বাসায় ফিরেছেন আকবর, উন্নত চিকিৎসার জন্য ভারতে যাচ্ছেন

মইনুল ইসলাম
মইনুল ইসলাম মইনুল ইসলাম , বিনোদন প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০৩:২৫ পিএম, ২২ অক্টোবর ২০২২

‘চিকিৎসকরা বহু চেষ্টা করেও তার (আকবরের) পা রক্ষা করতে পারেননি। তার একটি পা কেটে ফেলতে হয়েছে। এখন তাকে হাসপাতাল থেকে বাসায় নিয়ে এসেছি। কিন্তু চিকিৎকরা হাসপাতাল থেকে ছুটি দেওয়ার সময় বলেছেন, ডায়াবেটিসসহ আরও অনেক জটিল রোগ আছে তার। সে কারণে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব উন্নত চিকিৎসার প্রয়োজন। দেশের বাইরে চিকিৎসা করালে সবচেয়ে ভালো হবে বলেও পরামর্শ দিয়েছেন চিকিৎসকরা।’

শনিবার (২২ সেপ্টেম্বর) দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে মুঠোফোনে জাগো নিউজকে এ তথ্য জানান গায়ক আকবরের স্ত্রী কানিজ ফাতেমা। বুধবার (১৯ অক্টোবর) রাজধানীর বেটার লাইফ হাসপাতাল থেকে তারা বাসায় ফিরেছেন বলেও জানিয়েছেন আকবরের স্ত্রী।

তিনি আরও বলেন, ছয় সপ্তাহের মধ্যে তার পায়ের ক্ষত শুকিয়ে গেলে কৃত্রিম পা লাগিয়ে দেবেন চিকিৎসকরা। তার পুরোপুরি সুস্থতার জন্য আরও উন্নত চিকিৎসার প্রয়োজন। তাই আমরা উন্নত চিকিৎসা দ্রুতই শুরু করব। এ কারণে আমরা আগামী সপ্তাহে তাকে নিয়ে ভারতে যাব বলে সিদ্ধান্তও নিয়েছি। সেখানে ভালোভাবে চিকিৎসা করাতে চাই। সেভাবে প্রস্তুতিও নেওয়া হচ্ছে। দোয়া করবেন যেন আমরা তার সঠিকভাবে চিকিৎসা করাতে পারি।

উল্লেখ্য, ডায়াবেটিস ও কিডনির জটিলতায় দীর্ঘদিন ধরে ভুগছেন আকবর। তার দুটি কিডনিই নষ্ট হয়ে গেছে। শরীরে পানি জমার কারণে তার ডান পায়ে ক্ষত সৃষ্টি হতে থাকে। পরে তার পা কেটে ফেলতে হয়েছে। এর আগে আকবর রাজধানীর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে চিকিৎসা নিয়েছেন।

জানা গেছে, এক দশক ধরে ডায়াবেটিসসহ বিভিন্ন রোগে ভুগছেন আকবর। কিডনি রোগে আক্রান্ত হয়ে কয়েক দফায় দেশে ও দেশের বাইরে চিকিৎসা করিয়েছেন তিনি। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তার চিকিৎসার জন্য ২০ লাখ টাকা অনুদানও দিয়েছেন।

জনিপ্রয় উপস্থাপক ও নির্মাতা হানিফ সংকেতের ম্যাগাজিন অনুষ্ঠান ‘ইত্যাদি’তে ‘তোমার হাতপাখার বাতাসে’ গানটি গেয়ে দেশ-বিদেশের দর্শক-শ্রোতাদের কাছে জনপ্রিয়তা লাভ করেন আকবর। সংগীত জীবন শুরুর আগে যশোরে রিকশা চালাতেন তিনি। সেখানে বিভিন্ন স্টেজ শোতেও গান গাইতেন আকবর।

এমআই/এমএমএফ/জেআইএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।