মৌসুমীর অধঃপতনের কথাই কি বললেন অমিত হাসান?
জায়েদ খান ও ওমর সানির ঘটনায় কয়েকদিন ধরে উত্তাল চলচ্চিত্রপাড়া। বাংলাদেশ শিল্পী সমিতিতে লিখিত অভিযোগ করেছেন ওমর সানি। সেখানে তিনি জায়েদের বিরুদ্ধে সংসার ভাঙা ও তাকে হত্যার হুমকির অভিযোগ আনেন।
এই বিষয়ে ১২ জুন সন্ধ্যায় চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির সভাপতি ইলিয়াস কাঞ্চন বরাবার লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন সানি। ঠিক তার পরদিনই এক অডিও বার্তা দিয়ে বোমা ফাটালেন মৌসুমী। সেখানে তিনি দাবি করেন, জায়েদ খান ভালো ছেলে। তার ছোট ভাইয়ের মতো। ওমর সানি যেসব অভিযোগ করেছেন তা সত্যি নয়।
তার অডিও বার্তাটি প্রকাশ হতেই শুরু হয় হইচই। কেউ ওমর সানিকে মিথ্যেবাদী বলছেন তো কেউ মৌসুমীকে বলছিলেন প্রতারক। ১৩ জুন সন্ধ্যায় সানি-মৌসুমীর পুত্র ফারদিন মুখ খুলেন গণমাধ্যমে। তার কথায় স্পষ্ট হয়, ওমর সানির অভিযোগ মিথ্যে নয়। ফারদিনও বলেন, তার মা মৌসুমীকে বিরক্ত করেন জায়েদ খান।
শুধু তাই নয়, ফারদিনের ব্যবসায় ও পরিবারের ক্ষতি করারও চেষ্টা করছেন জায়েদ খান; দাবি করেন তিনি। তার এই বক্তব্যের পর প্রশ্ন উঠে মৌসুমীর অডিও বার্তা নিয়ে। ছেলের কাছে প্রমাণ থাকা সত্বেও মৌসুমী কেন স্বামীর বিপক্ষে গিয়ে জায়েদের সাফাই গাইলেন সেই প্রশ্ন উঠছে।
এই ঘটনায় চলচ্চিত্রের মানুষেরা বিরক্ত, বিব্রত। অনেকেই গণমাধ্যমে সরাসরি কথা বলেছেন বিষয়টি নিয়ে। কেউ কেউ সোশ্যাল মিডিয়ায় লিখেছেন। অনেকেই আবার আকার ইঙ্গিতে সানি-মৌসুমীর দীর্ঘদিনের সংসার জীবনে অশান্তির আভাস পেয়ে মন খারাপ করে স্ট্যাটাস দিয়েছেন।
তেমনি করে একটি স্ট্যাটাস দিয়েছেন অভিনেতা অমিত হাসান। সেখানে কারো নাম তিনি উল্লেখ করেননি। তবে তার স্ট্যাটাসটির নিচে বক্তব্যগুলো পড়লেই টের পাওয়া যায় সবাই ধরে নিয়েছেন অমিত সানী-মৌসুমী ও জায়েদ খানের ঘটনার দিকেই ইঙ্গিত করেছেন।
তিনি আজ ১৪ জুন লেখেন, ‘তাকিয়ে রইলাম একটি উজ্জ্বল নক্ষত্রের বিরতিহীন অধঃপতন দেখে। অস্পষ্ট কুয়াশায় ঢেকে গেল। কষ্টে গড়া সম্মান দুমড়েমুচড়ে পড়লো পদতলে।’
কার অধঃপতনের কথা বলেছেন ঢাকাই সিনেমার ভার্সেটাইল এই অভিনেতা? সে নিয়ে মুখ খুলতে নারাজ তিনি।
সানি-মৌসুমী দম্পতির সঙ্গে অমিত হাসানের পারিবারিক বন্ধুত্বের সঙ্গে। দীর্ঘদিন তারা একসঙ্গে সিনেমায় কাজও করেছেন। অনেক সিনেমায় মৌসুমীর নায়ক হয়েছেন অমিত হাসান। শিল্পী সমিতির রাজনীতিতেও তারা ছিলেন একই মতাদর্শের। তবে সর্বশেষ নির্বাচনে মৌসুমী ও অমিত ভিন্ন দুটি প্যানেলে নির্বাচন করেন। দুজনেই জয়ী হন।
এলএ/এমএস