গুজরাট মাতালেন ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বাচিক শিল্পীরা
ভারতের গুজরাট রাজ্যের আহমেদাবাদে সম্প্রতি অনুষ্ঠিত হয়েছে ভারত-বাংলা আবৃত্তি উৎসব। আহমেদাবাদ বেঙ্গল অ্যাসোসিয়েশন চ্যারিটেবল ট্রাস্ট ও আসামের শিলচর সুরম্য ছন্দবাসের যৌথ উদ্যোগে গেল ২৪ জানুয়ারি স্থানীয় তিনুভাই অডিটোরিয়ামে এ উৎসব অনুষ্ঠিত হয়।
এতে প্রধান অতিথি ছিলেন আসাম বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য বিশিষ্ট লেখক তপোধীর ভট্টাচার্য।
উৎসবের প্রধান উদ্যোক্তা ও শিলচরের বিশিষ্ট বাচিকশিল্পী সংহিতা পালের সঞ্চালনায় মঙ্গল প্রদীপ প্রজ্বলনের মাধ্যমে উৎসবের উদ্ধোধন করেন উপ মহাদেশের প্রবাদ প্রতিম আবৃত্তিশিল্পি পার্থ ঘোষ। আলোচনায় অংশ নেন গ্রেটার আহমেদাবাদ অ্যাসোসিয়েশন চ্যারিটেবল ট্রাস্টের সভাপতি অলক দাস, সাধারণ সম্পাদক জয় আইচ, শিলচর সুরম্য ছন্দবাসরের সভাপতি দেবাঞ্জন মুখোপাধ্যায়।
রাত ৮ থেকে শুরু হওয়া উৎসব চলে রাত ১২টা পর্যন্ত। উৎসবে বাংলাদেশ থেকেও কবি-বাচিক শিল্পীরা অংশ নিয়েছিলেন। কবিতা আবৃত্তি করে উৎসবে আগত বাঙালি দর্শক-শ্রোতাদের আনন্দে মাতিয়ে রাখেন বাংলাদেশ তথা ব্রাহ্মণবাড়িয়া ও চট্টগ্রামের কবি-বাচিকশিল্পীরা। এতে একক আবৃত্তি পরিবেশন করেন ব্রাহ্মণবাড়িয়ার তিতাস আবৃত্তি সংগঠনের পরিচালক মো. মনির হোসেন, সহকারি পরিচালক বাছির দুলাল।
এছাড়া চট্টগ্রামের তারুণ্যের উচ্ছ্বাসের সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক মুজাহিদুল ইসলামের নির্দেশনায় শিল্পিরা জননী জন্মভূমি আবৃত্তি কোলাজে অংশ নেন। ভাষা আন্দোলন, মহান মুক্তিযুদ্ধ, দেশভাগের যন্ত্রণা ও মৈত্রীর কবিতায় মুগ্ধ হয়েছেন গুজরাটের বাঙালিরা।
উৎসবে ব্রাহ্মণবাড়িয়া ও চট্টগ্রামের কবি-বাচিকশিল্পীরা চাড়াও ভারতের মহারাষ্ট্রের পুনের অর্চনা ভট্টাচার্য, শুভাশীষ গুহ, আহমেদাবাদের কমল চক্রবর্তী, তৃষ্ণা দাশ গুপ্তা, আসামের শিলচরের দেবাঞ্জন মুখোপাধ্যায়, পঞ্চতপা চৌধুরী ও সংহিতা পাল। প্রথমবারের মতো বাংলা নিয়ে এমন মুনোমুগ্ধকর আয়োজন নিয়ে উচ্ছ্বসিত ছিলেন আহমেদাবাদের বাঙালিরা।
সঞ্চয়/এলএ