ঈশানার অভিযোগ অনৈতিক প্রস্তাব, প্রযোজক বলছেন ভিন্ন কথা


প্রকাশিত: ০৪:০১ পিএম, ০৭ ফেব্রুয়ারি ২০১৬

মডেল অভিনেত্রী ও লাক্স তারকা মৌনিতা খান ঈশানার বিরুদ্ধে কোটি টাকার মামলা করেছেন প্রযোজক প্রেম। মামলার প্রধান কারণ হিসেবে প্রযোজক প্রেম জানিয়েছেন, ঈশানার বাজে ব্যবহার এবং এবং শিডিউল ফাঁসানো। অপরদিকে ঈশানার অভিযোগ তাকে অনৈতিক প্রস্তাব দেয়া হয়েছে।

প্রেম আরো বলেন, ঈশানা অনেক দিন ধরেই শিডিউল ফাঁসিয়ে আসছে। শুটিং সেটে আসলে আগেই চলে যাওয়ার কথা সে বলতো। কিন্তু তাকে কখনও এই বিষয়ে কিছু বলা হতো না। কিন্তু সব কিছুর একটা সীমা আছে। সে আমার সম্পর্কে নাটকের শুটিংয়ের একপর্যায়ে ঈশানা তার সহশিল্পীদের সামনে আজে বাজে মন্তব্য করে। আর সেই কথা গুলো সেখানে উপস্থিত থাকা একজন রেকর্ড করে। আর সেই রেকর্ড আমি শোনার পর সকল তথ্য নিয়ে প্রমাণাদি নিয়ে পুলিশের কাছে। এরপর পুলিশের একজন কর্মকর্তা বিষয়টির সত্যতা যাচাই করার জন্য শুটিং স্পটে আসেন।

পুলিশ এবং সাক্ষীদের সামনে ঈশানা প্রথমে বিষয়টি অস্বীকার করলেও পরে প্রযোজক রেকর্ডকৃত কথা ঈশানাকে শোনালে তিনি স্বীকার করতে বাধ্য হন। তখন সেটে গুণী অভিনেত্রী ডলি জহুর, অভিনেত্রী প্রিয়া আমানসহ শুটিং সংশ্লিষ্ট কলাকুশলীরা উপস্থিত ছিলেন বলে জানা যায়।

এদিকে শুটিং শেষে ঈশানা বাসায় গিয়ে তার নিজস্ব ফেসবুকে এ বিষয়টি নিয়ে একটি স্ট্যাটাস দেন। এরপর প্রেম সিএমএম আদালতে কোটি টাকার মানহানি মামলা করেন। ৫০০/৫০১ ধারায় মামলা নম্বর ১৪১/১৬। আগামী ২২ মার্চ স্ব-শরীরে কোর্টে হাজির হতে বলা হয়েছে ঈশানাকে।

তবে এ বিষয় নিয়ে ঈশানার সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, মামলা করার বিষয়ে আমি কিছুই জানি না। আর মামলার কোনো কাগজ আমি এখনও পাইনি। তবে তিনি আমার বিরুদ্ধে যে কথা বলছেন তা পুরোটাই ভিত্তিহীন। বরং আমি তার কথা শুনিনি বলেই সে আমার সঙ্গে এমন করছেন।

ঈশানা আরো বলেন, ‘সে আমাকে অনৈতিক প্রস্তাব দিয়েছে আর এর জন্য আমি রাজি ছিলাম না। আর এই জন্যই সে আমার সঙ্গে এমনটা করছেন। রেকর্ডিং এর বিষয়ে ঈশানা জানান, পুরো রেকর্ডিং তিনি সবার সামনে শোনেননি। যদি পুরো রেকর্ডিং শোনানো হত তাহলে সব প্রমাণ হত। তবে প্রযোজক যদি আমার মানহানির চেষ্টা করে তাহলে আমিও এর বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করবো।’

এনই/এসএইচএস/এবিএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।