তুমুল জনপ্রিয় হয়েও কেন ভেঙে গেল বিটিএস?

বিনোদন ডেস্ক
বিনোদন ডেস্ক বিনোদন ডেস্ক
প্রকাশিত: ০৬:৩৩ পিএম, ১৬ জুন ২০২২

দুনিয়া মাতানো এক ব্যান্ড ‘বিটএস’। কোরিয়ান কিশোরদের নিয়ে গড়ে ওঠা ব্যান্ডটি একের পর এক হিট গান উপহার দিয়েছে৷ দেশে দেশে নানা বয়সের শ্রোতাদের মাঝে তাদের গান নিয়ে উত্তেজনা।

তাদের গান প্রকাশ মানেই নতুন রেকর্ড। সব জায়গায় তাদের জয়জয়কার। গ্র্যামি থেকে বিলবোর্ড অ্যাওয়ার্ডস, জাতিসংঘ সদর দফতর থেকে হোয়াইট হাউস সব জায়গায় রয়েছে তাদের পদচারণা।

সেই ব্যান্ডের সদস্যরা আর একসঙ্গে গাইবে না। হ্যাঁ, ঠিক তাই।

গেল মঙ্গলবার (১৩ জুন) বিটিএস-এর প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী ছিল। ঠিক নয় বছর আগে যাত্রা শুরু হয়েছিল ব্যান্ডটির। প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষ্যে ১০ জুন মুক্তি পেয়েছে ব্যান্ডটির নতুন অ্যালবাম 'প্রুফ'। সংকলিত এই অ্যালবামে গান রয়েছে ২৮টি। নতুন গান প্রকাশের পর তিন দিনে ইউটিউবে গানটির ভিউ ৭৫ মিলিয়ন ছাড়িয়ে গেছে। ইতোমধ্যে রেকর্ড তিন মিলিয়নের বেশি কপি বিক্রি হয়েছে।

এমন সব আনন্দের খবরের মাঝেই বিটিএস ভক্তদের এলো খারাপ খবরটি। ব্যান্ডটির পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, একসঙ্গে আর গান গাইবেন না বিটিএস-এর সাত সদস্য। এখন থেকে আলাদাভাবে গান করবেন তারা। তবে সাময়িক বিরতির পর আবার একসঙ্গে গান করবেন। খবর এএফপি।

ব্যান্ডটির অন্যতম সদস্য আরএমের বরাতে জানানো হয়েছে, ‘আমি সবসময়ই বিটিএসকে অন্য ব্যান্ডের চেয়ে আলাদা ভেবেছি। কিন্তু কে-পপ ও পুরো ‘আইডল’ পদ্ধতির সমস্যা হলো এটা আপনাকে পরিণত হওয়ার সুযোগ দেবে না। আপনাকে গান চালিয়ে যেতে হবে এবং কিছু না কিছু করতে হবে।’

ব্যান্ডের অফিশিয়াল ইউটিউব চ্যানেলে এক ভিডিওবার্তায় আরেক সদস্য সুগাও ব্যান্ড সদস্যদের আলাদা হয়ে যাওয়ার কথা জানান। মূলত ব্যান্ডের সদস্যের একক ক্যারিয়ার এগিয়ে নিতেই এ সিদ্ধান্ত বলে জানানো হয়।

বিটিএসের আরেক সদস্য জিমিন ভক্তদের উদ্দেশে বলেন, 'বিটিএস-এর ভক্তরা নিজেদের ‘আর্মি’ নামে পরিচয় দেন। এত দিন ধরে সমর্থন জানানোর জন্য ভক্তদের প্রতি কৃতজ্ঞতা।'

সদস্য জাংকুক বলেন, ‘প্রতিজ্ঞা করছি, কোনো একদিন আমরা এখনকার চেয়ে আরও পরিণত হয়ে ফিরে আসব।’

বিটিএস সদস্যরা সাধারনত ভিলাইভ এ্যাপ এর মাধ্যমে ভক্তদের সাথে যোগাযোগ রক্ষা করে চলেন।

এলএ/জেআইএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।