টিআইবি’র প্রতিবেদনের ভুল ধরলেন শিক্ষামন্ত্রী
গত মাসে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশের (টিআইবি) প্রকাশিত ‘বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় : সুশাসনের চ্যালেঞ্জ ও উত্তরণের উপায়’ শীর্ষক প্রতিবেদনের ভুল তুলে ধরে মঙ্গলবার দুপুরে সচিবালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন শিক্ষামন্ত্রী নূরুল ইসলাম নাহিদ।
নূরুল ইসলাম নাহিদ বলেন, টিআইবি গত ৩০ জুন যে প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে তার মধ্যে ২০১৩ সালে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পাস করা শিক্ষার্থীর সংখ্যা পৌনে দুই লাখ কম দেখানো হয়েছে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের সংখ্যাগত তথ্যের ভুল ধরে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, যে সংস্থা বাংলাদেশের কোথায় কতটি বিশ্ববিদ্যালয় আছে তাই জানে না, তাহলে দুই বছর যাবৎ আন্তর্জাতিক মানের কি ধরনের গবেষণা হলো এটি?
শিক্ষামন্ত্রী বলেন, টিআইবি ১৯৯২ সালের বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় আইন নিয়ে তাদের প্রতিবেদন প্রস্তুত করেছে। অথচ সেই আইন আমরা বাতিল করে ২০১০ সালের আইন অনুযায়ী কাজ করছি।
বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ে কিছু জায়গায় দুর্নীতি আছে স্বীকার করে নূরুল ইসলাম নাহিদ বলেন, ১৫টি বিশ্ববিদ্যালয় আইন মানেনি। এদের অনেকেই বিভিন্ন এলাকায় অবৈধ ক্যাম্পাস খুলে শিক্ষা বাণিজ্য করছে। তারা কোর্টের আদেশ নিয়ে কাজ করছে। এই বিষয়গুলোতে আমরা কঠোর পদক্ষেপ নেব।
শিক্ষামন্ত্রী জানান, দুর্নীতি হয়ে থাকলে অবশ্যই আমি ব্যবস্থা নিতে চাই। কিন্তু টিআইবির যে রিপোর্ট প্রকাশিত হয়েছে সেখানে তথ্য প্রদানকারী হিসেবে শুধু ‘তথ্যদাতা’র সূত্র উল্লেখ করা হয়েছে। সেই তথ্যদাতা কে তা না জানলে কিভাবে ব্যবস্থা নেব। এজন্য টিআইবিকে গত ১৪ জুলাই চিঠি দিয়েছি। তাদের উত্তরের অপেক্ষায় আছি আমরা।