‘সবসময় স্যারের শূন্যতা অনুভব করি’

বিনোদন ডেস্ক
বিনোদন ডেস্ক বিনোদন ডেস্ক
প্রকাশিত: ০১:২৬ পিএম, ১৩ নভেম্বর ২০২২

আজ নন্দিত কথাসাহিত্যিক, নির্মাতা হুমায়ূন আহমেদের জন্মদিন। তার নির্মিত সিংহভাগ নাটকে এবং ছবিতে অভিনয় করেছেন দর্শকপ্রিয় অভিনেতা ডা. এজাজুল ইসলাম। জন্মদিনে তাকে নিয়ে স্মৃতিচারণ করেছেন এই অভিনেতা-

যে স্মৃতি যায় না ভোলা...
হুমায়ূন আহমেদের মত একজন সৃজনশীল মানুষের সান্নিধ্য লাভ জীবনের শ্রেষ্ঠমত ঘটনা। আমি মনে করি এর মতো মধুময় সাহচার্য আমার জীবনের আর আসবে না। এই মানুষটি আমাকে যা দিয়ে গেছেন তাতে আমার জীবন পূর্ণতা লাভ করেছে। তিনি আমার ব্যক্তি জীবনেও সব চেয়ে কাছের মানুষে পরিণত হয়েছিলেন।

আমি তার জন্যই অভিনেতা হয়েছি...
আমার এখনও মনে হচ্ছে আমি হুমায়ূন স্যারের নাটক সিনেমাতে অভিনয়ের জন্যই অভিনেতা হয়েছি। তার সঙ্গে কাজ করে যে আনন্দ পেতাম এখন কারো সঙ্গে করে পাই না। হুমায়ূন স্যারের চলে যাওয়াতে আমার অভিনয় স্পৃহা কমে গেছে। তার প্রতিটি কাজে আমার সমস্ত আবেগ-অনুভূতি স্বতস্ফুর্তভাবে ঢেলে দিতে পারতাম। এখন তা পরি না।

স্যারের জন্য শোক গাথা...
এই মানুষিটি চলে যাওয়াতে আমার পৃথিবীটা অন্ধকার হয়ে গেছে। আমি সবসময় তার শূন্যতা অনুভব করি। জন্মদিনে স্যারকে গভীর শ্রদ্ধা ও ভালোবাসায় স্মরণ করছি।

যে বইটি স্যার আমকে উৎসর্গ করেছিলেন...
স্যার একুশের এক বইমেলায় আমাকে একটি বই উৎসর্গ করে ছিলেন। বইটির নাম ‘জোসনাত্রয়ী’। তিনি উৎসর্গের পাতায় লিখে ছিলেন, ‘ডাক্তার আমার সামনে হাসে না। ওর যখন হাসি পায় ও তখন আমার কাছ থেকে দূরে চলে যায়...’। স্যার আমকে ডাক্তার বলে সম্ভধন করতেন। আমি আসলেই স্যারকে এটাতা ভক্তি শ্রদ্ধা করতাম যার ফলে তার সামনে বসে হাসি দিয়ে বিব্রত বোধ করতাম।

এমএমএফ/এমএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।