এক সিনেমা, তিন পরিচালক
পিপলু আর খান, মেজবাউর রহমান সুমন ও আবরার আতহার তিন মেধাবী নির্মাতা। তারা একসঙ্গে একটা শহরের তিনটি গল্প থেকে নির্মাণ করেছেন সিনেমা। অ্যান্থলজি সেই সিনেমাটির নাম ‘এই মুহূর্তে’। শুটিং শেষ, শিগগির উন্মুক্ত হচ্ছে একটি ওটিটি প্ল্যাটফর্মে।
আবরার আতহার বলেন, ‘পিপলু ভাই ও সুমন ভাইয়ের সাথে কাজ করাটা ছিল আমার জন্য ভয়ের, চ্যালেঞ্জের এবং এক্সসাইটমেন্টের। অনেক কিছু শেখারও ছিল। আমরা তিনজন একদম ভিন্ন তিন রকমের গল্পকার। আমরা সবাই সমসাময়িক বিষয়গুলো নিয়ে কাজ করার চেষ্টা করেছি, যা প্রতিনিয়ত আমাদের চোখের সামনে ঘটে থাকে তা অনন্য শৈল্পিক দৃষ্টিভঙ্গির মাধ্যমে তুলে ধরার চেষ্টা করেছি। আমি আশা করি, দর্শক এটা দেখে মজা পাবে।’
প্রায় ১০-১২ বছর পর ফিকশন বানালেন মেজবাউর রহমান সুমন। তাই ‘এই মুহূর্তে’ অ্যান্থলজি সিনেমাটি নিয়ে তিনিও বেশ এক্সাইটেড। তিনি বলেন, ‘প্রায় ১২ বছর পর আমার আবার ফিকশনে ফেরা। সেটা একটা অ্যান্থলজি প্রজেক্টের মধ্য দিয়ে। সামনে আমার আরেকটা সিনেমা (হাওয়া) মুক্তি পাবে। সব মিলিয়ে আমার জন্য সময়টা খুব আনন্দের।’
‘এই প্রজেক্টে সব থেকে ভালো লাগার বিষয় হলো আমাদের একসাথে কাজ করা। এই কাজের মধ্য দিয়ে আমাদের তিন পরিচালকের চিন্তার জায়গাগুলো একে অপরের মধ্যে অনেক আদান প্রদান হয়েছে। সেটা হয়তো আড্ডার ছলেও হয়, কিন্তু এবার সেটা কাজের মাধ্যমে খুব বেগবান হয়েছে’ যোগ করেন সুমন।
‘হাসিনা: এ ডটার্স টেল’-খ্যাত নির্মাতা পিপলু আর খান বলেন, ‘এই কনটেন্টটা খুব ইন্টারেস্টিং দুটো কারণে। প্রথমত, এই মুহূর্তে খুব কোয়ালিফাই করে যে, সোসাইটির কিছুর গভীর ক্ষত বা প্রবাহ আমরা যেরকম দেখি সেভাবে দেখানো। দ্বিতীয়ত, এটা একটা সেন্সেবল ও সেনসেটিভ প্রজেক্ট। আমরা তিনজন চেষ্টা করেছি সমসাময়িক যে ঘটনাগুলা হয়েছে সেটার একটা ফিকশনাল ব্যাখ্যা তৈরি করতে।’
তিনি আরও বলেন, ‘এক অর্থে এটা আমার প্রথম ফিকশন। এর আগে আমি কখনও ফিকশন বানাইনি। এই প্রজেক্টের যে সামাজিক সচেতনতা আছে তা সময় উপযোগী। এই মুহূর্তে হচ্ছে আমাদের সমাজের এক প্রকার পরাজয়ের গল্প, হেরে যাওয়ার গল্প। যেটা সৃজনশীলভাবে দর্শকের কাছে নিতে চাই।’
নির্মাতারা জানান, শুটিং শেষ হলেও এর কাস্টিং চমক নিয়ে এখনই মুখ খুলছেন না তারা, যা দ্রুতই জানানো হবে মুক্তির তারিখ চূড়ান্ত করে।
এমআই/জিকেএস