এমডিজি অর্জনে বিশ্ব সম্প্রদায়কে একসাথে কাজ করতে হবে


প্রকাশিত: ১২:২৫ পিএম, ৩০ জানুয়ারি ২০১৬

বাংলাদেশ জাতীয় সংসদের স্পিকার ও সিপিএ নির্বাহী কমিটির চেয়ারপারসন ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী বলেছেন, সহস্রাব্দের উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা (এমডিজি) অর্জনের অভিজ্ঞতার আলোকে টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্য (এসডিজি) অর্জন করতে দক্ষিণ এশিয়ার দেশসহ বিশ্ব সম্প্রদায়কে একসাথে কাজ করতে হবে। তাহলেই টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা (এসডিজি) অর্জন করা সম্ভব হবে। শনিবার রাজধানীর সোনারগাঁও হোটেলে ‘সাউথ এশিয়ান স্পিকারর্স সামিট ২০১৬’ এর উদ্বোধনী দিনে একথা বলেন তিনি।

দক্ষিণ এশিয়ায় টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রার (এসডিজি) বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা করতে বাংলাদেশ, আফগানিস্তান, ভুটান, ভারত, মালদ্বীপ এবং শ্রীলংকার স্পিকারদের নিয়ে এ সম্মেলন হচ্ছে। তবে শ্রীংলাকার ডেপুটি স্পিকার পথে থাকায় উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে যোগ দিতে পারেননি। আর পাকিস্তান ও নেপালের স্পিকারদের আমন্ত্রণ জানানো হলেও তারা যোগ দেননি।  

ইন্টার-পার্লামেন্টারি ইউনিয়ন (আইপিইউ) আয়োজিত এবং বাংলাদেশ জাতীয় সংসদ ও ক্যাম্পেইন ফর টোব্যাকো ফ্রি কিডসের (সিটিএফকে) সহায়তায় এই সম্মেলন হচ্ছে।

স্পিকার আরো বলেন, বিনিময় ও সহযোগিতা এবং সামাজিক ও রাজনৈতিক  চ্যালেঞ্জসমূহ মোকাবেলা করার মাধ্যমে এই লক্ষ্য অর্জন করা সম্ভব হবে। ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী তার বক্তৃতায় টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্য (এসডিজি) নিশ্চিত করতে নিজ নিজ দেশের সংসদ সদস্যদের এগিয়ে আসার আহ্বান জানান এবং সঠিক পরিকল্পনা প্রনয়ন ও মনিটরিং ব্যবস্থা জোরদার করনের মাধ্যমে গৃহীত এজেন্ডা ও লক্ষ্যসাত্রাসমূহ বাস্তবায়ন করার আহ্বান জানান।   

আইপিইউয়ের সভাপতি সাবের হোসেন চৌধুরীর সভাপতিত্বে সেমিনারে স্বাগত বক্তব্য দেন বাংলাদেশের জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী। এছাড়া আরো বক্তব্য রাখেন, আফগানিস্তানের স্পিকার আবদুল রৌফ ইব্রাহিমি, ভুটানের স্পিকার জিগমে জেংপো ও মালদ্বীপের স্পিকার আবদুল্লাহ মশেহ মোহামেদ।

বক্তারা এই সম্মেলনকে এসডিজি অর্জনের সেতুবন্ধন ফোরাম উল্লেখ করে বলেন, টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা কোন দেশের অভ্যন্তরীণ বিষয় নয়, এটি একটি আন্তর্জাতিক ইস্যু। তাই এই ইস্যুতে সারাবিশ্বকে তাদের পারস্পরিক সহযোগিতা প্রদান, অভিজ্ঞতা বিনিময়, জলবায়ু পরিবর্তনের চ্যালেজ্ঞসমুহ মোকাবেলা এবং প্রত্যেক দেশের উত্তম চর্চাগুলো বিনিময়ের মাধ্যমে এসডিজি অর্জনে কাজ করতে হবে।

দুদিন ব্যাপী এ সম্মেলনের শেষ দিন রোববার সমাপনী অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রধান অতিথি হিসেবে থাকার কথা রয়েছে।

সম্মেলনের আলোচনায় পাঁচটি বিষয় প্রাধান্য পাবে। এগুলো হচ্ছে দক্ষিণ এশিয়ায় এসডিজির গুরুত্ব, এসডিজি বাস্তবায়ন ও অগ্রগতি পর্যালোচনায় পার্লামেন্টগুলোর ভূমিকা, এসডিজির স্বাস্থ্য ও সমৃদ্ধি সংক্রান্ত গোল-৩ এর অধীন সুযোগসমূহ, তামাক মহামারির বর্তমান অবস্থা ও নিয়ন্ত্রণে কৌশল নির্ধারণ, দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোতে তামাকের ব্যবহার কমিয়ে আনতে প্রয়োজনীয় নীতিকৌশল প্রণয়ন ও বাস্তবায়ন।

এইচএস/এসএইচএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।