়ের স্বীকৃতিস্বরূপ রাজীব শ্রেষ্ঠ চলচ্চিত্র অভিনেতা হিসেবে চারবার জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার ছাড়াও অসংখ্য সম্মাননা লাভ করেন।
রাজীব ১৯৫২ সালের ১ জানুয়ারি পটুয়াখালী জেলায় জন্মগ্রহণ করেন। চলচ্চিত্রে আসার আগে তিনি তিতাস গ্যাস কোম্পানিতে চাকরি করতেন। ঢাকাই সিনেমায় নাম লিখিয়ে প্রায় দুই শতাধিক চলচ্চিত্রে অভিনয় করেছেন তিনি। অভিনয়ের বাইরে তিনি বাংলাদেশ চলচ্চিত্র উন্নয়ন করপোরেশনের (বিএফডিসি) ব্যবস্থাপনা পরিচালক হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেন।
১৯৮১ সালে ‘রাখে আল্লাহ মারে কে’ সিনেমার মাধ্যমে ঢালিউডে আসেন রাজীব। তারকাখ্যাতি পান এরপরের বছর কাজী হায়াৎ পরিচালিত ‘খোকনসোনা’ সিনেমায় নায়কের ভূমিকায় অভিনয় করে। এছাড়া ‘দাবি’ নামের আরেকটি সিনেমায় নায়ক ছিলেন তিনি।
রাশভারী এ অভিনেতার অভিনীত উল্লেখযোগ্য চলচ্চিত্রের মধ্যে রয়েছে— হাঙর নদী গ্রেনেড, প্রেম পিয়াসী, সত্যের মৃত্যু নেই, স্বপ্নের পৃথিবী, আজকের সন্ত্রাসী, দুর্জয়, দেনমোহর, স্বপ্নের ঠিকানা, মহামিলন, বাবার আদেশ, বিক্ষোভ, অন্তরে অন্তরে, ডন, কেয়ামত থেকে কেয়ামত, ভাত দে, অনন্ত ভালোবাসা, রাজা শিকদার ও বুকের ভেতর আগুন, সাহসী মানুষ চাই, বিদ্রোহ চারিদিকে, দাঙ্গা প্রভৃতি।
অভিনয়ের স্বীকৃতিস্বরূপ রাজীব শ্রেষ্ঠ চলচ্চিত্র অভিনেতা হিসেবে চারবার জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পেয়েছেন। যেসব সিনেমায় তিনি জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পেয়েছেন, সেগুলো হলো— হীরামতি (১৯৮৮), দাঙ্গা (১৯৯১), বিদ্রোহ চারিদিকে (২০০০), সাহসী মানুষ চাই (২০০৩)।
এমএএইচ/জিকেএস